নিজের বাসায় যাতায়াতের রাস্তায় এমন লোম হর্ষক কাহিনী ঘটবে কল্পনাও করতে পারি নি।
স্থানটির পাশ দিয়ে গেলেই হৃদয়টা কেমন জানি মলিন হয়ে যায়।
নিজের ভিতরের সমস্থ শিরা উপশিরাগুলো থেকে শুধু একই আকুতি জানান দেয়
রাজনের হত্যাকারিদের কি ফাঁসির দড়িতে ঝুলাতে পারব আমরা ?
আমাদের সকলের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় রাজনের হত্যাকারী এবং হত্যার সর্মথনকারী
সবাইকে একই সাথে ফাঁসির দড়ি পরিয়েই আমাদের হৃদয়ের এই মলিনতা থেকে কিছুটা
হলেও দূরে থাকতে পারব বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
অফিসে সবার সাথে বসে যখন ভিডিওটি দেখছিলাম, তখন আমার মনে হয়েছিল
আমরা কি বর্বরতা চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গেছি।
রাজন হত্যাকারী সেই সব অমানুষদের দিকে তাকিয়েই মনে হয়েছিল
কতদিন যে এদের হাতের নাগালে পেয়েছিলাম।
ওদের পাশে দাড়িয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ছিলাম।
কখনও মনে হয়নি নরপশুদের দোকানের পাশেই দাড়িয়ে আছি।
আজ সেই সব নরপশুদের হাতের নাগালে পেতে মন চাচ্ছে।
মন বলতেছে এদের কে শারীরিকভাবে শাস্তি দেয়া উচিত।
নিজের সমস্থ শক্তি দিয়ে যদি দু-চারটা চড় থাপ্পড় দিতে পারতাম!
আমাদের দেশের রক্ষক বা আমাদের শৃংখলার কান্ডারীরা যখন টাকার বিনীময়ে রাজন হত্যার মূল আসামীকে
ছেড়ে দিয়ে দেশ ত্যাগের সুযোগ তৈরি করে দেয়।
তখন হত্যাকারীদের মত সেই নরপশুকেও শাস্তির ব্যবস্থা করতে
সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে সারা বিশ্বের সকল সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
যখন জানলাম রাজনের হত্যার মূল হোতা সৌদিআরবের বীর সৈনিক ভাইদের হাতে ধরা পড়েছে।
এবং সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য হালকা উত্তম মাধ্যম দিয়ে আইনের হাতে তুলে দিয়েছে।
তখন আরেকবার বলতে ইচ্ছে হল রাজন হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতেই হবে।
আমি, তোমি, আমরা যেন এই সব নরপশুদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮