লেটেস্ট খবর হচ্ছে, ইতিমধ্যে ভাগনার বাহিনী রাশিয়ার ভিতরে ঢুকে পড়েছে এবং মস্কোর উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। জরুরী এক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, যা কিছু ঘটছে, তা ‘বিশ্বাসঘাতকতা’। এটি ‘দেশের জনগণের পিঠে ছুরি চালানোর শামিল'
গত ৬ মাস ধরেই ভগনার বাহনীর সাথে রাশিয়ান সেনা অফিসারদের এক শীতল যুদ্ধ চলছিল, গত দুইদিন ধরে তা পুরোপুরি সংঘাতে রুপ নিয়েছে। ভয়ঙ্কর ভগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন বলেছেন, তাঁর বাহিনী এরই মধ্যে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার দিকে যাত্রা শুরু করেছে। এক অডিও বার্তায় এই নেতা বলেন, ‘আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি এবং এর শেষ দেখে ছাড়ব। আমাদের এ চলার পথে যা কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তার সবকিছুকে ধ্বংস করে দেব।’তাঁর বাহিনী রাশিয়ার একটি সামরিক হেলিকপ্টারকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলেও দাবি করেছেন প্রিগোশিন। তাঁর ভাষায়, ‘এইমাত্র বেসামরিক একটি স্তম্ভের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে। পিএমসি ভাগনারের সেনাদলগুলো হেলিকপ্টারটিকে ভূপাতিত করেছে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্রের বরাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্কো কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সুরক্ষা বাড়ানো হয়েছে।প্রিগোশিনকে আটকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবি ভাগনারের যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ক্রেমলিন বলেছে, ভাগনার ও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার উত্তেজনা নিয়ে নিয়মিতভাবে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানানো হচ্ছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের ভাষ্য, সশস্ত্র বিদ্রোহের প্রচেষ্টার অভিযোগে প্রিগোশিনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়েছে বলে পুতিনকে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর জেনারেল ইগর ক্রাসনভ।
আজ এক অডিও বার্তায় রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন মস্কোর সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দেন। তিনি বলেন, তিনি এবং তাঁর বাহিনীর ২৫ হাজার সেনা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছেন। রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের জন্য তাঁরা ইউক্রেনের সীমানা পেরিয়ে রাশিয়ার রোস্তভ অন দন শহরে ঢুকে পড়েছেন এবং একটি সামরিক স্থাপনার দখল নিয়েছেন বলেও দাবি করেন প্রিগোশিন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, সংকট মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সুরক্ষা দেওয়ারও অঙ্গীকার করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, কারও কারও প্রচণ্ড উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। যাঁরা রাশিয়ার সমাজে বিভক্তি তৈরি করবেন, তাঁদের অনিবার্যভাবে সাজার মুখোমুখি হতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সূত্র: প্রথম আলো
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২