somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুবায়ের আহমদ
দু'পয়সায় নিঃসঙ্গতা কিনেছি কোটি বছরেরnআস্তিনে সূর্য্যস্নান রেখে কালিমাখা চোঁখ হাঁ করে গিলে শহুরে পার্ক;nবেঞ্চি ভরা ভালোবাসার লুটোপুটি আর ছেঁড়া গোলাপের পাপড়িতে আমি নিঃসঙ্গতা কিনেছি দু'পয়সায়।nnনিজের সম্পর্কে তেমন কিছুই বলার নাই।nনিজেকে বিচার করার ক্ষম

জীবনের রংগুলো যে কত ধরণের হতে পারে তার হিসাব মেলানো আসলেই দুষ্কর।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকদিন পর বাল্য বন্ধুর সাথে দেখা হল। প্রায় পুরো সময়টি তার সাথে ফেলে আসা নানা বিষয় নিয়ে কথা হল। ঘন্টাখানেকের আলোচনার সারাংশ দারুন দাড়িয়েছিল।

কলেজ লাইফে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল। পরিচয়ের সূত্রথেকে বন্ধুত্ব এবং এক সময় প্রেম। গল্পের শুরু আর শেষ যদিও প্রচলিত নিয়মেই প্রেম আর
বিচ্ছেদ । কিন্তু এই কাহিনীটা একটু ভিন্ন মনে হল।

মেয়েটার সাথে তার প্রেম ছিল চার বছর । প্রেম চলাকালীন সময়ে সে জানতে পারে মেয়েটির সর্বমোট চলমান প্রেম আছে ছয়টি। চলমান হিসাবকে বিশ্লেষণ করলে আগের হিসাব পাওয়াটা একটু কঠিন তারপরও আনুমানিক একটা ধারণা রাখা যায়। মেয়েটির এই নোংরামি অবস্থা জেনে ও সে মেয়েটিকে পাগলের মত ভালবাসত। ধারণাপূষণ করত একদিন মেয়েটি তার ভুল বুঝতে পারবে।

প্রেমের এক বছরের মাথায় মেয়েটি ফেলে আসা নোংরামি সকল কর্মকান্ড খোলাসাভাবে ছেলেটিকে বলল। ছেলেটি এতটুকুও বিচলিত না হয়ে স্বাভাবিক ভাবে বলল, কোন ব্যাপার না, সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি সবকিছু্ই জানি , তাই চিন্তার কোন কারণ নাই , আমাদের ভালবাসা শতভাগ নিশ্চিত ভাবে সামনে এগিয়ে নেয়া যায়। সেদিন উভয়েই অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছিল।

প্রেমের পাঁচ বছরের মাথায় মেয়েটি অন্য একটা ছেলেকে বিয়ে করল। প্রচলিত নিয়মঅনুযায়ী ছেলেটি ভেঙ্গে পড়ার কথাছিল কিন্তু সে তা করল না।
মেয়েটির বিয়ের প্রায় অনেক কাজই সে নিজে দাড়িয়ে করেছিল। বরের গাড়ীতে মেয়েটিকে তুলেদিয়ে সে অল্পএক ফোঁটা চোঁখের ঝল ফেলেছিল
আর কল্পনায় বলছিল, সে অন্তত শান্তিতে থাকতে পারবে।

কিছুটা রাগান্বিত হয়ে বলেছিলাম আসলি কি সত্যি তুই মেয়েটিকে ভালবাসতে। আর সিনেমাতে তো দেখেছি শেষ পর্যন্ত ভালবাসার মানুষের সাথে মিল হয়।
কিন্তু তর বেলায় তুই নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মেয়েটির বিয়ে দিলে। তার মুখে মিষ্টি একটা হাসি ফুটিয়ে বলল বাদ দে এসব। প্রায় জোর করেই পুরো কাহিনীটি শুনলাম।

বিয়ের কিছুদিন পূর্বে মেয়েটি তার কাছে আসল। প্রায় অর্ধদিন দুজনে একসাথে ঘুরল। মেয়েটির বাবা অসুস্থ, পরিবারের বড় হওয়ায় তার গুরু দায়িত্ব এই সময়ে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করা। এই সময়ে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে বাবাকে চিকিৎসা করানো তার গুরুত্বপূর্ণ কতর্ব্যের একটি। সিলেটের লোক বলে সে সময়ে মেয়েটির বিয়ের প্রস্তাব আসল লন্ডন প্রবাসী এক ছেলের সাথে। সবাই এ নিয়ে মহা খুশি, খুশির সবচেয়ে বড় কারণ ছেলেটি মেয়েটির অসুস্থ বাবার চিকিৎসার সবকয়টি টাকা দিয়েছিল। এই অবস্থা অনুযায়ী চিন্তা করছিলাম মেয়েটি মনে হয় এর জন্যই বিয়েতে রাজি হয়েছিল।

পরে শুনলাম কাহিনী এই পর্যন্ত না, এই বিয়েতে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে ছেলিটি। প্রেমিকের আম্মার অনেক জটিল একটা রোগ হয়েছিল সে সময়ে।
মেয়েটি এসে প্রেমিকের হাতে চিকিৎসার মোটা একটা অংক তুলেদিয়ে বলল , তোমার আম্মাকে কালই চিকিৎসার ব্যবস্থা করাব। এর বাইরেও যদি টাকার প্রয়োজন হয় আমি ব্যবস্থা করে দিব। টাকার মূল উৎস এবং ভবিষ্যৎ আর বর্তমান কিছু চিন্তা করে উভয়েই পরবর্তী এই সিদ্ধান্তটি মেনে নিয়েছিল।

(অনেকদিন ধরে লেখা হয়না বলেই হয়তবা বানানভূল এবং গল্পের ছন্দ ঠিক না থাকতে পারে, এ জন্য দু:খ প্রকাশ ছাড়া আমার আর তেমন কিছু করার নাই।)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×