মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আস সালামু আলাইকুম। নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে ভালো আছেন। এ অধম গোলামও মহান আল্লাহ পাকের দয়ায় ভাল আছি। আজও আপনাকে কিছুটা বিরক্ত করে কষ্ট দিতে চাচ্ছি। আমি ভাল করেই জানি দেশবাসীকে করোনার ছোবল থেকে মুক্ত করতে, দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করতে ও দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে আপনি নির্ঘুম ও ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি শুধু মনের খেয়ালেই আপনাকে বিরক্ত করছি না। আমিও আপনার, সারা দেশবাসীর মঙ্গল ও শান্তি চাই। আমাদের সকলের মঙ্গল ও শান্তি আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর হাতে। সেই মালিকের পক্ষ থেকে সুখ ও শান্তি পেতে হলে তার বাধ্যগত ও প্রিয়পাত্র হতে হয়। মানুষ মালিকের বাধ্যগত ও প্রিয়পাত্র হতে তার মনোনীত একজন দাসের বাধ্যগত ও প্রিয়পাত্র হতে হয়। এ ছাড়া আল্লাহর বাধ্যগত ও প্রিয়পাত্র হওয়ার আর কোন উপায় নাই। আল্লাহ পাক অসীম দয়ালু ও মহাবিজ্ঞ। তিনি সব বিষয়ে জ্ঞাত ও সর্বশক্তিমান। তিনি তার বান্দাদের শাস্তি দিতে চান না কোন ভুলের কারণে। তবে সকল মানুষ যখন ভুল করে কিংবা তাকে ভুলে যায় তখন তিনি মানুষকে তাদের ভুল বুঝিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এ জন্য যুগে যুগে শেষ নবী (সঃ) এর প্রতিনিধি হিসেবে আল্লাহ পাকের ওলী বা দোস্ত পাঠান। আল্লাহ পাকের ওলী বা দোস্তকে বিশ্বাস ও আনুগত্য করাই নবী (সঃ) কে বিশ্বাস ও আনুগত্য করা। আর নবী (সঃ) কে বিশ্বাস ও আনুগত্য করাই আল্লাহকে বিশ্বাস ও আনুগত্য করা। আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ইন্তেকালের পর এ পর্যন্ত তিনি জগতে শেষ নবী (সঃ) এর প্রতিনিধি হিসেবে বহু ওলী- আল্লাহ প্রেরন করে জগতবাসীকে সতর্ক ও সংশোধন করেছেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত এই ব্যবস্থা কায়েম রাখবেন। এই ব্যবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ পাক তার পাক কালামে ও তার রাসূল হাদিস শরিফে অনেক পূর্বাভাস দিয়েছেন। শুধুমাত্র আপনার সদয় অবগতির জন্য এখানে কিছু রেফারেন্স পেশ করছি। যেমন, " প্রত্যেক উম্মতের জন্য একটা নির্দিষ্ট কাল আছে, সেই কাল এক মূহুর্ত আগেও আনা যাবে না কিংবা এক মূহুর্ত পরেও আনা যাবে না (৭:৩৪)।" আল্লাহ পাকের রাসুল ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, " নিশ্চয়ই প্রতি শতাব্দীর শিরোভাগে এই উম্মতের জন্য আল্লাহ পাক এক একজন ধর্ম সংস্কারক বা মুজাদ্দিদ প্রেরণ করিবেন (আবু দাউদ শরীফ)।" এ ছাড়া আরো কিছু উদ্ধৃতি দিয়ে রাখছি- "আপনি (মুহাম্মদ (সঃ) ) কেবল ভয় প্রদর্শক, আর প্রত্যেক কাওমের(জাতির) জন্য একজন পথপ্রদর্শক হইয়া থাকেন(১৩:৭)", " মনে রাখিও, আল্লাহর দোস্তদের(ওলীগণ) না কোন আশাঙ্কা আছে- আর না তাহারা বিষন্ন হইবে (১০:৬২)", " আল্লাহ নিজ বান্দাগণের মধ্য হইতে যাহার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্ৰহ করিয়া থাকেন (১৪:১০)", "আমার দায়িত্ব পথ প্রদর্শন করা, আমি মালিক ইহকাল ও পরকালের (৯৩:১২~১৩)", "আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিশেষভাবে স্বীয় অনুগ্রহ দান করেন। আল্লাহ মহান অনুগ্ৰহদাতা(২:১০৫)"।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আল্লাহ পাক ও তার রাসূলের বানীতে পুরাপুরি মিল আছে। আল্লাহ পাক উপরে উল্লিখিত কোরআনের আয়াতে উম্মতের যে নির্দিষ্ট কালের কথা বলেছেন আর আমাদের শেষ নবী ( সঃ) তার উম্মতের সেই কালকে সুনির্দিষ্ট সংখ্যায় প্রকাশ করেছেন। অর্থাৎ উম্মতে মোহাম্মদীর ইসলাম ধর্ম একশত বছরের মাথায় সংস্কার করার দরকার হবে এবং আল্লাহ পাক এই সংস্কারের জন্য প্রতি একশত বছর পর পর একজন ধর্ম সংস্কারক বা মুজাদ্দিদ প্রেরণ করিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি একজন মানুষ, একজন মুসলমান, একজন মহান নেতা, একজন সফল ও দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং পবিত্র কুরআন ও হাদীস আপনার বিবেক, বুদ্ধি ও জ্ঞান খাটিয়ে বুঝতে হবে। এই জন্যই আপনার সামনে এ অধম ধর্ম সম্পর্কে কিছু কথা পেশ করছি। আমি আশা করি আপনি আমার ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পবিত্র কুরআন শরীফে প্রত্যেক উম্মতের যে নির্দিষ্ট আযাল বা কালের কথা বলা হয়েছে তা সকল উম্মতের জন্য চিরস্থায়ী ব্যবস্থা। দুই নবী বা রাসুলের মধ্যবর্তী সময়কে আযাল বা নির্দিষ্ট কাল বলে।যেমন, হযরত আদম (আঃ) ও হযরত নূহ (আঃ), হযরত নূহ (আঃ) ও হযরত ইব্রাহীম (আঃ), হযরত ইব্রাহীম (আঃ) ও হযরত ইমরান (আঃ), হযরত ইউসুফ (আঃ) ও মূসা ( আঃ), হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত ঈসা (আঃ), হযরত ঈসা (আঃ) ও হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর মধ্যবর্তী সময়কে আযাল বা নির্দিষ্ট কাল বলে। আল্লাহ পাক কখনো ভুল করেন না কিংবা ভুলে জান না। কিন্তু কোন মানুষই ভুলের উর্ধ্বে নয়। মানুষের স্বভাব ভুল করা এবং ভুলে যাওয়া। তাই কোন নবীর উম্মত নবীর শিক্ষা ও উপদেশ হুবহু চিরদিন ধরে রাখতে পারে না। এ পর্যন্ত সকল নবীর উম্মতের ক্ষেত্রে এ রকম হয়েছে। আর আল্লাহ পাক এক নবীর উম্মত যখন নবীর শিক্ষা ও আদর্শ ভুলে গিয়ে দলে দলে বিভক্ত হয়ে পরষ্পর ঝগড়া বিবাদ, মারামারি,খুনাখুনি ইত্যাদিতে লিপ্ত হয়ে চরম অশান্তির অনলে দগ্ধ হয়, ঠিক তখনই নতুন নবী প্রেরণ করে তার মাধ্যমে সকল মতানৈক্য ও মতবিরোধ মীমাংসা করে তাদের মধ্যে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। এটা আল্লাহ পাকের মানুষের প্রতি বিশেষ দয়া। আমাদের শেষ নবীর উম্মত কি সকল ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে হতে পারে? এ রকম বিশ্বাস করলে তো মহা শিরক হয়ে যাবে। সবচেয়ে বড় পাপ হলো শীরক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, একজন নবী বা রাসুল যতদিন জীবিত থাকেন ততদিন তার উম্মত ঐক্যবদ্ধভাবে একই বিশ্বাস ও একই রকমের আমলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকেন। ফলে তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে। তাদের মধ্যে কখনোও কোন বিষয়ে মতানৈক্য বা মতবিরোধ দেখা দিলে নবী বা রাসুল নিজে তাদের মতবিরোধের মীমাংসা করে দেন। ফলে তার অনুসারীদের মধ্যে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি অটুট থাকে। এই কারণেই নবী বা রাসুলের জীবদ্দশায় সমাজে বা দেশে শান্তি বিরাজ করে। এই আদর্শ দেখে মানুষ নবী বা রাসুলের প্রচারিত ধর্ম মত গ্ৰহন করে। কিন্তু নবী বা রাসুলের ইন্তেকালের পর যতদিন পর্যন্ত তার অনুসারীগণ এক নেতা মান্য করে ঐক্যবদ্ধভাবে এবং শৃঙ্খলার সাথে ধর্ম ও রাষ্ট্রের যাবতীয় কার্যকলাপ সম্পন্ন করে ততদিন তাদের মাঝে শান্তি থাকে। কারণ, উম্মতের শক্তি একতার মধ্যে। এটা আল্লাহ পাকের বিধান। এই কারণেই অন্য কোন মত বা নীতি তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। কিন্তু যখন কোন নবীর উম্মত মতানৈক্য ও মতবিরোধের কারণে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন নেতার ও নীতির অনুসরণ করে তখনই তাদের ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, ও সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যায় এবং নিজেদের মধ্যে দ্বন্ধ, সংঘাত সৃষ্টি হতে থাকে। এই অবস্থা বহু সময় ধরে চললে নবীর অনুসারীদের মধ্যে স্থায়ীভাবে পরষ্পর ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যায় এবং ঝগড়া বিবাদ, মারামারি, শত্রুতা ইত্যাদি সৃষ্টি হয়। ফলে সমাজে ও দেশের মধ্যে তাদের শক্তি ও প্রভাব কমতে থাকে এবং নিত্য নতুন মত, পথ ও নীতির আবির্ভূত হয়ে ধার্মিকদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এভাবেই ধর্ম নিরপেক্ষ নীতির উৎপত্তি হয়ে সকল ধার্মিকদের ওপর চেপে বসেছে। এ জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী ধর্মগুরুরা। কারণ, সমাজ ও দেশের মানুষের সুখ, শান্তি, সম্প্রীতির জন্য যে ঐক্য ও শৃঙ্খলা প্রয়োজন তাতে সবচেয়ে বড় বাঁধা ধর্মগুরুদের মতানৈক্য ও মতবিরোধ। এই সময় ধর্মগুরুরা ধর্মকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়। মানুষের দান দক্ষিণা হয় তাদের রুজি রোজগারের একমাত্র উপলক্ষ্য। মানুষের মন জয় করে রুটি রোজগারের জন্য তারা নিত্য নতুন ফাহেসা ও মিথ্যা কেচ্ছা কাহিনী বানিয়ে ওয়াজ নসিহত শুরু করে। ফলে এক ওয়াজিনের সঙ্গে আরেক ওয়াজিনের দ্বন্ধ সংঘাত বাঁধে। দুই ওয়াজিনের এই সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে তাদের অনুসারীদের মধ্যে। এই রকম দ্বন্ধ সংঘাতে জড়িয়ে ধর্মের সুনাম ও ফল বিলীন হয়ে যায়। এই অবস্থায় আল্লাহ পাক কোন ব্যবস্থা গ্ৰহন না করলে পথ হারা মানুষের সঠিক পথ পাওয়ার আর কোন উপায় থাকে না। সুতরাং আল্লাহ পাক নিজে জগতবাসীর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। তিনি জগতবাসীর মধ্যে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য একজনকে শেষ নবীর প্রতিনিধি ও ওলী আল্লাহ মনোনীত করেন এবং তার নিজের পক্ষ হতে জ্ঞান ও হেকমত দান করেন। এই প্রতিনিধি বা ওলী মাধ্যমে তিনি জগতে প্রকাশিত হন এবং জগতের মানুষদের তিনি ক্ষমা করেন, আপন করেন। এটা তার পক্ষ থেকে জগতবাসীর জন্য অসীম দয়া ও ভালোবাসা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আল্লাহ পাক ও রাসুলের বানী বাস্তব ঘটনার সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে। শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ইন্তেকালের প্রায় এক শত বছরের মাথায় মুসলিমদের মধ্যে পরষ্পর বিরোধী অগণিত দল, শাখাদল, উপদল সৃষ্টি হয়। এদের মধ্যে প্রধান প্রধান দলগুলো হলো- জাহমিয়া, কাদরিয়া, জবরিয়া, খাওয়ারিজ, রাওয়াফিজ, মাজুসিয়্যাত, ছানুবিয়্যাত, সমুমানিয়্যাত, ইলহাদ, প্রভৃতি। এছাড়া আরো আছে- শিয়া ও তাদের অনেক উপদল, খারেজী ও তাদের সাতটি উপদল, মুরজিয়া ও তাদের উপদল, জাবরিয়া, মুতাযিলা, রাফেজী ইত্যাদি। এসব পরষ্পর বিরোধী দল, শাখাদল, উপদলের কোন্দল ও মতানৈক্যের ডামাডোলে কোন দলটি সঠিক তা নির্ণয় করা শুধু কঠিনই নয় বরং অসম্ভব ছিল। যখনই নবীর অনুসারীগণ ধর্ম বিষয়ে ভীষণ মতানৈক্য ও ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়, তখন ইসলাম ও কোরআন ধ্বংসের সম্মুখীন হয় অর্থাৎ কোন দল নবীর সঠিক অনুসারী তা নির্ণয় করা যায় না। ধর্মগুরুদর পরষ্পরের প্রবল মতানৈক্য ও মতবিরোধের কারণে অনেক মানুষ তাদের প্রতি আস্থাহীন হয়ে ধর্ম ত্যাগ করে। এই সময়ে অন্য মানুষকে ধর্মের দিকে দাওয়াত দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই কঠিন সময়ে আল্লাহ পাকের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়ে। যাই হোক, নবীজীর ইন্তেকালের প্রায় একশত বছরের মাথায় নবীর উম্মতের মতানৈক্য ও মতবিরোধ মীমাংসার জন্য ইমামে আযম হযরত আবু হানিফা (রহঃ) কে আল্লাহ পাক শেষ নবীর প্রতিনিধি হিসেবে যাবতীয় এলেম হেকমতে ভূষিত করেন। তার ক্ষুরধার যুক্তি ও জ্ঞানের আলোতে মানুষ তাদের ভুল বুঝতে পারে এবং তাকে আল্লাহ পাকের ওলী হিসেবে গ্ৰহণ করে সকলে ঐক্যবদ্ধ হন।
আল্লাহর মীমাংসা হলো তার মনোনীত বান্দার মত গ্ৰহন করে যে তার অনুগত হয়ে চলবে সে-ই আল্লাহর দলভূক্ত হবে, এবং যে আল্লাহর মনোনীত বান্দার মত গ্ৰহন করবে না এবং তার অনুগত হয়ে চলবে না সে যে-ই হোক , সে আল্লাহর দলভূক্ত থাকতে পারবে না। এভাবেই আল্লাহ পাক সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ণয় করে জগতে সব সময় সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত একটা দল রাখেন যাতে মানুষ তার ওপর কোন দোষারোপ করার কিংবা কোন ওজর আপত্তি পেশ করার সুযোগ না পায়। ইমামে আযম হযরত আবু হানিফা (রহঃ) যে সত্যই আল্লাহ পাকের জবর দসত ওলী ছিলেন তা আজ দিবালোকের মতো পরিষ্কার। বর্তমান বিশ্বের বহু দেশে তার মত ও আদর্শ সুপ্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে আমরা যে নামাজ, রোজা ইত্যাদি আমল করী তাতো সেই মহা ইমাম হযরত আবু হানিফা (রহঃ) মাযহাব মোতাবেক।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজ আর আপনাকে কষ্ট দিতে চাই না।
আপনার জীবনের সাফল্য ও সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। মহান আল্লাহ পাক আপনাকে ভালো রাখুন, সুস্থ রাখুন এবং তার নেক নজরে রাখুন, আমিন
ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন
সেক্রেটারি
বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি আহবায়ক সমিতি
খোলা চিঠি ৭
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:১৬