আমাদের গজারিয়া উপজেলা। এই উপজেলাটি মুন্সিগজ্ঞ জেলার অধীনে। আমাদের উপজেলার উপর দিয়ে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক বয়ে চলেছে। তাই আমাদের উপজেলা থেকে সরাসরি ঢাকাতে যাওয়া যায়।
আমাদের উপজেলা থেকে পশ্চিমে মুন্সিগজ্ঞ সদর। মাজে মেঘনা নদী। এই নদীটি আমাদের উপজেলা থেকে মুন্সিগজ্ঞ শহরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। আমরা ট্রলার বা লঞ্চ যোগে মুন্সিগজ্ঞ যাওয়া লাগে। তা নাহলে সোনারগাওঁ উপজেলা (নারায়নগজ্ঞ) হয়ে নরারয়নগজ্ঞ শহর হয়ে মুক্তারপুর ব্রীজ (মুন্সিগজ্ঞ) হয়ে মুন্সিগজ্ঞ শহরে যাওয়া লাগে। গজারিয়া ঘাটে যদি ব্রীজ নির্মান করা হয় তাহলে কিন্তু মুন্সিগজ্ঞ শহরে যোগাযোগ খুব সহজ হয়।
আমাদের উপজেলা থেকে দাউদকান্দি (কুমিল্লা), মেঘনা (কুমিল্লা), সোনারগাওঁ উপজেলা (নারায়নগজ্ঞ) যোগাযোগ করা খুব সহজ। সেই হিসাবে আমাদের উপজেলা যদি কুমিল্লা বা নারায়নগজ্ঞ জেলার অন্তর্গত হয় তাহলে খুব ভালো হতো। আরো ভালো হতো যদি গজারিয়া ঘাটে একটি ব্রীজ হয়।
তারপর আমার মনে প্রশ্ন জাগলো। আমাদের গজারিয়া উপজেলার মত আর কোন কোন উপজেলা অসহায় অবস্থায় আছে। যেখানে একটি ব্রীজের অভাবে সদর উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এবং ভৌগলিক অবস্থানের জন্য অন্য জেলার সাথে যোগাযোগ ভালো। তখন দেখলাম কুরিগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলা।
এই উপজেলার সাথে আবার জামালপুর জেলার দেওয়ানগজ্ঞ উপজেলার যোগাযোগ ভালো। যদি এই রৌমারি উপজেলা যদি জামালপুল জেলার অন্তর্গত হতো তাহলে রৌমারি উপজেলার জন্য ভালো হতো বলে আমার ধারনা। বাে রৌমারি টু কুড়িগ্রাম সংযোগ সেতু হলেও ভালো হয়।
ব্রীজগুলা হলে গর্ববতী মা, রোগী, বৃদ্ধ মানুষের জন্য বেশ সুবিধা হতো।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৪