নিজস্ব মতিবেদক
সম্প্রতি কেঁদেছেন সাবেক স্বৈরাচার রাস্ট্রপতি ও পল্লীবন্ধু ফাদারে কৃকেট শায়েরে আজম আলহাজ্জ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পেয়ারাদা ও বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক আপোষহীন দেশনেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া জেএসসি।
গত ৬ ডিসেম্বর এরশাদের গদিচ্যুতি দিবস উপলক্ষে আয়জিত এক স্মরন সভায় কাঁদেন ফাদারে কৃকেট।
নিজের গদির কথা স্মরন করে পল্লীবন্ধু বলেন, দেশটা কত সুন্দর চলতেছিল। কুন মারামারি কাটাকাটি হানাহানি আছিল না। আছিল গদি। আছিল জিনাত মশাররফ। আছিল নাশীদ কামাল। আছিল শাকিলা জাফর। এমন কি কাজী জাফরও তখন আছিল। চারপাশে শান্তি শান্তি ভাব। বন্যায় হাপপেন্ট পিন্দিয়া পানিতে ঝাপাইয়া রিলিপ দিতাম। হেলিকপ্টারে চড়িয়া পীরের আস্তানায় নামাজ পড়িতে যাইতাম। এশীয় কবিতা উতসবে খাড়াইয়া ডাইরী হতে কবিতা পাঠ করিয়া বলতাম, শুন রে যত শালা, কনক প্রদীপ জ্বালা।
হুহু করে কেদে উঠে শায়েরে আজম বলেন, আতকা কুথা হতে কি হইল, দেশে গনতন্ত্রর জন্যি শুরু হইল মারামারি কাটাকাটি হানাহানি। নুর হোসেন নামে এক যুবক বুকে পিঠে চিকা মারিয়া কেমনে কেমনে জানি শহীদ হইল। মিলন ডাক্তারকে কে না কে আসিয়া দিল কতল করিয়া। পাবলিক খালি আমায় দুষে। যতই তাদের বুঝাইতে যাই যে আমার বন্দুক অন্য রকম, উহা দিয়া আমি শুদু জিনাত নাশীদ শাকিলাদের গুলি করি, তারা ততই হরতাল করে।
অশ্রু মুছে সাবেক স্বৈরাচার পেয়ারাদা বলেন, যেসব বানচুদ জেনারেলগুলির ভরসায় আছিলুম, উহাদের ডাকিয়া কইলুম, যা যাকে গুলি সে উড়া দে উন কামিনা ক। উহারা হাসতে হাসতে আমায় বলল, এয়সা আর নেহি চলেগি। বাধ্য হইয়া তখন ক্ষমতা ছাড়িয়া দিলুম জজ শাহাবুদ্দির হাতে।
আবারও কান্নায় ভেংগে পড়ে পল্লীবন্ধু বলেন, কিন্তু যে গনতন্ত্রর জন্যি গদি তেগ করলুম, সে গনতন্ত্র আজ কুথায়? দেশে কুন গনতন্ত্র নাই। বিজয় টেবলেট দিয়া আজ অনলাইনে যাইতে হয়। শুনলাম সানি লিওনি বাংলাদেশে আসবে, কিন্তু সেও এল না। আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?
এদিকে এরশাদের গদিচ্যুতি দিবস উপলক্ষে আয়জিত এক পৃথক স্মরন সভায়ে মাদারে গনতন্ত্র বেগম জিয়া বলেন, পচিশ বতসর পুর্বে এই দিনে এরশাদ বাটপাররে কানে ধরিয়া নামাইছিলুম। ভাবছিলুম দেশে গনতন্ত্র প্রতিস্ঠা করতে পারছি। কিন্তু গনতন্ত্র আজ লনডনে। দেশে আসিলেই মামলায় মামলায় তাকে ফকির হইতে হইবে। গ্রেনেড মামলায় ফাসিও হইতে পারে।
হুহু করে কেদে উঠে বেগম জিয়া জেএসসি বলেন, ফেসিবাদী বাকশাল সরকার আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনারে ধংস করিয়ালাইছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা আছিল সামাজিক নেয়বিচার অর্থে সমাজতন্ত্র। আজ সমাজে কুন নেয়বিচার নাই। আমার দুটু মন্ত্রীরে বাকশাল ফাসি দিয়ালাইল। পদ্মা সেতু রামপাল বিদ্যুত পায়রা বন্দর সহ লক্ষ কুটি টেকার কারবার চলতে আছে অতছ দুটু পারসেন্টিজ খাইতে পারি না। সৌদি বাদশার ফিতরা দিয়া কুনমতে চলি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সরকার ভুলুণ্ঠিত করছে দাবী করে অশ্রু মুছে মহিলা আমীর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জন্যি আমি আরও কান্নাকাটি করতে চাই। কিন্তু দলে আজকাল যে সকল গুড়াগাড়া জাতীয়তাবাদী ঢুকছে, উহারা চেতনার কথা কইলেই গালি দিয়া উঠে। ভয়ে তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়া বেশী কথা বলতে চাই না।
এদিকে মিরপুর চিড়িয়াখানা কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিড়িয়াখানার প্রধান প্রানীবিদ আনোয়ার উদ্দিন মৃধা মতিকণ্ঠকে বলেন, চিড়িয়াখানার কুমীরগুলু ভাল নাই। উহাদের মুরগী খাইতে দেওয়া হয়। মুরগী খাইয়া উহারা মুরগীর জন্যি কান্নাকাটি করে।
https://motikontho.wordpress.com/2015/12/09/কাঁদলেন-এরশাদ-ও-খালেদা
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




