
আরমান একজন গ্রামের ছেলে। খুব অজপারা গ্রাম যাকে বলে। তাদের গ্রামে যেতে হলে মাটির রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। তার গ্রামে পাকা রাস্তা যায় নি। তাদের গ্রাম থেকে বজার ৩ কিলোমিটার দূরে। একদিন সে পুলিশ এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখলেন। এই সার্কুলারে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ ফটোকপি, ছবি প্রিন্ট ইত্যাদি ৩ কিলোমিটার দূরের বাজারে পাওয়া যায় না। সে জন্য তাকে ৮ কিলোমিটার দূরে গৌরিপুর বাস স্ট্যান্ডে যাওয়া লাগবে।
নিশাত একজন বেকার। সে বিদেশ যাবে। পাসর্পোট আবেদন এর জন্য তাকে সেই ৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে কম্পিউটার এর দোকানে দিয়ে অনলাইনে পাসর্পোট আবেদন করেছেন।
জ্বি। গ্রাম দেশে এসব সুবিধা হাতের কাছে যায় না। ঢাকা শহরে যেমন ঘর থেকে বাহির হলেই ফটোকপি, কনফেশনারি, অনলাইন সেবা, কম্পোজ ইত্যাদি সেবা পাওয়া যায়। গ্রাম দেশে পাসপোট সাইজের ৪ কপি ছবি তুলতে গেলেও মিনিমাম চার কিলোমিটার দূরে যাওয়া লাগে।
আরমান এবং নিশাতের গল্পটি মনে রাখিয়েন।
২০০৮ বা ২০০৯ সালে নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। তিনি তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের নিয়্যাত করেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি বাস্তব রুপ হচ্ছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। পৌরসভার জন্য পৌর ডিজিটাল সেন্টার। এবং সিটি কর্পোরেশনের জন শহর ডিজিটাল সেন্টার।
ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান হচ্ছেন উদ্যো্ক্তা। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের একটি অঙ্গ। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। তারা সরকার থেকে ভাতা পায়। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এবং হিসাব সহকারী সরকার থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের নির্বাাচন করা হয়। এবং তারা সরকার থেকে বেতন ও বোনাস পান। একজন উদ্যোক্তা সরকার থেকে কোন বেতন বোনাস, ভাতা কিছুই পান না। তারা জনগণ কে সেবা দিয়ে যে মজুরি পান সেটাই তার আয়।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে গ্রামবাসী কি কি সেবা পায়:
০১। যাবতীয় অনলাইন সেবা: অনলাইনের যাবতীয় সেবা যেমন অনলাইনে চাকরির আবেদন, অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন, জন্ম নিবন্ধন, সহ অনলাইনে যাবতীয় সেবা পেয়ে থাকে।
০২। কনফেশনারী: ফটোকপি, ছবি থেকে ছবি, কম্পিউটার কম্পোজ, প্রিন্ট, লেমনেটিং এসকল সেবা পেয়ে থাকেন।
০৩। প্রত্যয়ন পত্র লিথা: এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে নাহল তরকারি ওরুফে ইমরোজ ৭৪ একই ব্যাক্তি। বা ইমরোজ ৭৫ ভালো মানুষ। এই জাতীয় প্রত্যয়ন পত্রের টাইপ করে প্রিন্ট করে দেন এই উদ্যোক্তা। তাছাড়া অনলাইনে ডিজিটাল প্রত্যয়ন পত্র এর সেবাও তিনি দিয়ে থাকেন। এই সকল সেবা দিয়ে উদ্যোক্তা জনগণ থেকে যে মজুরি পায় সেটাই হচ্ছে একজন উদ্যোক্তার আয়। বা ইনকাম।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার আসার পর আরমান এবং নিশাতের মত কাউতে আর দূরে গিয়ে এই সকল সেবা নেওয়া লাগে না। এই ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ঘরের পাশেই বলা যায়। তাই এই সকল সেবা এথখন ঘরেই কাছেই পাওয়া যায়। তার জন্য আমি জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ধন্যবাদ জানাই। এবং তাহার জন্য দোয়া করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




