
বাবার চোখের সামনেই ১৬ বছরের কিশোর 'উৎসব মণ্ডল'কে' উত্তেজিত জনতার গণপিটুনি। ছেলেটির বিরুদ্ধে অভিযোগ সে ফেসবুকে ধর্মের অবমাননা করেছেন। পুলিশ, সেনা এবং নৌবাহিনী এই তিন বাহিনীও পারেনি উত্তেজিত জনতাকে শ্বান্ত করতে। মৃত ভেবে ছেলেটিকে ফেলে চলে যায় উত্তেজিত জনতা, পুলিশ ছেলেটিকে মৃত ভেবে পলেথিন দিয়ে মুড়িয়েও ফেলে কিন্তু পরে দেখা যায় সে জীবত আছে, বর্তমানে সে একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পঞ্জা লড়ছে।
বিকেলের দিকে ওই কিশোর, কিশোরের বাবা ও কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রথমে সোনাডাঙা থানায় যান। সেখানে লোকজন ভিড় করলে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ)-এর কার্যালয়ে ওই কিশোরকে নিয়ে যাওয়া হয়। উন্নত্ত জনতা ওই কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও সেখানে যান। তারা আইনের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিচারের আশ্বাস দেন। কিন্তু উত্তেজিত জনতা তা শোনেনি। রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা উপ-পুলিশ কমিশানেরর অফিসের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে ওই কিশোরকে পিটুনি দেয়। এক পর্যায়ে সে মারা গেছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই কিশোরের দেহ পলিথিনে মুড়িয়ে সেনাবাহিনীর গাড়িতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পুলিশ কার্যালয়ের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনো উত্তেজিত জনতা সেনাবাহিনীর গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে।
উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তাজুল ইসলাম বলেন, "উত্তেজিত জনতার সঙ্গে মাদ্রাসার কয়েক হাজার ছাত্র যোগ দিলে আমরা আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমরা প্রচলিত আইনে বিচারের আশ্বাস দিলেও তারা ‘আস্থা নাই' বলে ওই কিশোরকে তাদের হাতে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানায়। তারা দাবি করে, পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও তাদের হাতে (ছেলেটিকে) ছেড়ে দিতে হবে, দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হবে না, ‘ওদের আইনে' ওরা বিচার করবে। ওই সময় আমাদের পুলিশ সদস্যদের অস্তিত্ব রক্ষাই কঠিন হয়ে পড়ে। তারা তখন তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয়।”
খুলনার সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "ওই কিশোর সবার সামনে ক্ষমাও চেয়েছিল। কিন্তু উত্তেজিত লোকজন প্রথমে তার মাথা মুড়িয়ে গলায় জুতার মাালা পরিয়ে শহরে হাঁটানোর দাবি জানায়। এরপর তারা নিজেরাই বিচারের ঘোষণা দেয় এবং গণপিটুণি শুরু করে।” বিস্তারিত: তিন বাহিনীর উপস্থিতিতেই গণপিটুনি
কথা হচ্ছে- বাঙাল জনতাকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, দেশের প্রধান তিন সশস্ত্র বাহিনীও পারেনি তাদের দাবায়ে রাখতে। গণপিটুনিতে মৃত্যু আমাদের দেশ নতুন কোন ঘটনা হয়, মাঝে মাঝেই আমাদের দেশের শান্তিপ্রিয় সভ্য জনগণ গণপটুনি দিয়ে মানুষ হত্যা করে শান্তি কায়েম করে। ২০১৮ সালের দিকে মানুষের রক্ত দিয়ে পদ্মা সেতুর পিলার তৈরী করা হচ্ছে এমন গুজবে সারা দেশে শত শত নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ছেলে ধরা সন্দেহে।
বাঙাল জনগোষ্ঠী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জনগোষ্ঠী
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



