নিজস্ব মতিবেদক
আশুলিয়ায় পুলিশ চেক পোষ্টে দায়িত্ব রত অবস্থায় বৃহত্তর জামায়াতের মুজাহিদ গনের চাপাতি আক্রমনে নিহত কনষ্টেবল মুকুল হোসেনকেই দুষলেন বাংলাদেশের সুশীল সমাজ।
বুধবার গভীর রাত্রে এই প্রতিবেদন লিখার সময় পযন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিকৃয়ায় মুকুল হোসেনের প্রতি নানা অভিযোগ তুলে ধরেন দেশের বরেন্য বেক্তিত্ব বৃন্দ।
নিহত কনষ্টেবল মুকুল হোসেনকে তিরস্কার জানিয়ে খেতনামা ড্রন বিশেষজ্ঞ, মস্তফা অনুরাগী, কাপড় বেবসায়ী ও ইসলামী বেংকের সমঝদার হরলিকস পাগলা বিতর্ক রাজ ও আত্মস্বিকৃত ‘ফেসবুক গু-বাবা’ আল্লামা আবদুন নুর তুষার বলেন, পুলিশ অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি শুরু করছে। কনষ্টেবল মুকুল হোসেনের ইন্তেকালের জন্য সে নিজেই দায়ী।
আবেগঘন ফন্টে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আল্লামা তুষার বলেন, ইসলামে চেকপষ্ট বলিয়া কুন বিষয় নাই। জেহাদী ভাইরা মটর সাইকেলে করিয়া এক আস্তানা হতে অন্য আস্তানায় হিযরত করিয়া থাকেন। জনে জনে ত আর মটর সাইকেল দেওন যায় না। প্রত্যেক জেহাদীকে একটি করিয়া মটর সাইকেল দিতে গেলে ইসলামী বেংকের পরবর্তী মহাফিলে উপস্থাপক হিসাবে আমার হরলিকসের টেকাটুকায় টান পড়িয়া যাইবে। এক মটর সাইকেলে তাই তিন জন করিয়া জেহাদী ভাইকে চাপাচাপি করিয়া চলাফিরা করতে হয়।
হুহু করে কেদে ফেলার ইমটিকন দিয়ে হরলিকস পাগলা বলেন, কনষ্টেবল মুকুলের এত বড় সাহস, সে এমতাবস্থায় মটর সাইকেল থামাইয়া জেহাদী ভাইদিগকে চেক করতে গেছিল। ইসলামের কুথাও মটর সাইকেল থামাইয়া চেক করার কথা বলা নাই। এই কাম করিয়া সে শুধু জেহাদী ভাইদের ধর্মানুভুতিতেই আঘাত করে নাই, দেশের আপামর আল্লাহপ্রেমী মুসলিম বান্দার মনেও চরম আঘাত দিছে। তাই জেহাদী ভাইয়েরা উহাকে মৃদু আট দশটি কুপ কুপাইয়া আবার জেহাদের রাস্তায় চলিয়া গেছেন। এইখানে দুষ কার? আর কারও নহে, কনষ্টেবল মুকুলেরই।
হাসির ইমটিকন দিয়ে ফেসবুক গু-বাবা বলেন, কতিপয় কাফের মশরেক ইয়াহুদীদের টেকা খাইয়া কনষ্টেবল মুকুলকে হিরু বানাইতে চায়। উহাদের মকাবিলার জন্যি আমি আজ হতে পুর্ন উদ্যমে মাঠে নামলাম। এতদিন আছিলাম ভাল তুষার। আজ হতে আমি চাপাতুষার। যখন দরকার চাপা চালাইব, যখন দরকার চাপাতি চালাইব। দিন রাত্র চব্বিশ ঘন্টা সপ্তায় সাতদিন আমি কল রেডী। পথে ঘাটে ঘরে বাইরে কুথাও চাপাতির কুপ খাইয়া কেউ মরলে আমায় কল দিও। চুলচিরা তর্ক করিয়া প্রমান করিয়া দিব যে সকল দুষ যে মরছে তারই।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলার সেরা বিজ্ঞাপন নির্মাতা ও টেলিভিশনে ইসলামী অনুষ্ঠান উপস্থাপকদের প্রভাবশালী সংগঠন ‘এশশিয়েশন অফ ইসলামী মিডিয়া পারসনালিটি’র বর্তমান আমীর বাংলার ডেভিড ধাওয়ান আল্লামা মস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, নাস্তিক পুলিশ এইভাবে ইসলামের আর কত অপমান করবে? দিনে দুপুরে উহারা মজাহিদ ভাইদিগের মটর সাইকেল থামায়। জেহাদের বাহনের সংগে তারা মুক্তমনাপনা করে। আজ কনষ্টেবল মুকুল হোসেন চেকপষ্টে চেক করে, কাল হয়ত কুন এসআই কুন আলেমের ফেসবুক পাসওয়াড লুণ্ঠন করিবেক। পরশু কি হয় আল্লাহ মাবুদ জানেন। তাই পরিস্কার ফয়সালা করিয়া বলি, দুষ কনষ্টেবল মুকুলেরই। চেকপষ্ট খুলিয়া বসা বাংলাদেশের পুলিশ লইয়া আমরা কি করিব?
আবেগঘন ফন্টে আল্লামা ফারুকী বলেন, শুনলাম আবদুন নুর তুষার এখন জেহাদের ঠেলায় পড়িয়া চাপাতুষার হইছে। সারাটি জীবন সেকুলার ঘোচুদের সংগে লড়াই করিয়া বৃদ্ধ বয়সে ‘এশশিয়েশন অফ ইসলামী মিডিয়া পারসনালিটি’র আমীর হইলাম আমি, আর চাপাতি নামটি লইল কিনা তুষার। শুন হরলিকস পাগলা, আজ হতে আমি মস্তফা তলয়ার ফারুকী। তুমি চাপাতি চালাইলে আমি তলয়ার চালাইব। আর কে না জানে, চাপাতি হতে তলয়ার বড়।
নিজের অতীতকে কবর দেওয়ার ঘোষনা দিয়ে তলয়ার ফারুকী বলেন, ইরানের শিয়া জাহান্নামী আব্বাস কিয়ারুস্তমী আর মাজেদ মাজেদীর ওয়াসওয়াসায় ভুলিয়া আমি কিছু চলচিত্র বানাইয়াছিলুম। ভুল সবই ভুল। আমার পরবর্তী চলচিত্রে আমি শুরুতেই মুরতাদ কিয়ারুস্তমী ও মাজেদীর উপর বদদুয়া দিয়া লব। আছিলাম সরয়ার ফারুকী, হইলাম তলয়ার ফারুকী।
পুলিশ বাহিনীর প্রধান আইজিপি আলহাজ শহীদুল হক বলেন, পুলিশদের সীমা লংঘন করা ঠিক নহে। চেকপষ্ট খুলছ ভাল কথা, ভিতরে বসিয়া দুটু পান বিড়ি খাও। আবার মটর সাইকেল থামাইয়া ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেও কেনে?
এদিকে স্বরাস্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কনষ্টেবল মুকুল হোসেনের উপর হামলার খবর পেয়ে সাভারের এনাম মেডিকেলে উপস্থিত হয়ে বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভাল আছে। কুপাইয়া পুলিশ খুন বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র। আর পুলিশেরও উচিত আরও সংযত হওয়া। দেশের মটর সাইকেল আরহীদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেয়, এমন চেকপষ্ট উহাদের চালনা করা ঠিক নহে।
বক্তব্যের পর কামাল মন্ত্রী পকেট হতে নিরাপত্তার চাদর বের করে আশুলিয়া এলাকা ঢেকে দেন।
দৈনিক মতিকন্ঠ হইতে প্রকাশিত: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬