somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জাহিদুল হক শোভন
এই শহরে অনেক হাজার হাজার ছেলে আছে যারা চুপচাপ থাকে, কথা কম বলে। পৃথিবীতে তারা বোকা, লাজুক, হাঁদারাম নামে পরিচিত। আমাকে এর সাথে তুলনা করলে তেমন একটা ভুল হবে না। নিজের ব্যাপারে বলাটা অনেক কঠিন। তবে নিজেকে মাঝে মাঝে অনিকেত প্রান্তর ভাবি।

গল্প: এঞ্জেল হোয়াইট

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অদ্ভুত নিস্তব্ধতা কাটিয়ে লামিয়া যখন বললো "তাহলে এখন থেকে আমাদের ব্রেকাপ।" আমি কি বলবো ভেবে পাই না। আমাদের ভালোবাসায় কোন ঝগড়া নেউ, রাগ নেই। তারপরও আমরা ব্রেকাপ টানছি। এই ব্রেকাপ টানার কারণ আছে। কারণ ছাড়া কোন কিছু হয় না। আমার সাথে তার রিলেশন এটা কখনো সম্ভব না। তখনি সম্ভব হতো যদি ও মানুষ হতো। সে মানুষ না। ব্রেকাপের কথা শুনার পর আমি ওর চোখের দিকে তাকাই। আমার ভিতরের কল্পনাগুলো একটা বিষন্ন অনুভূতি তৈরি করে আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে দেয়। এই ছড়িয়ে পড়া বিষন্নতার মাঝে আমি আমার ভালোবাসাকে খুঁজে বেড়াই। কিন্তু কেন যেন এই ভালোবাসাটা আমি আর খুঁজে পাই না। এই ভালোবাসাটা আমার হয়েও আমার হয় না। আমার এমন তাকানো দেখে লামিয়া আবার বললো "ব্রেকাপ না হতেই ভেঙ্গে পড়ছো? নিজেকে শক্ত করো। ছেলেদের অনেক শক্ত হতে হয়। এই রকম চেহারা নিয়ে থাকবে না।" আমি তারপরও চুপ করে থাকি। সেও চুপ করে থেকে এই শান্ত পরিবেশটাকে আরও শান্ত করে তুলছে। আমি খুব গম্ভীর হয়ে বললাম "তোমাকে অনেক মিস করবো” এই কথা শোনার পর ও আমার হাতের আঙ্গুলের উপর তার হাত রেখে বললো "এমনভাবে বলতে নেই।" আমি আবার চুপ করে থাকি। কিছু কিছু সময় অনেক চুপ থাকতে হয়। লামিয়া তার ব্যাগ থেকে একটা ব্লেড এর প্যাকেট বের করে বলে “এটা ধরো। এই ব্লেড যেমন তেমন ব্লেড নয়। তোমার সাথে আমার যেদিন দেখা হয় সেদিনই খেয়াল করে দেখি তোমার গালে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। তোমাকে জিজ্ঞেস করলে বলো বার বার ব্লেড কিনতে হয়। শেভ করলে অনেক টাকা খরচ হয়। এই প্যাকেটের একটা ব্লেড দিয়ে তুমি তিন বছর ধরে শেভ করতে পারবে।” আমি ব্লেড এর দিকে একটু ভালো করে তাকিয়ে ওটা হাতে নেই। তারপর ও বেগ থেকে একটা ইস্ত্রি বের করে বললো “এটাও ধরো। এই ইস্ত্রিতে বিদুৎ এর প্রয়োজন হয় না। এই যে লাল বাটমটা দেখছো এটা ধরে চাপ দিলেই এটা হিট হতে থাকে। যখনি তুমি আমার সাথে দেখা করো তখনি দেখি কুচকানো শার্ট পড়ে আসছো। আর কুচকানো শার্ট পড়বে না।” আমার ভিতরটা কেমন করে ওঠে। এই কেমন করে ওঠার সাথে সাথে আমার ভিতরের স্বপ্নরা এলোমেলো হয়ে যায়। আমি বললাম “এইগুলা লাগবে না।” লামিয়া চুল গুলো একটু ঠিক করে বললো “না তুমি বুঝতেছো না। এইগুলা লাগবে। তোমাদের একটা নাটক দেখলাম ঐ যে ”বড় ছেলে” একটা নাটক আছে না। নাটকের শেষে মেয়েটা ছেলেটাকে অনেক কিছু দেয়।” আমি কি বলবো বুঝতে পারি না। এই বিকেল বেলার শেষ মুহুর্তে আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমাদের মাথার উপরের বিশাল আকাশটার দিকে তাকাই। এই বিশাল আকাশটার বুকে মেঘ গুলো ভেসে বেড়ায়। মাঝে মাঝে এই মেঘগুলোর মত আমার ভাসতে ইচ্ছে করে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম “কিন্তু আমি তো বড় ছেলে না। আমি পরিবারের ছোট ছেলে। এই গুলা বড় ছেলেদের দিতে হয়।" সে মুখ গোমড়া করে বলে ”ব্রেকাপ হলে কি ছোট ছেলেদের কিছু দেয় না?” আমি মাথা নেড়ে “না দেয় না” বুঝিয়ে বললাম “ আজকের পর আমাদের আর দেখা হবে না এই জন্য তোমার মন কাঁদবে না?” লামিয়া হ্যাঁ সূচক ইশারা দেয়। মুহুর্তেই আমার মনের আকাশটা স্থির হয়ে যায়। আমি কান্না করতে থাকি। আমার কান্না দেখে লামিয়া বললো "এই কাঁদবে না বলে দিলাম। কেন কাঁদছো তুমি?" এই কথার প্রত্যুত্তর কি দেওয়া যায় আমার মাথায় আসে না। কিছু ভেবে না পেয়ে বললাম "বড় ছেলে" নাটকের শেষে ছেলেটা বিদায় নেওয়ার সময় কান্না করে তাই আমিও একটু কাঁদি।" লামিয়া আবার হাতটা ধরে। ও যখন আমার শরীরটা ছুয়ে দেয় আমার ভিতরে জমে থাকা কল্পনা গুলা নাড়া দিয়ে ওঠে। লামিয়া বললো "তোমার তো কান্না করার কথা না। তুমি তো বড় ছেলে না।" আমি ওর দিকে তাকিয়ে আরও জোড়ে কান্না করতে থাকি। তার এই কথার কোন প্রত্যুত্তর দিতে পারি না আমি। আমি জানি ও এই রকম না। এই সময়টায় আমার মন ভালো থাকার জন্য ও মজা করে যাচ্ছে। তারপর আরও কিছুক্ষন সময় পার করার পর লামিয়া থেকে আমি বিদায় নিয়ে আসি।
.
এই রাতের শহরটার মধ্যে ইদানিং আমার মিশে যেতে ইচ্ছে করে। আমি চুপ করে ছাদের মাঝ খানে বসে থাকি। আমার সময় গুলো এখন কিভাবে কাটবে তা নিয়ে অনুধাবন করি। এতোদিন লামিয়ার ভালোবাসায় আচ্ছন্ন ছিলাম। এই ভালোবাসার সময় গুলোর জন্য আমার মায়া হয়। ওর সাথে আমার এক অদ্ভুত ভাবে পরিচয়। যেদিন ও আমায় ফেসবুকে নক দিয়ে বললো "এই ছেলে কি করো হ্যাঁ? একা ভাল্লাগছেনা। আমার সাথে গল্প করবে?" এই মেসেজ পেয়ে আমার অবাক হওয়ার কথা ছিল। আনন্দে নাচার কথা ছিল। কোন মেয়ে আমার সাথে গল্প করতে চাচ্ছে। কিন্তু এই অনুভুতির কোনটাই আমাকে জড়াতে পারেনি। ওর আইডির নাম ছিল এঞ্জেল হোয়াইট। এই রকম মেসেজ পেয়ে আমি নিশ্চিত হলাম এটা একটা ফেইক আইডি। আমি রিপ্লে দিলাম "দেখেন ভাই মজা নিবেন না। ছেলে হয়ে মেয়ের নাম দিয়ে আইডি চালান এটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু তাই বলে এই গুলা করার মানে কি? আর আপনি কিভাবে আমার লিস্টে এড হলেন?" আমার রিপ্লে পেয়ে লামিয়া দ্রুত রিপ্লে দিল "এহ না, আমি ছেলে হতে যাবো কেন?" আমি কোন রিপ্লে দি না। আর কি রিপ্লে দিব আমি ভেবে পাই না। তারপর, ও ঝট করে দুইটা পিক সেন্ড করে বললো "বিশ্বাস না হলে এই নাও দেখো।" ছবি দেখে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আমি রিপ্লে দিলাম "মিয়া কোন মডেলের ছবি দিছেন এইটা? আমাকে আপনার কি মনে হয়? দেখেন ভাই ফাযলামির একটা লিমিট আছে।" তারপর আমার মেসেজ দেখে আমাকে ভিডিও কল দেয়। এই দিকে ছবি দেখে আমার মাথা নষ্ট। ভিডিও কল ধরবো কি ধরবো না এটা ভাবতেই ঝট করে কল রিসিভ করতেই ও চোখের ভ্রু নাড়িয়ে বলে “এবার বিশ্বাস হয়েছে তো।” মনে মনে আমি লাফ দিয়ে উঠি। আজকে সকালে উঠে আমি কার মুখ দেখেছিলাম? আমি বললাম “হয়েছে মানে হান্ড্রেড পার্সেন্ট হয়েছে। তুমি এতো কিউট কেন? এতো কিউট হওয়া অন্যায়। আমি যদি এখন অজ্ঞান হয়ে যাই? আচ্ছা আমি কি পাঁচ মিনিটের জন্য অজ্ঞান হতে পারি?” ও একটু হাসলো। এই হাসি দেখে আমার মন আরও লাফাতে ইচ্ছা করলো। হাসতে হাসতেই বললো “এমা কেন?” আমি বললাম “মনে আগুন লেগেছে। এই আগুন নিভাবে কে?” এভাবেই আমাদের পরিচয়টা। আমাদের কথা বাড়তে থাকে। বৃষ্টি পড়ে, রোদ পড়ে সময় যায়, দিন যায়, মাস যায়, ক্যালেন্ডারের পাতা বদলায় কিন্তু আমাদের কথা কমে না। বেশির ভাগ কথা লামিয়াই বলতো। মাঝে মাঝে আমি ভাবতাম এতো কথা বলে কি করে মেয়েটা? তারপর একদিন আমাদের দেখা হওয়া। এই দেখা হওয়াটা আমাদের বাড়তে লাগলো একের পর এক। আমরা ভালোবাসতে শুরু করলাম একে অপরকে। ভালোবাসা কি বলে কয়ে আসে? এমন ভালোবাসা আমাকে যে আচ্ছন্ন করবে আমি তা কখনো ভাবিনি। বৈশাখিতে ও শাড়ি আর আমি পাঞ্জাবী পড়ি। আমরা হাটি একজন আরেকজনের হাত ধরে। ওর চুলের খোপা ছেড়ে দেই। সেই চুল বাতাসে উড়ে। উড়ে যাওয়া চুল আমি ওর কানে গুজে দেই। ভালোবাসাটা কি চমৎকার আমাদের। এমন ভালোবাসায় সারাদিন রাত আমার জড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। কিন্তু গত মাসেই অঘটনটা ঘটলো। ও আমাকে বললো “ভালোবাসায় মানুষ কিভাবে কেপে ওঠে এই জিসিসটা তোমার সাথে আমি না মিশলে জানতাম না। এতো ভালোবাসো কেন আমায় জাহেদ? এতো ভালোবাসা ঠিক না। এতো ভালোবাসলে কষ্ট পেতে হয়। কষ্ট সহ্য করার ধৈর্য আছে তোমার?” আমি ওর কথার কোন কিছুই বুঝতে পারিনা। আমি চুপ করে ওর হাত ধরে বসে থাকি আর চুলের গন্ধ শুকি। যখন ওর চুলের গন্দ শুকি তখন আমি কোথায় যেন হারিয়ে যাই। তারপর ও খুব ইতস্তত হয়ে বললো “একটা কথা ছিল।” আমি ওর চুল শুকতে শুকতে বললাম “হুম বলো” ও আরও একটু চুপ করে রইলো। তারপর বললো “যাকে তুমি এতো এতো ভালোবাসছো তাকে মানে আমার সম্পর্কে কতটুকু জানো? তুমি কি জানো আমি মানুষ না।” আমি ওর দিকে তকিয়ে হাসি আর বলি “আমি জানি তো তুমি মানুষ না। তুমি আমার পরী। পরীর মত একদম।” ও বললো “আমি কিন্তু মজা করছি না।” আমি তারপরও হাসতে থাকি। আমার হাসি দেখে ও মুখটা একটু গোমড়া হয়ে গায়েব হয়ে গিয়ে বলতে লাগলো “এবার বিশ্বাস হয়েছে?” আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। আমি বসা থেকে উঠে দাঁড়াই। আমার বুকটা ধড়ফড় করে ওঠে। এরপর একটা মাস আমি কেমন করে পার করেছি জানি না। পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর সেই দিন গুলো ছিল আমার। এই দিন গুলোর জন্য আমার খুব মায়া হয়। রোদেলা মাখা শুভ্র সকালে যখন ওর কন্ঠটা শুনতে পেতাম মনে হতো আমার জীবনের সব ক্লান্তি মুছে গেছে। যখন জানতে চাইলাম এইরকম করার কারণ কি? ও খুব গম্ভীর হয়ে ইতস্তত হয়ে জানিয়েছিল “আমি যখন এখানে সেখানে উড়ে যেতাম দেখতাম তোমরা মানুষেরা বেশির ভাগই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। এই মোবাইলের ভিতর কি আছে সেটা জানার কৌতূহল জাগলো। তারপর জানতে পারলাম তোমরা মানুষেরা জীবনের বেশির ভাগই সময় নষ্ট করো ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইউটিউভ এ। কি মনে করে যেন আমিও একটা ফেসবুক আইডি খুললাম। যদিও আমি খুলতে জানতাম না। ইউটিউভ দেখে দেখে খুলেছি। তোমার সাথে এড হলাম। কিছু কিছু মানুষ আমাকে অনেক নক করতো। চ্যাটও হতো। তবে খুব কম। বুঝলাম এটাতে একটা মজা আছে। ঐদিন রাতে কথা বলার মত কেউ ছিল না। অনেক রাত ছিল তো। কিন্তু যখন তোমাকে নক করলাম সাথে সাথেই তুমি রিপ্লে দিলে। তারপর কি থেকে কি হয়ে গেলো।” লামিয়া ফেইসবুকের তেমন কিছুই জানতো না। এটা সেটা আমার থেকে জেনে নিত। ওর সম্পর্কে জানতে চাইলে ও সব কিছু বলে। শুধু এই ব্যাপারটাই লুকিয়ে রেখেছিল ও মানুষ না। ওরাও পড়ালেখা করে। তবে আমাদের মানুষের ভিতরের অনুভূতি গুলো তেমন বুঝতো না। কিভাবে অনুভূতি গুলো অন্যের মাঝে প্রকাশ করতে হয় জানতো না। আমি ওকে বুঝাতাম। ভালোবাসাতাম।
.
এই ভালোবাসাটা আমার হয়েও হয়নি। কেন এসেছিল এই ভালোবাসা? নিজেকে বুঝাতে চেষ্টা করলাম কিছুদিন। বুঝতে চেষ্টা করলাম এই সম্পর্কটাকে। বুঝলাম এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব না। আর গতকাল রাতে ওর সাথে কথা বলে জানালাম সম্পর্কের ইতি টানা দরকার। এই সর্ম্পক গড়ে ওঠার মত নয়। এই সম্পর্ককে নাম দেওয়া যায় না। আর এ কারনেই আজ ব্রেকাপ হয়ে গেছে আমাদের। গতকাল রাতে কথা বলার পর ওকে বললাম “আমাদের সম্পর্কে ইতি টানলে ফেইসবুকে ব্লক দিতে হয়।” ও নিচের দিকে তাকিয়ে ইতস্তত করে বললো “ব্লক দিলে কি হয়?’ আমি একটু সময় নিয়ে জানালাম “ব্লক দিলে ভুলে থাকার চেষ্টা করা যায়। কিন্তু ভুলা যায় না। ব্লক দিলে আমরা কেউ কারো আইডি দেখতে পারবো না। তবে তুমি চাইলে অন্য আইডি খুলে মাঝে মাঝে আমার আইডিতে ঘুরে যেতে পারবে। আমাদের ফেইসবুকে এমনই হয়। আমাদেরে ব্রেকাপ হলে বিরহের, দুঃখের স্ট্যাটাস দেয়। তুমিও দিও।” সে বললো “তুমি দিবে না?” আমি কি প্রত্যুত্তর দিব বুঝতে পারিনি। শুধু চুপ করে মাথা নেড়ে বুঝিয়েছিলাম দিব।
.
ছাদের মাঝখানে আমি এখনো বসে আছি। রাতটা আরও গভীর হয়। আমি অনুধাবন করি রাতটা কত একা এখন আামার মত। দিনের আলোটাকে সবাই গ্রহণ করে। কিন্তু রাতের আলোটা তেমন কেউ গ্রহণ করে না। রাতটা আসলেই সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। এসব ভাবেতেই হঠাৎ করে পিছন থেকে বলতে লাগলো “এতো বিষন্ন হয়ে পড়ছো কেন তুমি?” আমি ফিরে তাকাই। ওর দিকে চুপ করে তাকিয়ে থাকি। সেও চুপ করে তাকিয়ে থাকে। আমি বললাম “কেন আসছো তুমি?” ও আরও কিছুক্ষন চুপ করে রইলো। তারপর বললো “তোমাকে দেখতে আসছি, তুমি ঠিক আছো কিনা। তুমি বলেছিলে না বিরহের দুঃখের স্ট্যাটাস দিতে। বিরহ মানে তো বুকে কি রকম একটা ব্যথা ব্যাথা আভা তাই না? আমি কি স্ট্যাটাস দিব ভেবে না পেয়ে গুগুলে বুকের ব্যথা লিখে সার্চ দিতেই দেখি ”বুকের বা পাশে” একটা ভিডিও চোখে পড়ে। ওটাতে ঢুকেই দেখতে লাগলাম। জানো নাটকের শেষে ছেলেটা মেয়েটাকে না পেয়ে পাগল হয়ে গেছে। নাটক গুলো এমন কেন? মেয়ের বিয়ে হলে ছেলে পাগল হয়ে যায়? এই অল্প দিনের পরিচয়ে? আমি ভাবলাম তুমিও এমন হবে কিনা। তাই তোমার কাছে আসছি। তুমি আসলে ঠিক আছো তো? আমার কিন্তু খুব টেনশন হচ্ছে।” আামার কি বলা উচিৎ আমি জানি না। এইটুকু বুঝতে পারছি ও এই গুলা ইচ্ছে করে করছে আমার মন ঠিক থাকার জন্য। আমার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। ও আামর কাছে এসে দাঁড়ায়। আমি জল মাখা চোখ নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকি। ও আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলে “এতো এতো কেন ভালোবাসলে আমায়? এই ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার কি আমি রাখি? আমার চোখে যখন ঘুম হয় তখন অনুভব করি কেন আমি মানুষ হলাম না। পরে আমি একটুও ঘুম যেতে পারি না। এই অনুভুতিটা আমার জীবনের সব কিছু থেকে আলাদা।” আমি কি বলবো এর প্রত্যুত্তর আমার কাছে নেই। শুধু এইটুকু জানি এই সম্পর্কটার নাম দেওয়া যায় না, একদমি না...
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৭
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×