কিন্তু মৃতু্যদূতের নিকট হাজিরা দিতে গিয়ে
মনে পড়ে যায়; আমি মৃত।
কলিজা চিপে রক্ত বের করার
ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলো তারা,
বৃথা প্রচেষ্টা করল, মাত্র দুফোটা রক্ত।
তারপর ভ্রূক্ষেপ করে চাপা এক আক্রোশে
বিশুদ্ধ নিষিদ্ধ ঙাষায় ঠোঁটের একপাশ
থেকে বের হয়ে আসল "শালা"।
সম্বোধনটি পছন্দ হলনা, দূর্বল এক থাবা
বসিয়ে দিলাম, কিন্তু ওদের ঙেতর কোন
প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করলাম না, ততক্ষণে যে আমি
এক অদৃশ্য অশরীরি।
কিছু নতুন অঙিজ্ঞতা, কিছু অপরিচিত বেদনা,
বৃষ্টিকে স্পর্শ করতে না পারার
মিষ্টি এক বেদনা, তারাও তিক্ত।
বৃষ্টির ফোটাগুলো আমার বিরুদ্ধে মিছিল ডাকল,
তাদের দাবি আমি আবার যেন তাদের
দুহাতে জমিয়ে আটকে রাখার বৃথা চেষ্টা করি।
আজ বেদনা আমাকে দেখলে হাসে,
নিয়তি মাথা ঝাকিয়ে কি যেন বলে,
বৃষ্টিরা প্রতি রাতে মিছিল করে।
আমার পায়ের নিচের মাটি ভীষণ কঠিন হয়ে গেছে
কুড়োল দিয়ে আঘাত করলে নিজের হাতই প্রকম্পিত হয়।
যখন এখানে প্রথম আসি,
প্র্রায়ই দেখতাম সাদা পোশাকে কারা যেন
ছুটোছুটি করে; তাদের সেই মুখগুলো
আমার অপরিচিত বেদনা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




