যে দেশে পার্লামেন্ট বা সংসদীয় গণতন্ত্র আছে সেই দেশের নাগরিক ভোট দেয়। নাগরিক আর দেশবাসী এক জিনিস না। সেটা অন্য আলাপে বলবো।
এখন ভোট দেয় কারা। সহজ কথায় ভোটার লিস্টে যাদের নাম আছে তারা ভোট দেয়। ১৮ বছরের নিচে কেউ ভোটার হতে পারে না। বিদেশী নাগরিক ভোটার হতে পারেনা। তবে বিদেশী মানুষকে নাগরিকত্ব দিলে সেটা অন্য হিসাব। দেশদ্রোহী, পাগল ও নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছে এমন ব্যাক্তি ভোট দিতে পারেন না।
অনেকে ভোটর লিস্টে নাম থাকার পরেও ভোট দিতে পারেন না। শিক্ষক, পরিবার পরিকল্পনার অধিদপ্তর এর স্টাফ, পুলিশ, আর্মি, বিজিবি সহ আজ অনেক লোক নির্বাচনের ডিউটি করছেন। তাই তারা ভোট দিতে পারছেন না। এখন মনে করেন শরীকের বাড়ি কক্সবাজার। সে কুড়িগ্রাম জেলায় কোন এক ব্যাংকে চাকরি করেন। তার পক্ষে কি সম্ভব আজ ভোট দিয়ে আগামীকাল ভোট দেওয়া! এখন যদি ভোটের আগের দিন, ভোটের দিন, ও ভোটের পরের দিন যদি সরকারি ছুটি থাকে, তাহলে কক্সবাজারের শরীফ ভোট দিয়ে আবার রংপুরে ভোট দিতে পারেন। এমন কর্মজীবী মানুষ গ্রামে অনেক আছে। তাই কর্মজীবী লোকেরা ভোট দিতে পারেন না।
তাহলে বুঝলাম কিছু কিছু সরকারি কর্মচারী, ও কর্মজীবী মানুষেরা ভোট দিতে পারেন না।
এখন ভোট দেয় কারা?
আমাদের সাতকাহনিয়া গ্রামে মুরব্বি, বেকার যুবক, নেতার সাঙ্গ পাঙ্গরা সকাল সকাল ভোট দিয়ে আসেন। এলাকার দোকানদ্বারগণ এক ফাকে ভোট দিয়ে আসেন।
অনেক সময় দেখি ভোটের সময় রিক্সা, সিএনজি ও গাড়ি চলে না। যদি নির্বাচনে গাড়ি চলাচল ঠিক থাকে, তাহলে গর্ভবতি মহিলা, বৃদ্ধ মহিলা, অসুস্থ লোক ভোট দিতে পারতেন।
আমি আছি নওগাঁ তে। আমার আব্বু এখানে চাকরি করেন। আমি এখানে আসি ডিসেম্বর এর ৩ তারিখ। নিয়্যাত ছিলো আব্বু ছুটি পেলে
পরিবারের সবাই মিলে ভোট দিবো। ছুটি পাই নাই। তাই দেশের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ যেতে পারি নি। খুব আপসোস লাগতাছে।

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




