somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডঃ ইউনূস দেশটাকে আমেরিকা বানিয়ে ফেলতে চায়

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ডঃ ইউনূস দেশটাকে আমেরিকা বানিয়েই ছাড়বে, কিন্তু বাংলার জনগণ কোনদিনও তা বরদাস্ত করবে না, রক্ত যখন দিয়েছি প্রয়োজনে রক্ত আরও দিবো কিন্তু কোন মতেই এই এই দেশকে আমেরিকা হতে দেওয়া হবে না, বঙ্গদেশ বঙ্গদেশই থাকবে, ইনশাআল্লাহ।

ফান বাদ- যা বলতে চাচ্ছি তা হলো দেশের মানুষজন খুবই অস্থির প্রকৃতির, অল্পতেই আগ পিছ না ভেবে ভয়ানক রিয়্যাক্ট করে এত প্রতিক্রিয়াশীল এক জাতি নিয়ে ডঃ ইউনূস কিভাবে এই দেশটাকে নতুন করে গড়ে তুলবে তা ভেবে আমি কূল পাই না। অবশ্য আমি আগেও বলেছি; অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আমার খুব একটা উচ্চাশা নেই, কারণ তিনি (ডঃ ইউনূস) রাজনীতির লোক নন-- তাছাড়া উপদেষ্টাগণও একেবারে আনকোরা অরাজনৈতিক লোক, এরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ থেকে উঠে এসে হুট করেই দেশ পরিচালনার মত গুরু দায়িত্ব পেয়ে গিয়েছেন, পূর্বেও এদের একে অপরের সাথে একসঙ্গে কাজ করার কোন অভিজ্ঞতা নেই, আর যা হবার হয়েছেও তাই কোন চেইন অব কমান্ড নেই, যে যার মত করে কাজ করে যাচ্ছে,বিশৃঙ্খলা সর্বত্রই। কিন্তু তবুও এই সরকারের প্রতি আমার তেমন কোন অভিযোগ নেই, আমি বসে আছি রাজনৈতিকভাবে কোন দল ক্ষমতায় আসে এবং তারা কিভাবে দেশ পরিচালনা করে তা দেখতে, আর যতক্ষণ পর্যন্ত তা না হয় ততক্ষণ বসে বসে পাবলিকের রিঅ্যাকশন দেখি। পাবলিকের হাউকাউ দেখতে হেব্বি মজা!! B-)



আমি দীর্ঘদিন ধরে আশায় ছিলাম আওয়ামী সরকারের পতনের পর নতুন কোন সরকার ক্ষমতায় এলে সে সরকারের প্রতি দেশের জনগণ কি ধরণের আচারণ করে তা দেখার জন্য, এবং যা ভেবেছিলাম ঠিক তা'ই ঘটছে-- মানে. অস্থির জনগণ আওয়ামী সরকার ছেড়ে এখন ইউনূস সরকারের পিছনে লেগেছে। যদিও ইউনূস সরকারের প্রতি জনগণের বিরুপ মনোভাবটা এখনো আওয়ামী সরকারকে ছাড়িয়ে যায়নি কিন্তু ছাড়াতে কতক্ষণ? একসময় যারা শেখ হাসিনাকে গালাগলি করতো সেই তরাই এখন আবার ডঃ ইউনূস এর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে, নানা কথার ফুলঝুড়ি ফুটাচ্ছে, দেশ নিয়ে এরা এতটাই চিন্তিত যে রাতে বালিশের নিচে মাথা রেখে ঘুমায়। আসলে নেগেটিভিটি মিশে রয়েছে আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, এত বিশাল নেগেটিভ মানিসকতার জনগোষ্ঠী নিয়ে কোন জাতি বেশিদূর এগুতে পারার কথা নয় (শেষ পর্যন্ত আমি নিজেও কিন্তু নেগেটিভ হয়ে গেলাম) LMAO :-P

আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, রাজনীতিবিদ বা ক্ষমতাসীনদের গালাগলি করে একটা শ্রেণী মনে প্রশ্বান্তি অনুভব করে, তা যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন তাদের কাজ হচ্ছে- ক্ষমতাসীন দলের প্রধাণ থেকে শুরু করে অন্যন্য গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গকে গালাগলি করে মনে শান্তি অনুভব করা, নিজেদের যাবতীয় ব্যর্থতা, দুঃখ-কষ্টের দায়ভার এরা সরকারের উপর চাপিয়ে দিয়ে মনে বেহেশতি প্রশান্তি অনুভব করে, যাকে বলে আজাইড়া সমালোচনা করে টাইম পাস এবং গালাগলি করে মনে শান্তি আনুভব। আসলে এসব করে এরা মূলত নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চায় অথবা ভুলে থাকতে চায় অথবা নিজেদের দায় এড়াতে চায়।

এরা মনে করে সারাদিন সরকারকে গালিগালাজ করা, ক্ষমতাসীনদের ভুল ধরাই হচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক হওয়ার একমাত্র যোগ্যতা অথচ এরা জানেই না সমালোচনা করা হচ্ছে এই পৃথিবীর সবচেয়ে সহজতম একটি কাজ আর এই সহজতম কাজটি করেই এরা মনে করে বিশাল হাতি ঘোড়া মেরে ফেললাম, দেশ একেবারে উদ্ধার করে ছাড়লাম।

আর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেয়াটা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন একটা কাজ।

শেখ হাসিনা দেশটাকে ভারত বানিয়ে ফেললো বা ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিলো এসব শুনতে শুনতে কান ঝালাপাল হয়ে গেছে বিগত ১০ বছরে আর এখন শুনতে হবে, ডঃ ইউনূস দেশটাকে আমেরিকা বানিয়ে ফেললো =p~ বা আমেরিকার কাছে দেশ বিক্রি করে দিলো.. ইত্যাদি।

আরেক শ্রেণী রয়েছে যারা সবসময় সরকারের সমালোচনা বা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যারা আছেন তাদের পিছনে লেগে থেকে বা তাদের গালাগলি করে নিজেদের এলিট এলিট মনে করে, এই দুই শ্রেণীরই মূল কাজ হচ্ছে হুদাই আজাইড়া প্যাঁচাল আর হাউকাউ করে টাইম পাস করা, যথাযথ সমালোচনা করা তাদের উদ্দ্যেশ্য নয় বা তাদের সে সক্ষমতাও নেই। প্রকৃত অর্থেই এরা কোন সমাধাণ চায় না, আসলে এই দুটি শ্রেণীই হচ্ছে হুজুগে বাঙালীর মূল ভার্সন, আমি এদের খুব ভালো করেই চিনি। আমি যদি একজন সমাজ বিজ্ঞানী অথবা সাইকিয়াট্রিক হতাম তাহলে এই বিষয়গুলোকে খুব ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে পারতাম, কিন্তু আমার সে যোগ্যতা নেই।

ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮
১৪টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×