অনেককে বলা হয়েছিল তাদের সুখ আর দু:খের স্মৃতি নিয়ে কিছু বলতে। নানা জনের নানান কাহিনী। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট, মা-বাবার মৃত্যু, বন্ধুর উপেক্ষা - ইত্যাদিই গড়পড়তা কাহিনী।
একজনের পালা এলে উনি কোন ভূমিকা ছাড়াই শুরু করলেন।
"বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কিছুদিন পর একজনকে ভালো লাগল, হাবে ভাবে বুঝালাম। কিছু সময় পর উনারও আমাকে ভালো লাগল। সুন্দর একটা সম্পর্কের শুরু, ধীরে ধীরে তা ৪/৫ বছরে গড়ালো। একটা সময় পোক্ত কমিটমেন্ট চেয়ে উনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলাম, আমাকে আশ্চর্য করে উনি কিছু না বলে চলে গেলেন। পরদিন সাধু ভাষায় একটি চিঠি পাঠালেন যার মূল কথা --- আপনার কোনই চাকুরি নাই বিধায়, আপনার প্রস্তাবে সম্মতি প্রদান করা সমীচিন ভাবিলাম না। এ বিষয়ে আপনার সহায়তার আশা রাখি।-----
প্রচন্ড হতাশায় মনভাঙ্গার বেদনায় নিজেকে কিছুতেই জড়াতে পারছিলাম না, চারিদিকে ব্যর্থতার দেয়াল আমি নিজেই তৈরি করতে লাগলাম। আমার অধ:পতন দেখে এগিয়ে আসলেন একবড়ভাই, চমৎকার কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে বুঝালেন, জীবনটা কি একটাই মানুষের জন্য? আর সারা জীবন যারা আগলে ছিলো ওরা কিছুই নয়? আর ওই মানুষটাই যদি সব হয়, তবে ওকে দেখিয়ে দাও তুমিও পারো, ব্যর্থতায় ঘরা নয় তোমার জীবন।
নতুন করে শুরু করলাম। একটা সময় দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানে চাকরি হলো। যেদিন জয়েন করলাম চাকরিতে বাসায় ফিরে পেলাম আর একটা সাধুভাষার চিঠি, যার মুল কথা ---- আমি ফিরিতে চাই----"
এতটুকু বলে ভদ্রলোক চুপ করে গেলেন। সবাইতো জানতে উদগ্রীব, কি হলো? তারপর কি হলো? উনাকে আপনি কি বললেন? দিছেন না ঝাড়ি? আরে মিয়া বলেন না?
মিটিমিটি হেসে উনি বললেন ''ওটাই তো দু:খ আর ওটাই দারুন সুখ, যে উনাকে নিয়ে অদ্যাবধি জীবনানিপাত করিতেছি"
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




