এক শ্রেণীর মোটর সাইকেল আরোহী আছেন যারা তারুন্যের জন্যেই হোক বা "রোড-মাস্টার লাইফ" পছন্দ করেন বলেই হোক তারা যাপন করেন বেপরোয়া জীবন। অন্য অনেক কিছুতে প্রকাশ পাক বা না পাক, মোটর সাইকেল এ আরোহণ করার পর এনাদের হয়ত অনেক কিছুই মনে থাকে না - নিজের কথা বা পরিবারের কথা।
এছাড়া আরেক শ্রেণী মোটর সাইকেল আরোহী আছেন যারা একদম ছা-পোষা মানুষ, জীবিকার তাগিদে মোটর সাইকেল ব্যাবহার করতে বাধ্য হন। ঔষধ কোম্পানীর সেলস-পারসন, কোন প্রাইভেট কোম্পানির কমার্সিয়ালের কর্মচারী, জরুরী কাজে নিয়োজিত কোন বার্তাবাহক, সিকিউরিটি বা ক্লিনিং কোম্পানির সুপারভাইজর, সময় বাঁচাতে অনেক কর্মকর্তাও বাধ্য হন এই মেট্রোপলিটন শহরে মোটর সাইকেলে আরহোণ করতে। কিছু কনিষ্ঠ সাংবাদিক ভাইরাও কাজের চাপে এই বাহন ব্যবহার করেন।
তো আপনারা যে যার জীবিকার তাগিদে যতই নিজের জীবনের উপর ঝুকি নেন না কেন; আপনাদের প্রিয় পরিবারের প্রাণাধিক প্রিয় সদস্যদের জীবনের উপর ঝুকি নেয়া কি ঠিক ? !
প্রথম ছবিটাতে দেখুন -
আরোহী প্রায় সাইকেলের তেলের ট্যাংকের উপর উঠে গেছেন, তারপর একটি ৫/৬ মাসের শিশু, শিশুটিকে চেপে বসে আছেন আরেকজন আরোহী, তারপর একজন মহিলা তার সামনের আরোহীর গলা পেচিয়ে বসেছেন। চালক ছাড়া কারোর মাথাতেই হেলমেট নেই।
দ্বিতীয় ছবিটিতে দেখুন -
চালক হেলমেট পরে একদম ট্যাংকি ঘেষে আছেন, তারপর একজন মহিলা এবং শেষের মহিলা প্রায় মোটর সাইকেলের ক্যারিয়ারের উপর বসে আছেন।
এই দুই ছবির পেছনের আরোহীগণ ছোট একটা গর্তে পড়ে গেলে বা হালকা একটা ধাক্কা খেলেই শতকরা ৯০ ভাগ সম্ভাবনা যে ওনার সাইকেল থেকে পড়ে যাবেন।
এই আরোহীরা হয়ত চালকের বোন বা স্ত্রী বা ভাই বা বাচ্চা বা প্রেমিকা। ভাই চালক, নিজের জীবনের উপর না হয় ঝুকি নিচ্ছেন জীবিকার তাগিদে; কিন্তু এই প্রিয়জনদের উপর নিবেন না দয়া করে।
আর যদি ভেবে থাকেন - আমি নিজেই ঝুকি নিয়ে পথে-ঘাটে চলি; তো আমি যদি না বাঁচি আর এরা বেঁচেই কি লাভ?
সেক্ষেত্রেও বলি - এই ধরনের দুর্ঘটনায় হয়ত আপনি বেঁচে যাবেন, আপনার স্ত্রী বা বোন বা ভাই বা শিশু বা প্রেমিকা হয়ত বাঁচবেন না।
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




