অস্ট্রেলিয়ার পিটার ভ্যামপ্লিও এরকম একজন সাফারার। প্রতিদিন ইনবক্সে/স্প্যামে এই ব্যাবসায়ীদের মেইল পেতে পেতে ক্লান্ত এই রিসার্চার একদিন মহাবিরক্ত হয়ে পাঠিয়ে দিলেন এক পেপার এরকম এক জার্নালে। জার্নালের নাম International Journal of Advanced Computer Technology। পেপারটা তার নিজের না, ২০০৫ সালে সেম ফাজলামির শিকার দুই আমেরিকান প্রফেসরের এক এপিক পেপার, যার টাইটেল, কনটেন্ট খালি একটা বাক্য নিয়ে-
"Get me off Your Fucking Mailing List"
পিটার দুইটা ফিগারও যোগ করেছিলেন। ফিগার দুইটাই এপিক। দেখেন-
![]()
![]()
পিটারের এই সাবমিশনের কারণ ছিল একটাই, স্প্যামিং থেকে মুক্তি পাওয়া। কিন্তু তাজ্জব হয়ে পিটার দ্রুতই আবিস্কার করলেন যে ঐ জার্নাল তার পেপার এক্সেপ্ট করেছে এবং কমেন্ট করেছে "এক্সেলেন্ট" হিসাবে। শুধু তাই না, তার কাছে পেপারের কোয়ালিটির জন্য ভেরি লো পাবলিকেশন প্রাইস হিসাবে ১৫০ ডলারের রিসিটও পেলেন একটা জনৈক তাজ সিং-এর একাউন্টে ওয়ার ট্রান্সফার করার জন্য।
পেপার, জার্নালের কমেন্ট, ওয়্যার ট্রান্সফারের লিংকগুলো রাখলাম, দেখলে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাবে।
পেপার- Click This Link
এক্সেপ্টেন্স মেইল- Click This Link
এক্সেপ্টেন্স লেটার- Click This Link
রিভিউয়ারের রিপোর্ট- Click This Link
নাহ, পিটার আর কিছু করেননি। এই বাটপার জার্নালগুষ্ঠির কাহিনী বিভিন্ন একাডেমিক ফোরামে প্রায়ই ডিসকাস হয়, এটা নিয়েও ডিসকাস হচ্ছে।
নতুন রিসার্চারদের উদ্দেশ্যে একটাই সাজেশন রেখে যাচ্ছি। দশটা/বিশটা রাবিশ পেপারের চেয়ে ভাল বা মাঝারি জার্নালে একটা পেপার পাবলিশ করেন, কাজে দেবে। ভুয়া জার্নালে শয়ে শয়ে বের করেন, সিভির পৃ্ষ্টা বাড়বে, পাত্তা পাবেন না কারও কাছে। ওপেন এক্সেস জার্নালের এগেইনস্টে এই পোস্ট না, বরং নাম সর্বস্ব ভুয়া জার্নালের জন্য এই পোস্ট।
সোর্স:
http://scholarlyoa.com/2014/11/20/bogus-journal-accepts-profanity-laced-anti-spam-paper/
http://en.wikipedia.org/wiki/International_Journal_of_Advanced_Computer_Technology

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




