somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অখন্ড ভারতের গ্যাড়াকলে বাংলাদেশ। হিন্দুত্ববাদীদের ছলচাতুরী।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দীর্ঘদিন ধরে ইসকন এবং হিন্দুদের বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট দেশে হিন্দু নির্যাতন চলছে বলে অভিয়োগ করছে। উইকপিডিয়ার কাছে উল্লখিত তথ্য দ্বারা জানা যায়-১৯ সেপ্টেম্বের ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তথ্য তুলে ধরে। প্রতিবেদনটিতে ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনার উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৯ জনকে হত্যা, ৪ জনকে ধর্ষণ/গণধর্ষণ (এর মাঝে ১জন বাকপ্রতিবন্ধি),৬৯টি উপাসনালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ; ৯১৫টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ; ৯৫৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ; বসতবাড়ি দখল একটি; ৩৮টি শারীরিক নির্যাতন এবং ২১টি জমি/ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের ঘটনা ঘটেছে। ঐক্য পরিষদ বলছে, এসব ঘটনার সবগুলোই সাম্প্রদায়িক, রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা তারা লিপিবদ্ধ করেননি। ৩০ অক্টোবর প্রকাশিত নেত্র নিউজ-এর একটি অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, হত্যাকাণ্ডগুলোর কোনোটিতেই ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যের স্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বরং নিহত ৭ জনের ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্রতিশোধ, গণ সহিংসতা এবং অপরাধজনিত হত্যাকাণ্ডের মিশ্রণ কাজ করেছে। এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দাবিগুলি তাদের উল্লেখ করা সংবাদ প্রতিবেদন এবং তাদের নিজস্ব স্থানীয় কর্মকর্তাদের তথ্যের দ্বারাই খণ্ডিত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল যে, ৫ থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৪৯ জন শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের প্রধান বক্তা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী এক সমাবেশে বলেন, শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে ৯৩ জনকে পুলিশ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ভেটেরিনারি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দুদের শনাক্ত করা হচ্ছে। প্রিয় পাঠক, আপনারা তাদের অভিযোগগুলো জানলেন। কিন্তু তারা যে অভিযোগগুলো করেছেন তার বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে রাজনৈতিকভাবে।



এগুলো সম্পর্কে তারা পর্যাপ্ত তথ্য না দিয়েই অভিযোগ করেছে। এমনকি যে মন্দিরগুলোর কথা বলা হয়েছে তার বেশিরভাগ স্থানে মন্দির নামে কোন কিছু নাই যা সর্ম্পূন মিথ্যা দাবী। তবে তাদের দাবী অনুসারে ৯১৫টি বাড়িঘর ভাংচুর হয়েছে তবে সেগুলোর বেশিরভাগই ছিলো রাজনৈতিক আর কিছু ক্ষেত্রে রয়েছে প্রতিহিংসাপরায়নমূলক। রাজনৈতিক ভাবে বিগত সরকার ক্ষমতা থেকে নেমে যাবার পর চারিদিকে স্বেরাচারের দোসরদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। সেই হিসেবে যে সকল হিন্দু বিগত সরকারের সাথে আষ্টেপৃষ্টে ছিলো তাদের বাড়িঘর ভাংচুর হয়েছে। এটার তালিকা আছে তাদের কাছে। কিন্তু এগুলো ধর্মীয় নয় অথচ তারা এটাকে তার ধমীয় বলে প্রচার চালাতে আছে। তারা দাবী করেছে তাদের ৪৯জন হিন্দু শিক্ষককে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তারা শুধু তাদের শিক্ষককে দেখছে। কিন্তু বাংলাদেশে কত শত শিক্ষককে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে এটা কি হিন্দুদের বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট জানে না। জানে। কিন্তু তারা এটাকে ধর্মীয় না বলে রাজনৈতিক বলে দেশে একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটাতে চাই। আবার তারা বলছে সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে ৯৩ জনকে পুলিশ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যেখানে দেশে হাজার হাজার ছাত্র নিহত হয়েছে পুলিশের গুলিতে কত শত পুলিশকে গুলির অভিযোগে বিচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে চাকরী থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তারপেরেও ওরা শুধুমাত্র নিজেদের চাকরীর বিষয়টি তুলে ধরেছে এবং এটাকে সংখ্যালঘু বলে প্রচার চালিয়েছে। কারন ওদরে মনে দুরভী পরিকল্পনা আছে।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। সম্প্রতি গঠিত বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আসল নাম ছিল চন্দন কুমার ধর। বাংলাদেশে ইসকনের সংগঠকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। ভক্তরা তাকে ডাকেন ‘চিন্ময় প্রভু’ নামে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সনাতন ধর্মের নাগরিকদের অধিকার নিয়ে গঠিত জোটের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় তাকে। তিনি বিগত সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু জনসাধারন জড়ো করেছেন এবং সভা সমাবেশ করছেন।সমাবেশে নাকি কান্নায় প্রচার চালাচ্ছেন হিন্দুদের নির্যাতিত হবার কাহিনী। স্বনাদাশ নামের একজন কন্যাশিশু কিছুদিন আগে ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফএর গুলিতে নিহত হলে তিনি তার জনসভায় বলেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভারতীয় সেনাদের সামনে আত্মাহুতি দিয়েছেন। মিথ্যার কত রকম বেসাতী রুপ আছে তার চরম বহিপ্রকাশ ঘটেছে তার বিভিন্ন মন্তব্যে। কিন্তু কেনো এই মিথ্যা। এর পিছনে কি উদ্দেশ্য? কি এমন কারন আছে তার এমন মিথ্যা রটানোর। শুধু তাই নয় দেশীয় হিন্দু জোটের এরুপ মিথ্যা প্রোপ্রাডান্ডার সাথে চলছে ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যা প্রোপ্রাডান্ডা। বাংলাদশে এরকম নির্যাতনের বহু মিথ্যা পোষ্ট বিবিসি খুজে পেয়েছে এবং বিবিসি তাদের নিউজে এরুপ ব্যপক ভুয়া পোষ্ট নিয়ে লিখেছেও। মন্দিরে হামলা ও মোদী সরকারের সাহায্য চাওয়া নারীর ভাইরাল ভিডিও'র রহস্য উন্মোচন করেছে বাংলাদেশের বাংলাভিশন টিভি চ্যানেল। যাতে প্রমান হয় ভারতের গোয়েন্দা র এর তত্ত্বাবধানে এ জাতীয় ভূয়া খবর ভারতে প্রচার হচ্ছে এবং সেই খবর ভারতে প্রচার করে হিন্দু গন জাগরন সৃষ্টি করে মুসলিম বিদ্ধেষ ঘটানোর একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তাছাড়া রংপুরে নিহত কাউন্সিলর হারাধন রায়ের বাড়িঘর'সহ সংখ্যালঘুদের স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। এমনটাই জানিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা। দুপুরে, নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে 'বৈষম্যবিরোধী নাগরিক ঐক্যের ব্যানারে' সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজব রটানো হচ্ছে। সংখ্যালঘুরা কেউই ভারতে যাচ্ছে না। রংপুরে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট বলেও জানান তারা। মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান নেতারা।তাছাড়া চট্রগ্রাম হিন্দু মন্দির ভাংচুর হয়েছে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে যে গুজব কলকাতার মিডিয়া অনলাইনে যে তথ্য প্রচার করেছে তার পরিপেক্ষিতে মন্দির কমিটি বললেন আওয়ামীলীগের অফিস পোড়ানোর ভিডিও দেখিয়ে মন্দির পোড়ানোর দৃশ্য বলে চালিয়েছেন কলকাতার মিডিয়া।



প্রিয় ভিউয়ার, কিন্তু এগুলো কেনো করা হচ্ছে? কেনো এরুপ মিথ্যা প্রোপ্রাগান্ডা ছড়িয়ে যাচ্ছে কলকাতার অনলাইন মিডিয়া। তার কারন ভারতের অসৎ উদ্দেশ্য। জানা যাচ্ছে ভারত অখন্ড ভারতের স্বপ্নে বিভোর থেকে বাংলাদেশ দখলের ভয়াবহ স্বপ্ন দেখছে। আর এই অখন্ড ভারত সম্পর্কে তাদের থেকে জানা যায়-“গান্ধার থেকে ব্রহ্মদেশ, দক্ষিণে সিংহল-গোটা অঞ্চল জুড়েই তো একই সংস্কৃতি ছিল একটা সময়ে। এটাই তো ছিল ভারতের প্রাচীন রূপ। আফগানিস্তানের বামিয়ান বুদ্ধ বলুন বা সিন্ধু সভ্যতার যে সব নিদর্শন বর্তমান পাকিস্তানে আছে, সেগুলো তো ভারতেরই এলাকা ছিল। আবার বিপ্লবী সূর্য সেনের নেতৃত্বে যে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন হয়েছিল,সেটাও তো ভারতবর্ষেরই অঙ্গ ছিল। ভারতের এই সাংস্কৃতিক ইতিহাস যাতে মানুষ ভুলে না যায়, সেজন্যই অখণ্ড ভারতের চিন্তা তুলে ধরা হয়।হিন্দুত্ববাদের গবেষক ও সাংবাদিক স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য বলছেন, “সংঘের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক, বা সঙ্ঘ প্রধান এম এস গোলওয়ালকর এই অখণ্ড ভারতের চিন্তা নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। তার পরেও সংঘের অনেক তাত্ত্বিক নেতা অখণ্ড ভারত নিয়ে লিখেছেন। ওই তত্ত্ব অনুযায়ী অখণ্ড ভারতের শুরু হয়েছিল বর্তমান ইরান থেকে। সেটাকে আগে পারস্য বলা হতো, কিন্তু আরএসএস সেটাকে মনে করে পরশুরামের জন্মস্থান, তাই তারা এটিকে পরশুদেশ বলে। আবার নেপাল থেকে শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার সবটাই প্রাচীন ভারতের অংশ বলে তারা মনে করে।“

কিন্তু যতটা বোঝা যাচ্ছে এই অখন্ড ভারত শুধু কল্পনার মাঝেই সীমাবদ্ধ নয় গোপন একটি বৈঠকের মাধ্যমে তারা বাস্তবায়নের পথেই নেমেছে। এই অখন্ড ভারত নির্মানের প্রথম ধাপ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা নিয়ে নিয়েছে বহু পূর্বেই। সুযোগ খুজে উঠছিলো। যে কোন অজুহাত তুলে তারা বাংলাদেশে হামলা করায়ত্ব করতে চেষ্টা করছিলো। তাদের পরিকল্পনা ছিলো একটি যুদ্ধ বাধিয়ে বাংলাদেশকে তাদের দখলে নেওয়া।বানাতে চাই বাংলাদেশকে তাদের একটি প্রদেশ। দীর্ঘদিন ধরে সেই সুযোগ খুজলেও সেই সুযোগটি ভারতের বিজেপি সরকার ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান এর ঘটনার মধ্য দিয়েই পেয়েছে। বাংলাদেশে ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান এ স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসরদের নির্যাতনের ঘটনা তথাকথিত কতিপয় হিন্দু নেতৃত্বের বাড়িঘর ভাঙ্গার সুযোগ টি তারা হাতছাড়া করতে চাই নাই। ফলে এই বারই তারা রাজনৈতিক ভাবে ভাংচুর নির্যাতনের ছবিকে ধর্মীয় লেবাস চাপিয়ে অজুহাত হিসেবে খাড়া করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বাড়িঘর ভাংচুরকে সংখ্যালঘু নির্যাতন বলে যুক্তি খাড়া করেছে।



ভারতীয়দের হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে স্বাধীন দেশ দখলের ঘাটনা নতুন নয়। হায়দ্রাবাদ নামের স্বাধীন একটি রাস্ট্রকে হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগে দখল করে । ১৯৪৭ সালের ১৬ জুলাই ইংল্যান্ডের ভারতীয় বিষয়ক সচিব লর্ড লিষ্টোয়েল লর্ড সভায় বলেছিলেন,‘এখন থেকে ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলো হতে ব্রিটিশ রাজ প্রতিনিধি প্রত্যাহার এবং তাদের দাপ্তরিক কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করা হলো। দেশীয় রাজ্যগুলো ভারত অথবা পাকিস্তান ডোমিনিয়নের কোনটিতে যোগ দেবে, অথবা স্বাধীন সত্তা বজায় রাখবে তা সম্পূর্ণ তাদের ইচ্ছাধীন। হায়দরাবাদ ভারত বা পাকিস্তান কোনোটিতেই যোগ না দিয়ে স্বাধীন থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু দীর্ঘদিনের স্বাধীনতা আর হা্য়দ্রাবাদের ব্যাপক উন্নয়ন ভারতের নেতাদের সহ্য হচ্ছিলো না। তাছাড়া পাকিস্থোনের সাথে দহরম মহরম তারা মেনে নিতে পারছিলো না। ফলে ভারতের নেতারা সুযোগ খোজার সিদ্ধান্ত নেন। অবশেষে হিন্দুদের নিরাপত্তা লংঘিত হচ্ছে অভিযোগ তুলে সামরিক এই মুসলিম দেশটিকে জোর করে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। তারা ‘অপারেশন পোলো’ নামের এক সামরিক অভিযান চালান ভারতীয় সেনাদের দিয়ে। দিনটি ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪ ইং। ৭৫ বছর আগে এই দিনে ভারতের শেষ স্বাধীন মুসলিম সালতানাত বা রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বাধীনতার অবসান ঘটে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর হাতে হায়দরাবাদের স্বাধীনতার পক্ষের যোদ্ধাদের পরাজয় ঘটে সেদিন। দাক্ষিণাত্য নামে পরিচিত এই মুসলিম রাষ্ট্রের শেষ সুলতান ওসমান আলী খান নিজাম-উল-মুলক আসেফ জাহ (নবম) ভারতীয় হামলা শুরুর পর ছয় দিন প্রতিরোধ চালিয়ে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যাপক রক্তপাত এড়াতে তার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। ফলে প্রায় ৬০০ বছরের স্বাধীন এই রাষ্ট্রের স্বাধীনতার অবসান ঘটে। অবসান হয় আসেফ জাহ’র পূর্বপুরুষদের ২২৪ বছরের শাসন।



সুতরাং হায়দ্রাবাদের মতো হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে যেনো আবার ভারতীয়রা বাংলাদেশের উপর আঘাত না হানে সে ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে সকল। ভারতীয়দের মনস্কামনা যেনো পূরন না হয় সে দিকে সকল জনগনকে সচেতন থাকতে হবে। প্রয়োজনে দেশের সকল জনসংখ্যাকে সামরিক প্রশিক্ষন দেওয়া সহ যা কিছু সরকারের করা উচিত বলে মনে করেন তার প্রতিটি পদক্ষেপ সুষ্ট সুন্দর ভাবে করা উচিত।

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫০
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুহূর্ত কথাঃ সময়

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



সামুতে সবসময় দেখেছি, কেমন জানি ভালো ব্লগাররা ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়! যারা নিয়মিত লেখে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রচণ্ড নেগেটিভ স্বভাবের মানুষ। অন্যকে ক্রমাগত খোঁচাচ্ছে, গারবেজ গারবেজ বলে মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×