সকালে ঘুম থেকে উঠেই হাসান বারান্দায় বসে থাকে। এ সময় তার ছোট ভাইয়ের বউ গোসল করে ঘরে ফিরে। হাসান এই দৃশ্যটা দেখার জন্যই প্রতিদিন বসে থাকে। তার রক্তে ঝনঝন আওয়াজ হয়। অনেকটা কাচের জিনিসপত্র ভাংলে যেমন আওয়াজ হয় তেমনি। হাসান একটি দুঃসপ্নের ভেতর জেগে উঠে, সপ্ন খুঁজতে থাকে।
গত কয়েকদিন ধরে খাবার নিয়ে হাসান ঝামেলা করছে। তার ছোট তিনটি ভাই বিয়ে করেছে, অথচ তাকে বিয়ে করানো হচ্ছেনা। তার মা তাকে বোঝান , 'পাত্রী খোঁজা হচ্ছে, শ্রীঘ্রই তোর বিয়ে দিব'। সে বিশ্বাসের দৃষ্টিতে তার মায়ের দিকে তাকায়। সে সপ্ন দেখতে থাকে, একটি মেয়ের সপ্ন , যে ভেজা চুলে তার সামনে এসে দাড়াবে। অনন্ত রাতগুলো , অনন্ত দিনগুলো কাটিয়ে দিবে তার পাশে।
হাসান বারান্দায় এসে বসে। তার ছোট ভাইয়ের বউটি তার সামনে দিয়ে যায়। হাসান নিজের শীর্ণ হাত আর পাগুলোর দিকে তাকায়। সে হামাগুড়ি দিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে। তার অচল হাত পা গুলোকে সে স্পর্শ করে। তার চোখ বেয়ে জলধারা নেমে আসছে। সে শুনতে থাকে অদ্ভূত এক ঝনঝন আওয়াজ। কোন এক গভীরে কিছু যেন ভেঙ্গে পড়ছে। হাসান নিজের ভিতর কান পাতে। হাসান শুনতে থাকে এক অবিরাম ভাঙণের শব্দ।