
প্রথমে আসি পরিবারে। একজন মা কত কষ্ট করে তার ছেলে কে বড় করে! একজন মা তার সন্তান কে কত কষ্ট করে বড় করে এটা লিখে প্রকাশ করা যাবে না। এটা শুধু মায়েরাই বুঝবে। সেই ছেলে বড় হয়। বিয়ে করে। সুন্দর সংসার হয়। কিন্তু বউ এর কথায় মা কে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে। এটা কি নারী নির্যাতন না? অনেক বউ আছে তাদের শ্বাশুড়ি কে খেতে দেয় না, শ্বাশুড়ি কে কথায় কথায় খোটা দেয়। মানষিক নির্যাতন করে। এটা কি নারী নির্যাতন না?
তারপর মনে করেন। সম্পত্তি বন্টনে আসি। একজন বোন বর্তমানে আর্থিক ভাবে কষ্টে আছে। সে তার ভাই এর কাছে সম্পদের ভাগ চায়। উল্লেখ্য যে বোন যদি আর্থিক ভাবে বেকায়দায় না পড়তো তাহলে কোন বোন কোন দিন ভাই এর কাছে সম্পত্তির ভাগ চাইতো না। বরং অধিকাংশ বোন ভাইকে জিতিয়ে দিয়ে আসে। এখন এক ভাই তার বোনের সাথে খারাপ আচরন করে, সম্পত্তি ভাগ চাওয়ায়। অনেক সময় তো ভাই, বোনের গলা টিতে ধরে। আমাদের এই বোন যাতে ন্যায় বিচার পায়, সেহেতু এই ভিডিও ভাইরাল করুন। সবাই শেয়ার করুন। একাত্তর টিভি, ডিবিসি নিউজ সহ যত টিভি চ্যানেল আছে তারাও এটা নিয়ে নিউজ কভার করুন। এখন তো নির্বাচনরে সময়। নির্বাচন এর খবর আগে। নির্বাচনের পরে না হয় উনার খবর প্রকাশিত করবেন।
যৌন চাহিদা পুরুষ এর স্বাভাবিক চাহিদা। (এই লাইন লিখার জন্য আমাকে ধমক খেতে হবে।) একটি ছেলে সেক্স হরমোন ১৩ থেকে ১৪ বছর থেকে শরীলে উৎপন্ন হতে শুরু করে। এর জন্য ছেলেদের উচিৎ মেয়ে দেখলে চোখ নামিয়ে কথা বলা। যাতে মেয়ে দেখলে সেক্স না ওঠে। হলিউড বলেন বা বলিউড বলেন। ছেলেদের এই যৌন চাহিদা কে পুজি করে ব্যাবসা করে। নারীদের ভোগ্য পণ্য বানিয়ে দিচ্ছেন। যা উচিৎ ছিলো না। মেয়েদের সম্মানের সাথে উপস্থাপন করার দরকার ছিলো। ছেলেদের বলছি, মেয়ে দেখলে চোখ নামিয়ে কথা বলবেন।
স্কুলে যাবার সময় অনেক ছাত্রী ইভটিজিং এর স্বীকার হয়। অনেক সময় তো ধর্ষন এর মত অপ্রীতিকর ঘটনা করে। নারীদের নিরাপত্তা নাই বললেই চলে। আর ধর্ষন এর মত ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হয় না। কেউ কেউ ধর্ষনের মামলা করলেও, মামলার রায় আসতে আসতে অনেক দেরী হয়। মনে করেন এক নারী ১৬ বছর বয়সে ধর্ষনের মামলা করলো। এখন এই ব্যাক্তির বয়স ৭২ হলে যদি আসামী দোষী সাবস্ত্য হয় তাহলে এখানে ন্যায় বিচার পাইলো কই?
অফিসে নারীরা জেন্ডার বুলিং এর স্বীকার হয়। দক্ষতার জন্য যদি কোন নারী কর্মী বসের আস্থাভাজন হন তাহলে তার কলিগ তার বিরুদ্ধে খারাপ মনোভাব প্রকাশ করেন। যা মোটেও কাম্য না।
কানিজ ও সুরভী নামক দুই বান্ধবী কথা মনে পড়ে গেলো। তারা দু্ইজনই ছিলো প্রখর মেধাবী। কানিজ এর রোল নাম্বার ছিলো এক। তার আব্বু বিডিআর এর অফিসার ছিলেন। তার রোল নাম্বার ছিলো এক। আমরা সবাই সম্মান করতাম। এই সম্মান সে নিজে কামিয়ে নিয়েছেন। এরকম না যে, সে খুব সুন্দরী। তার আচরন ছিলো সুন্দর। রাগ প্রকাশেও ব্যাক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যেতো। কানিজ এখন সফটওয়্যার ইজ্ঞিনিয়ার।
সুরভী এমন ছিলো না। সে মার্ডান হতে গিয়ে নিজের ব্যাক্তিত্ব হারিয়ে ফেলে। বেশী বনদাম করা ঠিক না। হাজার হউক। সে আমার ক্লাসমেট তার সম্মান রক্ষা করা আমার দায়িত্ব।
অনেক স্বামী আছে স্ত্রী কে হাত খরচ দেয় না। স্ত্রী কে হাত খরচ দেয়া ভালোবাসার বহিঃ প্রকাশ। বিয়ের আগে প্রেমিকা কে আই লাভ ইউ আর বিয়ের পর “আজ তুমাকে রান্না করতে হবে না। আমি রান্না করবো।” বলা একই কথা।


সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




