ব্রিজের নিচে বসে আমরা কজন মিলে মজা খাচ্ছিলাম। আমি রীতিমত গড়াগড়ি করছিলাম। কখন যে গাঁজার স্টিকটা শেষ হয়ে গেল খেয়ালই করি নি। যাহ! মুখে ছ্যাকটা লেগে গেল।
আজকে আমার জন্মদিন। ভাই ব্রাদার নিয়ে এসেছি কিছু খাওয়াতে। গরীব ঘরের ছেলে আমি। দামী জ়িনিষ খাওয়ানোর মত টাকা নাই। আর আমার ভাই ব্রাদারদের গাঁজা হইলে আর কিছু লাগে না। গাঁজাতেই দুনিয়ার সব সুখ।
হঠাৎ অবন্তী স্পটে হাজির হয়ে গেল। সে আমাদের বাড়িওয়ালার মেয়ে। কতবার তাকে বুঝিয়েছি যে তার সাথে আমার যায় না। সে বড়লোকের আদুরে দুলাল আর আমি একটা সামান্য আয়ের গরীব ঘরের ছেলে। তবুও সে আমাকে ভালোবাসে। আমি তার থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করি কিন্তু সে কিছুতেই পিছু ছাড়ে না।
আহ! আজকে আরো সুন্দর আর মায়াবী লাগছে তাকে, মনে হয় কড়া সাজ দিয়েছে। আমি বুঝিনা অবন্তী যেখানেই যায় কোথা থেকে যেন একটা মৃদু হাওয়া বইতে থাকে। আমি তখনো মাটিতে শুয়ে আছি, উঠে দৌড় দিতে যাব কিন্তু অবন্তী ধরে ফেলায় আর দৌড় দিতে পারলাম না। আমাকে রেখে সবাই কেটে পরল।
- তুমি এখানে। আর আমি তোমাকে সারা এলাকা খুজে মরছি।
- আমিতো সকাল থেকে এখানেই ছিলাম।
- এখন জলদি চলো।
- না, আমি যাব না। আজকে সারাদিন এখানেই কাটাব।
- কি যা তা বলছ! এখানে কি মানুষ থাকে। কি বিশ্রি একটা জায়গা। এখন কথা না বাড়িয়ে চল তো।
- কোথায় যাব?
- আমি যেখানে নিয়ে যাব।
- আরে তুমি নিলেই কি আমার যেতে হবে নাকি! আমি যেতে পারব না।
- দেখো, আজকে তোমার জন্মদিন। তোমাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাব, সারাদিন রিক্সায় ঘুরব আরো কত কি প্লান করে বেরিয়েছি আজকে আর তুমি কিনা যাবেই না। এত্ত আনরোমান্টিক কেন তুমি?
- তুমি না কথা বেশি বল।
- তাহলে চলো।
- হুম।
......অবন্তী না থাকলে হয়ত সারাদিন এই জন্জালেই কাটাতাম। এখন যাচ্ছি ওর সাথে। .....অনেকের হয়ত জন্মদিনে কেউ জিজ্ঞেস করে দেখার ও থাকে না, হয়তো সময় কাটাবার মতও কেউ থাকে না। বাট থ্যানক্স গড! আমি অনেক সুখী যে, আমার জন্য চিন্তা করার কেউ তো আছে। কেউ একজন তো আছে যে শুধু আমাকে নিয়েই ভাবে।
**********************************
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১৩