বর্তমান সময়ে প্রায়ই দেখা যায় চাঞ্চল্যকর কোন অপরাধে আসামী ধরা পড়লে তাকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। তবে ইচ্ছে করলে অপরাধ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিতে পারে, বা নাও দিতে পারে।
এতদিন তাতে কোন সমস্যা হয় নাই। কিন্তু ফেন্সিডিল পাচার করার সময়ে এক ম্যাজিস্টেট অস্ত্রসহ ধরা খাওয়ায় যখন তাকে সাংবাদিকদের সামনে আনা হলো এবং সেই ম্যাজিস্টেট নিজেই অপরাধের কথা কবুল করলো (অপরাধের প্রমান তো ছিলই) তখনই বিচারকদের পাছায় আগুন লেগে গেলো....
বিডিনিউজের খবর...
Tue, Dec 4th, 2012 12:32 am BdST
ঢাকা, ডিসেম্বর ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ভোলার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জাবেদ ইমামকে ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে বাধ্য করার বিষয়ে পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত।
সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম এম এ সালাম এই আদেশ দেন। ৬ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তাকে বলতে হবে, কোন আইনে তারা এই কাজ করেছেন।
যাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে, তারা হলেন- উপ-কমিশনার (রমনা) নুরুল ইসলাম, নিউ মার্কেট থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শফিকুল ইসলাম, জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারী এস আই নূর হোসেন, মামলা লিপিবদ্ধকারী শাফিয়ার রহমান।
সহকারী জজ জাবেদকে গত শনিবার সন্ধ্যায় নীলক্ষেত এলাকা থেকে ব্যাগভর্তি ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়, যেখানে তিনি যশোর থেকে এই ফেনসিডিল আনার কথা স্বীকার করেন।
বিভিন্ন মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে পর সংবাদ সম্মেলন ডেকে তাদের বক্তব্য তুলে ধরার নজির পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের ক্ষেত্রেও রয়েছে।
আদালতের লিখিত আদেশে বলা হয়, “যেভাবে গণমাধ্যমের সামনে বিচারক জাবেদ ইমামকে হাজির করা হয়েছে, তা ফৌজদারি কার্যবিধির পরিপন্থী।
“পুলিশ বিচার বিভাগকে জনগণের সামনে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিডিয়া ট্রায়াল করেছে, যা পুলিশ কর্মকর্তারা করতে পারেন না।”
আদেশে আরো বলা হয়, এভাবে একজন আসামিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে তাকে বিচারের আগেই দোষী প্রমাণিত করা হয়ে থাকে, যা আইনের পরিপন্থী। এতে মামলা তদন্ত কাজসহ বিচারিক কার্যক্রমও বিঘিœত হতে পারে।
গ্রেপ্তারের পর বরখাস্ত হওয়ার মুখে থাকা বিচারক জাবেদ ইমামের কাছ থেকে ৩৪২ বোতল ফেনসিডিল এবং একটি গুলিভর্তি পিস্তল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ, তবে ওই জব্দ তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
আদালত বলেছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৩ ধারা মতে মামলার জব্দতালিকা প্রস্তুত করার সময় দুই বা তার বেশি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত থাকতে হবে এবং তাদের স্বাক্ষর নিতে হবে।
জব্দ তালিকার সাক্ষীরা কেউ গণ্যমান্য না হওয়ায় একে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়েছে আদালত।
শনিবার রাতে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে জাবেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, যশোর সদর থেকে নিজের মাইক্রোবাস চালিয়ে ফেনসিডিল নিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। এগুলো লিংকন নামের একজনকে দেয়ার কথা ছিল।
গত রোববার জাবেদ ইমামের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন একই হাকিম। এই বিচারককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়ে সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চেয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
২০০৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০০৮ সালের মে মাসে সহকারী জজ হিসাবে চাকরি শুরু করেন জাবেদ ইমাম। সম্প্রতি যশোর থেকে তাকে ভোলা বদলি করা হয়েছিল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/এমআই/০০২৮ ঘ.
আলোচিত ব্লগ
রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা
বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন
চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?


৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।