
আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা অনেকটা ব্রিটিশ শাসিত সময়ের মত। ব্রিটিশরা আমলা বানানোর জন্য এই শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করেছিলো। আর সেই শিক্ষা নীতি এখনো বিদ্যমান।
১৮৮০ থেকে ১৯৮০ সাল৷ এই সময় কালে মানুষ কি চাইতো? শিক্ষা অর্জন করমু। সরকারি চাকরি করমু। এই ট্রেন্ড বা সংস্কৃতি এখনো বিদ্যমান। এখন ২০২২ সাল। তথ্য প্রযুক্তির যুগ। বিশ্বায়ন, পুঁজিবাদ ও ব্যাবসার যুগ। এখনো যদি মান্ধাতা আমলের সিলেবাস ব্যাবহার করলে দেশ পিছিয়ে যাবে।
এখন দেশে জনসংখ্যা বেশী। জনসংখ্যা অনুপাতে সরকারি চাকরির পদ সংখ্যা খুব কম। মনে করেন ছাত্র আছে ১০০ জন। সরকারি পদ আছে ২০ টি। আপনি যদি ১০০ জনকে সরকারি আমলা বানানোর জন্য শিক্ষা দেন তাহলে বাকি ৮০ জন কি করবে? আমাদের দেশে তো দর্জি, বাবুর্চি, সাইবার সিকিউরিটি সহ আরো অনেক সাপোর্ট লাগবে। সবাই যদি একই পেশার জন্য লেখা পড়া করে বাদ বাকি সার্ভিস কে দিবে?
যেমন আমি। আমাকে a স্কোয়ার, b স্কোয়ার সূত্র শিখে কি লাভ হযেছে? আমাকে যদি কম্পিউটার ইজ্ঞিনিয়ার বানাতে পারতো তাহলে আমি সাইবার সিকিউরিটি হতে পারতাম। মেয়েরা সাইবার নিরাপত্তায় বেশি ভুগেন। তাদের সার্ভিস দিতাম। তারপর মনে করেন। আমি এন্টিভাইরাস বানাতে পারতাম। যা বিক্রি করে লাখ লাখ ডলার কামাতে পারতাম।
আসিয়া নামক মেয়ে সেলাই এর কাজ ভালো পারে। ডিজাইনেও সে ভালো। তাকে যদি সেই কাজে ট্রেনিং দেয়া হতো তাহলে সেও কোটি কোটি টাকা কমাতে পারতো৷ যে দেশে সরকারি পিয়নের দাম কোটি টাকা। সেই দেশে বিল গেটস কিভাবে জন্মাবে??
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




