বর্তমান সরকার সরকারি চাকুরেদের বেতন ১০০% বাড়িয়ে দিয়েছেন। যাদের বেতন ছিলো ১০ হাজার তাদের ২০ হাজার হয়েছে। এরকম সব লেবেলের সরকরি চাকুরেদেরই বেতন বেড়েছে। এছাড়া তাদের বৈশাখী ভাতাও দেয়া হবে। সব মিলিয়ে সরকারি চাকুরেদের কপাল খুলে গিয়েছে।এটা খুবই ভালো একটা নজির। কারন মানুষ তার কাজের উচিত মুল্য না পেলে কাজের প্রতি আগ্রহ এবং উতসাহ দুটোই হারিয়ে ফেলে এবং দূর্নিতির জালে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতে বাধ্য হয়।ফলে অপরাধ প্রবনতা বেড়ে যায়। কারন কথায় আছে, "অভাবে স্বভাব নষ্ট। সবকিছু মিলিয়ে বলা যায় যে মাননিয় প্রধানমন্ত্রীর মন আছে, যার ফলে তিনি তাদের মনোকষ্টটা বুঝতে পেরেছেন। সত্যি তার তুলনা নেই। তিনি অতুরনীয়। তবে দু:খের বিষয় এই যে তার মন শুধু সরকারি চাকুরেদের মনোকষ্টটা বুঝতে পেরেছে, বেসরকারি চাকুরেদের মনোকষ্ট বুঝতে পারেনি।আরাম আয়েশে করলাম করলাম না করলাম না করলাম মনোভাবের সরকারি চাকুরেরা যখন বেতন বাড়ার খুশিতে বাকবাকুম করে তখন গাধার মত খাটা খাটনি করা বেসরকারি চাকুরেদের কেমন লাগে প্রধানমন্ত্রী কি ভেবে দেখেছেন? সরকারি চাকুরেরা যখন বৈশাখী ভাতা পাওয়ার সংবাদ শোনায় তখন বেসরকারি চাকুরেদের কেমন লাগে মাননিয় প্রধানমন্ত্রী কি কখনো ভেবে দেখেছেন? এই বেতন বাড়ার ফলে বাড়ি ভাড়া বেড়ে যাবে, বাজারে আগুন লাগবে। সরকারি চাকুরেরা তখন তদের বাড়তি টাকা দিয়ে তা মেটাতে পারবে। কিন্তু বেসরকারি চাকুরেরা তখন কি করবে সেটা কি ভেবেছেন কখনো মাননিয় প্রধানমন্ত্রী? নাকি আপনি বেসরকারি চাকুরেদের নিয়ে ভাবেননা? নাকি ভাবার সময় নেই? নাকি তাদের কাছে াপনার খোনো দায়বদ্ধতা নেই? যাই হোকনা কেন তবে এই বেতন স্কেলের মাধ্যমে সরকারি বেরকারি চাকুরেদের মাঝে একটা উচু নিচু জাতের সৃষ্টি হবে সেই আগেকার দিনের উচু নিচু জাতের মত আর তার ভয়াভতাতো আমরা বইতেই পড়েছি। সবহে বলতে চাই এদেহের নাগরিক শুধু রকারি চাকুরেরাই না, বেসরকারই চকুরে যারা তারাও।এটা আপনার মাথায় রাখা উচিত। আপনার ভোটবাক্সে শুধু সরকারি চাকুরেদের ভোটই ছিলোনা, বেসরকারি চাকুরেদের ভোটও ছিলো মাননিয় প্রধানমন্ত্রী।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৭