সাবেক রাষ্ট্রভাঁড়ের দেশ ত্যাগ, ইন্টেরিম কার স্বার্থে আছে?
ঈদের পরে আন্দোলনের হিসেব বহুত কষা হইছে। যেই অক্ষমতার ট্রল ইতিহাস হয়েই থাকবে। ইন্টেরিমের বিরুদ্ধে আন্দোলনের একটা বড় প্রেক্ষাপট তৈরী হলো। এই সুযোগ কি বিএনপি নিবে? নাকি ঈদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে?
ইন্টেরিম দিয়ে বিচার আদায় করতে না পারলে এর দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে ঘুরতে হবে সরকারে যাওয়ার পর। তারপরে থাকবে স্বভাব দোষে নেগোশিয়েট করা ওয়লাদের দায় নেয়া।
বেশিরভাগ লীগের মাথাতো কচুক্ষেত আগেই বর্ডার পার করে দিছে। এখনও কচুক্ষেতের নিয়ন্ত্রণে ইন্টেরিম।
বিএনপির দায় নেই বলার সুযোগ নেই। বিএনপি এখন যতটা লীগের বিরুদ্ধে সোচ্চার, অতটা কঠিন তাদের বড় মাথাওয়ালাদের বয়ানে শুরুতে ছিলো না। তাদের তৃণমূল ঠিকই অ্যাক্টিভ ছিলো লীগের বিরুদ্ধে। কিন্তু এসি রুমের লোকজন হয়তো দেড় যুগের ভয়ের অভ্যাস তখনও ছাড়তে পারে নাই।
বিএনপির মাথারা মূলত লীগের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাষী হয়েছে ট্রাম্প-মোদি বৈঠকের পরে। যখন দেখা গেলো ট্রাম্প মোদিকে অত আগ্রহ দেখায়নি। তার সাথে ছিল বিএনপির তৃণমূলের লীগ বিরোধী কঠোর অবস্থান আর সেই সাথে সাধারণ মানুষের তুলোধুনো।
বিএনপি, এনসিপি, জামাত সহ সব লীগ-বিরোধী ফেইল করলে বিপ্লব ফেইল করবে।
ইন্টেরিম যে ভাবসাব এরা কি আদৌ সংস্কার করবে বা করতে পারবে? নাকি বাকীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায়সারা নির্বাচন দিবে শুধু!
সংস্কার আর বিচার শুরু করে নির্বাচন দরকার। আর তা যদি করতে না-ই পারে এতো ভনিতা কেন!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০০