ইনডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা আজকের এক খবরে জানাচ্ছে যে, এই প্রথম ভারতের উপকূলের এত কাছাকাছি জলসীমায় এই প্রথম পাইরেটরা কোন জাহাজের দখল নিল। ভারতের লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জ-এর খুব কাছের জলসীমায় থাকার সময়
'জাহান মনি' নামের বাংলাদেশের ওই 'বাল্ক ক্যারিয়ার' বানিজ্যিক জাহাজটি সন্দেহভাজন সোমালিয় পাইরেটরা নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে বলে জানা গেছে। (জাহান মনি'র এই ছবিটি গত ৯ জুন দক্ষিন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইড বন্দর থেকে তুলেছেন অস্ট্রেলিয় ফটোগ্রাফার লেস ব্লায়ার।)
(চিত্রে একেবারে ডান দিকে নীচে দেখা যাচ্ছে) ইন্দোনেশিয়া থেকে কার্গো নিয়ে জাহাজটি তখন শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ পার হয়ে আরব সাগরে লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জের পাশ্ববর্তী সমুদ্রে ছিল।
ব্রেভ রয়াল শিপিং নামের একটি কোম্পানির মালিকানার এবং বাংলাদেশে নিবন্ধীকৃত অর্থাত বাংলাদেশের পতাকাহী ওই জাহাজটির বিষয়ে 'ইন্টারন্যাশনাল ম্যারিটাইম বুরো' জানিয়েছে;
লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ-- ''Minicoy দ্বীপের ৬৭ নৌ মাইলের মধ্যে জাহাজটি আক্রান্ত হয়''। জাহাজে একজন ক্রুর পরিবারের সদস্য সহ মোট পচিশজন ক্রু আছেন। উল্লেখ্য, লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জের দক্ষিন ও পশ্চিমে মোট ৭০ নৌ মাইল হল ভারতের বিশেষ অর্থনৈতিক জলসীমার অন্তর্ভুক্ত। নিজেদের অর্থনৈতিক জলসীমার মধ্যে এমন একটি পাইরেসির ঘটনা ঘটায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিব্রতবোধ করছে বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে।
লজ্জিত বোধ করার আরও কারন:
আর এই ঘটনা ঘটল ঠিক এমন সময় যখন ভারতীয় নৌবাহীনি ঠিক ওই এলাকা ছাড়িয়ে আরো নব্বই নৌ মাইল পর্যন্ত পাইরেসি বিরোধী অপারেশন চালাচ্ছিল।
নৌবাহীনির নেতৃত্বে এবং কোস্টগার্ডসহ কয়েকটি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত পাইরেসি বিরোধী টাস্কফোর্সের জাহাজ-গানবোট এবং নজরদারি বিমানগুলো ওই অপারেশনের অংশ হিশাবে লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জের সহ আরো ১৫০ নৌমাইল দক্ষিন ও পশ্চিমের জলসীমায় (মুম্বাই উপকুল থেকে মোট ৫০০ নৌমাইল) তল্লাশি চালাচ্ছে ও নজরদারি করছে গত ৩০ নভেম্বর থেকে।
অক্টোবর মাসে পানামার পতাকাবাহি একটি বানিজ্যিক জাহাজ ওখানে নিখোজ হবার পর, ভারতের কর্তৃপক্ষ মনে করছেন যে ওই জাহাজটি সোমালিয়ার পাইরেটরা এখন পাইরেসির কাজে ব্যবহার করছে। পানামার ওই জাহাজটিসহ পাইরেটদের ব্যবহৃত সম্ভাব্য অন্যান্য জাহাজ আটকাতে অপারেশনটি চলছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





