somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুবায়ের আহমদ
দু'পয়সায় নিঃসঙ্গতা কিনেছি কোটি বছরেরnআস্তিনে সূর্য্যস্নান রেখে কালিমাখা চোঁখ হাঁ করে গিলে শহুরে পার্ক;nবেঞ্চি ভরা ভালোবাসার লুটোপুটি আর ছেঁড়া গোলাপের পাপড়িতে আমি নিঃসঙ্গতা কিনেছি দু'পয়সায়।nnনিজের সম্পর্কে তেমন কিছুই বলার নাই।nনিজেকে বিচার করার ক্ষম

মেডিকেল নিয়ে অগোছালো কিছু লিখেছিলাম।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেডিকেলে এত রোগীর ঝামেলা দেখলেই বুঝা যায় আজকাল বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে লোকজন। চারদিকে রোগীদের নানাবিধ অসুস্থথার ধরণ মনটাকে অন্য কোথাও নিয়ে যায়। ভালই আছি বলে উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা জানাতে মন চায়।

সাদা এর্পন পরা মেয়েটি যে নার্স না ডাক্তার তা নির্ধারণ করতে পারছি না। একবার মনে হয় নার্সই হবে আবার ইন্টারনি ডাক্তারও মনে হয়। অভিজ্ঞতাকে বৃদ্ধির লক্ষ্যে রহস্য উদঘাটনে নেমে পড়লাম। মেয়েটির পিছে হাঠতে শুরু করলাম। নির্দিষ্ট ওয়ার্ড গিয়ে মেয়েটি তার রুমে চলে গেল।

ওয়ার্ডের ভিতরে ফাঁকা যায়গায় দাড়িয়ে মেয়েটির অপেক্ষারত থেকেগেলাম। আনমনে হয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলাম। মেডিকেলে মাসি, আয়া, খালা, ভাই, চাচা, চাচি, দারওয়ান সবার অমায়িক আচরণ দেখতে দেখতে কিভাবে যে অনেকটা সময় কেটেগেল আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারি নি। অমায়িক শব্দের ব্যবহার আসলে একটু রেগে গিয়ে ভদ্র ভাষায় বলার চেষ্টা করছি। ওয়ার্ডের ভিতরে রোগি প্রবেশের পর থেকেই এদের আদর আপ্যায়ন শুরু হয়। নির্দিষ্ট ওয়ার্ড খুজে পেয়ে শুধু সিট কোনটি দেখিয়ে দিতে গুনতে হয় সামান্য চায়ের টাকা । সীটের সন্ধ্যান পাওয়ার পর শুরু হল বিছানা চাদর, বালিশের মূল্য পরিশোধের জন্য বিস্কুট সামগ্রী ক্রয়ের টাকা প্রদান। টাকার পরিমাণের উপর বিছানার চাঁদরের পরিষ্কার পরিচন্নতার দিক নির্ধারণ করা হয় । রোগীকে বিছানা পর্যন্ত নিয়ে যেতে তো শুধু চা এবং বিস্কুটের মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে।

রোগীর সাথের লোকজন এবার ছুটল ডাক্তার খোজাতে। অনেক্ষণ এই রুম ওই রুম করে ডাক্তারে সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। সেবিকাদের রুমে গিয়েও রোগীকে দেখার জন্য আসতে নূন্যতম দশবার বলতে হলো। তারপরও রোগী পর্যন্ত পৌঁছাতে অনন্তপক্ষে আরও সাত আটবার যেতে হল। কিন্তু নার্স ম্যাডামকে সাজসজ্জার জন্য রোগী পর্যন্ত যেতে ঘন্টা খানেক সময় দিতে হবে।

মেয়েটিকে দেখে আমার আনমনে ভাব চলে গেল। আরে এপ্রণ পরিহীত সেই মেয়েটিই তো। ইর্ন্টানি ডাক্তার হিসেবে আজ এ ওয়ার্ডেই আছে। দ্রুত পায়ে রোগীর পাশে গিয়ে দাড়ালাম। মেয়েটি রোগি দেখছে, আর আমি মেয়েটির চেহারা দেখছি। উপরওয়ালা আসলেই অনেক সুন্দর করে মেয়েটিকে তৈরি করেছেন । রোগির সাথে কথা বলার সময় মেয়েটির চুলের একটা সংস্পর্শ পেয়েছিলাম। মনে হল, কোন ভাল মানের শ্যাম্পু ব্যবহারের ফলে মেয়েটির চুলের এত সফট অবস্থা। রোগির সম্পর্কে জেনে মেয়েটি কাগজে অনেক কিছুই লিখছে। লিখার ধরণ দেখে মনে হল ডাক্তার ম্যাডাম মনে হয় ভাল মানের ঔষুধের নাম লিখছেন কোম্পানীর বিবরণসহ। দারুন মায়াবী মুখের দিকে সামন্য সময়ের জন্য কোথায় জানি হারিয়েগিয়েছিলাম। কাল্পনীক চিন্তায় ঘুরপাক খেতে আসলেই দারুন ভাল লাগে বলে বেশিক্ষণ এই ভাল লাগায় থাকার সৌভাগ্য হল না।

নার্স মহোদয়া এবার ডাক্তারের পাশে এসে দাড়ালেন। ডাক্তার উনাকে সেই লিখিত কাগজটি দরিয়ে দিয়ে নিজের রুমে চলে গেলেন। নার্স কাগজটি নিয়ে রোগীর সাথের লোকজনকে খুজতে লাগলেন। সাথের লোক সাড়া দেয়ার পর মহোদয়া অপরুপা সৌন্দর্যের অধিকারণী ডাক্তারের নরম হাতের দ্বারা লেখনি চিরকুট ধরিয়ে দিয়ে বললেন, উনি চা-বিস্কুট পছন্দ করেন না। তাই একটু ভাল মানের খাবারের অর্ডার করেছেন। দয়া করে খাবারগুলোর ব্যবস্থা করে উনাকে রোগীর সেবা করতে সহযোগিতা করুন।

রোগীর সাথের লোক একবার পকেটের দিকে তাকিয়ে রোগীর কাছে গিয়ে বলল চিন্তা কর না। কিছুক্ষণের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। ডাক্তার সাহেব সামন্য কয়েকটা টেস্ট দিয়েছেন তারপর তুমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে। আমি আপাতত নিচে থেকে টেস্টগুলো করানোর ব্যবস্থা করে আসি। টেস্টের টাকার ব্যবস্থা করার জন্য সে মোবাইলের সব কয়টা ব্যালেন্স শেষ করে ফেলল। ঘন্টাখানেকের মধ্যে টেস্টের টাকার ব্যবস্থা করে রোগীকে টেস্ট করানো হল। টেস্টের করানো হয়েছে জানাতে ডাক্তারের রুমে গিয়ে চিকিৎসার জন্য বলা হলে ম্যাডাম মিষ্টি ভাষায় বললেন রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত সময়ে আমরা রোগীকে পর্যবেক্ষনে রেখেছি। টেস্টের রিপোর্ট আসা মাত্রই খাবার দাবারের অর্ডার দেব। সামান্য ভাল মানের নাস্তা নিয়ে এসেই ঘেমে গেলে চলবে না।

অবশেষে রোগী সুস্থতার মূখ দেখলেন। চিকিৎসার মান ধীরগতি হলেও খারাপ না। প্রতিদিন নির্ধারিত রোগীর থেকে বেশি পরিমান রোগীর আগমন ঘটায় চিকিৎসার এই করুন অবস্থা। তারউপর এদের বড় বড় ডাক্তাররা নিজের পকেট গরম করার জন্য প্রায়ভেট ক্লিনিক নিয়ে ব্যস্থ থাকে। সবমিলিয়ে এত গরীব দেশে সরকারী ডাক্তার খানার অবস্থা দেখলে আপনি প্রথমে বুঝবেনই না এটা হাসপাতাল না মাছ বাজার। মাছ যেমন বিভিন্ন দামের হয়, সরকারী মেডিকেলের সকল কর্মকান্ড সেই একই রকম।

(অনেকদিন ধরে কিবোর্ডে হাত রাখিনি তাই অগোছালোভাবে লেখার চেষ্টা করলাম।)


সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২১
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×