somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আত্মহত্যা

০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আত্মহত্যার মতো একটি মহা সমাধানকে একজন লেখক ‘‘আত্মহত্যা কোনোকিছুর সমাধান নয়’’ বলে চালিয়ে দিল। অনেকেই আমার সঙ্গে একমত হবেন না। তারা ওই লেখকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলবেন, ইউ আর রং, আত্মহত্যা কোনকিছুর সমাধান নয়।

বিয়ের পর বউকে নিয়ে একটি ছেলে তার মায়ের গায়ে হাত তুলল। আচ্ছা, বলুন তো, এখন এই মায়ের জন্য আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথটি খোলা আছে? প্রত্যেকটি আত্মহত্যা এমন একটা জায়গায় গিয়ে-ই তবে সংঘটিত হয়। আবেগ তাড়িত বিষয় নিয়ে কখনো আত্মহত্যা ঘটে না। মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নেয় বাস্তবতার শিকার হয়ে।

আত্মহত্যা থেকে বাঁচানোর জন্য মানুষকে শেখানো হয় পজেটিভ থিংকিং অর্থাৎ স্বপ্ন দেখো, দিবাস্বপ্ন হলেও দেখো। তাহলে কি হবে? তাহলে ওই স্বপ্ন ছোঁয়ার আশায় তুমি বেঁচে থাকবে। আত্মহত্যা থেকে বাঁচানোর জন্য আরও অনেক ধরনের কথা বলা হয়। অনেক সময় এগুলো আমরা কোনও শিক্ষিত মূর্খ ডাক্তার থেকে শুনি আবার অনেক সময় আমাদের চারপাশের মানুষদের নিকট থেকে। কিছু যৌক্তিক কথা শুনিয়ে একটা মানুষকে কিছুদিন বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা।বিভিন্ন কথা দিয়ে মিথ্যে আশা তৈরি করার চেষ্টা।

অনেক সময় এগুলোতে মানুষটির কান ভরে মন ভরে না। তাই অনেক কিছুর পরও লোকটি আত্মহত্যা তথা মুক্তির পথ বেছে নেয়। আবার অনেক মানুষ বেঁচে যায় ওই মিথ্যে স্বপ্ন দেখার লোভে। মিথ্যে স্বপ্ন দেখাতে ‘‘শ্রেণিটি’’ সফল হয়।

তবে আমার মনে হয় এক্ষেত্রে ধর্মের জ্ঞানটা ‘তাদের’ ভেতর ঢুকিয়ে দেয়া যেতে পারে। কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে যাদের ভেতর ধর্মের জ্ঞান আছে তারা পরকালে জান্নাত লাভের আশায় আত্মহত্যার পথে বাড়ায় না। শত ডিপ্রেশন, কষ্ট, ক্ষোভ নিয়ে বেঁচে থাকে।

মানুষ কেন আত্মহত্যা কেরে

বিষণ্ণতা। একা থাকা। উৎসাহ-উদ্যম হারিয়ে ফেলা। ঘুম কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া। রুচি কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া।ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া। কাজকর্মে শক্তি না পাওয়া। মনোযোগ হারিয়ে ফেলা। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া। নিজেকে নিঃস্ব অপাঙক্তেয় মনে করা। অযাচিত অপরাধবোধ ও আত্মহত্যার কথা বলা, ভাবা। এই লক্ষণগুলো টানা দুই সপ্তাহের বেশি থাকলে তাকে তাকে বলা হয় মেজর ডিপ্রেশনের রোগী। বলা যায়, তিনি আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছেন। আরও হাজারও কারণ থাকে আত্মহত্যার। প্রত্যেকের সমস্যা ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু একটা সময় পরে গিয়ে একে একটা ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়। অঙ্কুরে সবার সমস্যা আলাদা আলাদা।

‘‘যে কোনো সমস্যায় আত্মহত্যা নিয়ন্ত্রণের উপায় হলো কাছের কাউকে তার সমস্যার কথা খুলে বলা। খোলোমেলা আলোচনা করা। কখনোই কোনো সমস্যা নিজের মধ্যে পুষে না রাখা। সমস্যা পুষে রাখলে বিষণ্ণতায় পরিণত হয়।

-এক সময় আপনি আত্মহননের দিকে এগিয়ে যাবেন।’’

অনেকে মনে করেন বাংলাদেশে প্রেম ভালোবাসায় ব্যর্থ হয়ে অধিকাংশ মানুষ আত্মহত্যা করেন। এই ধারণাটা ভুল। ভালোবাসায় কষ্ট পেয়ে মাত্র ১১.৮% মানুষ আত্মহত্যা করে। তবে পারিবারিক সমস্যায় আত্মহত্যার হার বেশি। ৪১.২% মানুষ পারিবারিক সমস্যায় আত্মহত্যা করেন।

মৃত্যু মানুষ পর্যন্ত পৌঁছাবেই। আত্মহত্যা অন্যান্য মাধ্যমের মতো সামান্য একটি মাধ্যম মাত্র।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×