তাকে তো সে ঘুমন্ত দেখেছিলো একদিন
শান্ত চোখে মুখে, একটা ভাপা গরম নিশ্বাসও টের পেয়েছিলো সে
হাতটা এগিয়ে, তারপর কি ভেবে,
কতোকাল কেটে যায়; যাচ্ছে, অবাক হওয়ার কিছু নাই- তবু
দুই হাঁটু গেড়ে, আর মাথাটা মুড়ে–নতজানু হোয়ে রাজকন্যার মতো
ক্যানো যে তাকে অভিবাদন করা হোয়েছিলো তা ঠিক বোধগম্য নয়।
তবে এমনটা হতে পারে- যা তাকে ভাবা হয় ক্রমশ; (হোয়েছিলো),
একটি শীতল ঝর্নার মতো অনেক স্রোতের সাথে মিশে দেহ ধুয়ে ফেলা, অথবা কোন অপরূপ আভা- বটে, কারণ রূপ তো (অপ) ই হয়, মাঝে মাঝে তীব্র ক্রোধে
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে
________জ্বালিয়ে পুড়িয়ে-
ছাই করে দেয় উপাসনাকারী
কি ভীষণ আগুণ, দুর্ব্যবহারি; এবং তার ভাপ-আজন্ম উত্তাপ,
আকৃতি বিশেষে তবুও চর্ম- চক্ষের উপাসনা;
তারপর নেশা-
এমনও বুঝি হয়; মদ খেয়ে টাল হোয়ে গেলে দুটি পা ভেস্তে যায়
দুটি পথে;
শুধু দুটি হাত নিয়ে আমিও বড্ড বিপাকে
কি যে করবো, কোথায় লুকাবো
________________ চিন্তায় চিন্তায়
ভাবলাম, তাকে হাত দুটো দিয়ে দেওয়া যায়; নিজস্ব দুই হাতে সে আর কতোই বা উপাসনা করবে? প্রতীক্ষার ভঙ্গী নিয়ে বসে আছে- চার হাত
হলে আরও বিশুদ্ধ হবে তার পুজো, এবং যদি ক্রোধান্বিত
কুমারীর ঘুম ভাঙে একবার, তাহলে এই ওম ধরা পৃথিবীতে আবার রাত্রি হবে,
কারন এই কুমারী রাত্রি জাগে;
সে জাগে নি বলে
কোন রাত্রি নেই, এই পৃথিবীতে শুধু দিন হোয়ে আছে;
এই পৃথিবীতে শুধু দিন হোয়ে আছে।
এই পৃথিবী শুধু নাই হোয়ে আছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


