ফিরে ফিরে চাই, দেখিতে না পাই,," ছায়াছবি অগ্নিপরীক্ষা
বাংলা চলচ্চিত্রের অধ্যায়ে সুবর্ন অক্ষরে লেখা সুচিত্রা সেন এর নাম। পাবনার মেয়ে এই কিংবদন্তী নায়িকা। আগামীকাল পাবনায় রফিকুল ইসলাম বকুল মিলনায়তনে (বনমালী মঞ্চ) পর্দা উঠবে সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র উৎসব ২০১০ বিকেল ৪ টি ৩০ এ। নায়করাজ রাজ্জাক এই চলচ্চিত্র উৎসব এর উদ্ধোধন করবেন। সবাইকে ৮ দিনের এই উৎসবে আমন্ত্রন।
ফেলে আসা পথের পানে:
বাংলা চলচ্চিত্রের সম্ভারে তার ছবির সংখ্যা তিপ্পান্ন। আর হিন্দিতে সাত। সব মিলিয়ে ষাট। চরিত্র চিত্রনে তার অনায়াস অভিনয় নৈপুণ্য দর্শক হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আজও যায়। কাহিনীর বৈচিত্র্যে, অভিনয় পারঙ্গমতায় তিনি অর্জন করেছেন সময় ও কাল ছাপিয়ে বাঙালি নারীর মোহনীয় রূপটি। আজও তাই অধরা-চির প্রেয়সীর আসনে তার ঠাঁই। তিনি চির যৌবনা, স্বপ্নকাতর বাঙালি যুব মানসের স্বপ্নের রাণী। আমাদের সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য যাই বলি না কেন, তিনি এই জনপদ পাবনার মেয়ে। পাবনার ভূমিকন্যা।
সুচিত্রা'র বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত। মা ইন্দিরা দাশগুপ্তা। বাবা ছিলেন পাবনা মিউনিসিপ্যালিটির স্যানিটারি ইন্সপেক্টর। পরে কর্মযোগ্যতায় পদোন্নতি পেয়েছিলেন হেড ক্লার্ক হিসেবে। ১৯৫০ সালের ১৫ মে হেড ক্লার্ক পদে কর্মরত অবস্থায় অবসরগ্রহণ করেন। ২৭ মে অনুষ্ঠিত পাবনা মিউনিসিপ্যাল কমিটির সভার সিদ্ধান্ত থেকে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। করুণাময় ও ইন্দিরা দম্পতির সন্তান সংখ্যা আট। প্রথম দু'জন ছেলে। নিতাই আর গৌর। এর পর পাঁচ মেয়ে। এরা হলেন উমা, রমা, মীনা, লীনা ও রুনা। শেষোক্তজন ছেলে। নাম গৌতম। নিতাই আর গৌর পাবনায় প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে পড়তে গিয়েছিলেন শান্তি নিকেতনে। আশির দশকে, সুচিত্রা সেনের গৌরব গাথা যখন মধ্য গগণে এবং পাদ প্রদীপের আলো থেকে নিজেকে আড়াল করে নিলেন তিনি, তখন, অভিভাবক হিসেবে তার মেজদা গৌর তার বাড়িতে এসে থাকতেন।
দিবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ের সুবাদে রমা দাশগুপ্তা হয়ে যান রমা সেন। তখন দিবানাথরা থাকতেন ৩২ বালিগঞ্জ প্লেসে। রমার শ্বশুরের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর ভাই বিমল রায়। মামাশ্বশুর বিমল রায় রমাকে সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। বর্ধিষ্ণু পরিবারের রাশভারি গৃহকর্তা আদিনাথ সেনের অনুমতি তো চাই। একদিন রমাই বললেন তার শ্বশুরকে। শ্বশুর মত দিলেন। দিবানাথ-রমা যাত্রা শুরু করলেন স্টুডিও পাড়ায়। সিনেমায় পা দিয়ে বিবাহিত রমা সেনের নামটাও পাল্টে যায়। সাত নম্বর কয়েদির পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্তের সহকারী নীতিশ রায় রমার নাম দেন সুচিত্রা। রমা সেন থেকে সুচিত্রা সেনে উত্তরণ ঘটে পাবনার এ মেয়ের। এর আগেও রমা অভিনয় করেছিলেন 'শেষ কোথায়' ছবিতে। কিন্তু ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। ১৯৫০-৫১'র দিকে শুরু হওয়া 'এটম বোম' ছবিতে এক্সট্রার রোলও করেছেন তিনি। তবুও, চলচ্চিত্রে তার নায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটে ওই 'সাত নম্বর কয়েদি' ছবিতেই। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৫৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি।
তথ্যসূত্র : দৈনিক সংবাদ
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




