১৯৮০ বা ১৯৯০ সালের দিকে আমাদের দেশে কর্ম সংস্থানের তেমন বৈচিত্র ছিলো না। এখন যেমন কল কারখানা, বিক্রয় প্রধিনিধি, কর্পোরেট, আউট সোর্সিং ইত্যাদি তখন ছিলো না।
তখন গ্রাম বাংলাতে কৃষি কাজ ছিলো প্রধান পেশা। আষাঢ় মাস বা বর্ষাকালে বৃষ্টির জন্য কোন লোক কাজে যেতে পারতো না। ক্ষেত পানিয়ে তলিয়ে যেতো। তখন উনারা বাড়িতে বসে আজগুবি গল্প করতো। এই আজগুবি গল্প কে মনে হয় আষাঢ়ে গল্প বলেছে।
একদেশে ছিলো এক রাজা। সেই রাজা ছিলো উমুক। ঐ গাছের নিচে ভূত আছে। ভূত মানুষের মাংস খায়। ইত্যাদি গল্প তখন বেশ ভালো জমতো।
আজকের মত ইন্টারনেট, এন্ডোয়েট মোবাইল পেলে হয়তো মোবাইল টিপতো। গান শুনতো। সিনেমা দেখতো। আগের এই সব আষাঢ়ে গল্পগুলো অনেক সময় আড্ডায়ও রুপ নিতো। তাই তারা কোন আজগুবি কথা বললে সেই আড্ডাতেই সীমাবদ্ধ থাকতো। আর এখন সোসাল মিডিয়ার যুগ। কেউ আর আগের মত আড্ডায় মাতে না। সাবাই পোস্ট করে। মানে মনে যা আসছে তােই পোস্ট দেয়। যা অনেক সময় গুজবে রুপ নেয়।
আগের দিনে এই আষাঢ়ের সময় দাদীরা তাদের নাতি নাতনীদের নিয়ে গল্প করতো। সেই গল্পগুলা ছিলো শুনার মত। আমারও মনে আছে আমি রাতে ঘুমানোর আগে আমার নানীর কাছে একটি গল্পের জন্য বায়না করতাম।
যাই হউক। এখন আর সেই আগের মজা নাই। দাদা দাদীর গল্প, অনেক লোক মিলে গল্প গুজব করা, এগুলার ফিলিংস ছিলো অন্য রকম।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:০২