জামালপুর মতিনিধি
জামালপুরে সরিষাবাড়ি উপজেলার তারাকান্দিতে আবু পুলিশের পিস্তল নিয়ে পলায়ন করেছে হাবু আসামী।
শনিবার তারাকান্দিতে এই রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে জামালপুরের পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন এই রোমহর্ষক ঘটনার বর্ননা দেন। এ সময় তিনি বারবার আতংকে শিউরে উঠছিলেন ও ঘন ঘন হরলিকস পান করছিলেন।
নিজাম সুপার বলেন, শনিবার এস আই আবু সাঈদের নেতৃত্বে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের একটি চৌকশ পুলিশ দল মাদক মামলায় ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যেত আসামী দুর্ধর্ষ দুশমন হাফিজুর রহমান হাবুকে তার বাড়ি হতে গ্রেফতার করে। কিন্তু তখনই ঘটে এক রোমহর্ষক ঘটনা।
এক গ্লাশ হরলিকস পান করে ধাতস্থ হয়ে নিজাম সুপার বলেন, হাবু আসামীর বাড়িতে যে এত কুংফু পাণ্ডে থাকে, সে কথা আবু এসআই জানত না। সে হেলতে দুলতে হাবু আসামীর লুংগি ও গেঞ্জি পাকড়াও করিয়া তারে টানতে টানতে থানায় লইয়া আসতেছিল। আতকা কুথা হতে হাবু আসামীর স্ত্রী মিসেস হাবু আসিয়া উল্টা আবু এসআইরে ধরিয়া টানা হেচড়া আরম্ভ করে। হাবু আসামীর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও তখন দুর্ধর্ষ নিনজা টারটলের নেয় উড়িয়া আসিয়া জুড়িয়া বসিয়া আবু এসআইরে কিল ঘুষি মারা শুরু করে।
বক্তব্যের এ পর্যায়ে নিজাম সুপার হুহু করে কেদে ফেলেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের সহায়তায় তাকে আরও এক গ্লাশ হরলিকস গুলিয়ে পান করানর পর তিনি শক্তি ফিরে পেয়ে বলেন, মারপিটের এ পর্যায়ে কি হইতে কি হইল, হাবু আসামী আবু এসআইয়ের কমরে বান্ধা পিস্তলখানি এক টানে খুলিয়া দিল দৌড়। সে দৌড়ের কাছে হুসাইন বল্ট কিছুই না। পিছে পড়িয়া রইল হাবুর স্ত্রী মিসেস হাবুর হাতে নাজেহাল আবু এসআই ও আবু এসআইয়ের হাতে নাজেহাল হাবুর লুংগি ও গেঞ্জি।
অশ্রু মুছে আবেগঘন কণ্ঠে নিজাম সুপার বলেন, কিন্তু আমরা হাল ছাড়ি নাই। আবু এসআই এর পিস্তল যেমন হাবুর কবলে, হাবুর লুংগি ও গেঞ্জিও তেমনি আবু এসআইয়ের কবলে। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে যদি হাবু আবুর পিস্তল আবুর নিকট ফিরাইয়া না দেয়, হি কেন কিস হিজ লুংগি গুডবাই।
গর্বের সংগে হাবু আসামীর আটক কৃত লুংগি ও গেঞ্জি দেখিয়ে নিজাম সুপার বলেন, হাবু রে হাবু, হবিই হবি কাবু। পিস্তল ফিরাইয়া না দিয়া তুই কুণ্ঠে যাবু?
এভাবে আসামীর হাতে পিস্তল খোয়ানোর দায়ে এসআই আবু সাঈদের বিরুদ্ধে কোন বেবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে নিজাম সুপার বলেন, আবু এসআই এর পিস্তলের খাপটি ঢোলা হইয়া গেছিল, উহা সিলাইয়া টাইট করার বেবস্থা নেওয়া হইছে। আবু এসআইরেও সিলাইয়া টাইট করা গেলে ভাল হইত, কিন্তু সাময়িক বরখাস্ত ছাড়া আর বেশী কিছু করার রেওয়াজ নাই।
মিসেস হাবুর ভুয়সী প্রসংশা করে নিজাম সুপার বলেন, মিসেস হাবুরে সারদায় কুংফু প্রশিক্ষক হিসাবে নিয়গ দেওয়ার জন্য সরকার বাহাদুরের মর্জি হয়।
দৈনিক মতিকন্ঠ
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯