একজন ব্লগার গায়ত্রী মন্ত্র নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন। তাতে একজন ব্লগার উক্তি করলেন তার সনাতন ব্লগে ব্লগিং করতে। সাম্প্রদায়িকতার কারণে পোস্টদাতা অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়েছেন। তা সেই ব্লগারের আমলনামা(পূর্বতন পোস্টের দিকে একটু চোখ বুলাই)
হাসরের ময়দানের ত্যাক্ত অভিজ্ঞতা ব্যানসম্ভাবী পোষ্ট
তা সেই সনাতনীর সাইটটিই বা কিরকম হবে? তা একটু দেখে নিই আমরা!
অমিতাপ পান্ডে ! যৌন শক্তি বাড়ানোর জন্য গো মুত্র না খেয় মুসলমানের রক্ত-গোশত , আদা, রসুন, দিয়ে ভালোভাবে, রেধে খেতে পারেন। মুসলমানের রক্ত-গোশত খেলে যৌন শক্তি বাড়ে। গো মুত্র না খেয়ে মুসলমানের রক্ত-গোশত খান। তবে মুসলামনের রক্ত-গোশত খেলে মুসলমানের দুধ খেতে পারবেন না। কেননা . . .
এটি তার বক্তব্য নয়, এটি একজন মহান দার্শনিকের(!) ওয়েবসাইটে প্রচারিত বক্তব্য। সে শুধু একটি না, দুটি হিন্দুধর্মবিষয়ক সাইট খুলে বসেছে। যেখানে রয়েছে শুধু মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বিরতিহীন গালিগালাজ ও কুৎসা রটনা।
উপরের কথাটি তার ওয়েবসাইট সনাতন থেকে নেয়া।
www.shonaton.com/archives/1373
তার পোস্টগুলোতে প্রচারিত আরেকটি ওয়েবসাইটের বক্তব্য দেখুন
Click This Link
রাক্ষসের ত্যাগ শিক্ষা লিখেছেন তারক কুমার ঘোষ
হাম্বা হাম্বা রবে আর্তনাদ করে
নিরীহ গরুকুল,
আসিল ধরায় তাদের মারিতে
শয়তান নমরুদ কুল।
রাক্ষসের ওই বংশধর
শিখায় রাক্ষস ধর্ম,
গোগ্রাসে মাংস খাওয়া
রাক্ষসেরই কর্ম।
সারা বছর মাংস খেয়ে
তৃপ্ত নয় শয়তানের আত্মা,
ত্যাগের নামে হত্যা করে
উপকারী জীবের সত্তা।
শয়তান প্ররোচনায় হত্যালীলায়
নেমেছে স্বয়ং শয়তান,
রুখিবে তাকে কোনো এক কালে
ভগবানেরই সন্তান।
আমার প্রশ্ন এই মহান ধার্ষনিক, জান্তববাদী ব্যক্তিবর্গ কি প্রচার করতে চায়? তারা অনার্যদের রাক্ষস বলে সম্বোধন করে তাদের নির্বিচারে দমন করে রক্তের বন্যা বইয়ে আর্যদের ব্রাহ্মণ্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিল, এখন মুসলমানরা হল তাদের টার্গেট।
এসব বিষয় সামুতে তুলে ধরাতে সে নিজেকে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে তুলে ধরেছে এবং বলেছে হিন্দুদের এদেশের মুসলমানদের হাত থেকে রক্ষার্থে(!) এসব সাইট সে তৈরী করেছে।
এই নিকৃষ্ট প্রাণীটি পোস্টও দিয়েছে
আমি নাকি সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছি !!!! ক্লিয়ারিফিকেশন পোষ্ট
সামুতে এই প্রাণীটি সাম্প্রদায়িক ব্লগারদের মধ্যে অগ্রগণ্য বলা চলে। এই প্রাণীটির একটি বক্তব্য শুনুন
আর পাকপবিত্র??? একজন নিষ্ঠাবান হিন্দুর পাকপবিত্র দেইখেন আর মুসলিমের দেইখেন। যেখানে স্ত্রীর সাথে ……..এর পরে কাপড়ে যেখানে …….লাগছে সেটা পরিষ্কার করলেই সে পবিত্র হয়ে যায় সেখানে পাকপবিত্র মানে কি বলে জানিনা। আর নিজেকে পরিষ্কার কিভাবে করবো ?
ফরজ গোসল বলতে যে একটা জিনিস আছে তা এই ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িকরা বোধহয় জানেনা, আর জানলেও না জানার ভান করে।
এই মহান ধার্ষনিক জান্তববাদী ব্যক্তিটি তার প্রতিটি পোস্টে এই সাইটগুলোর প্রচার প্রচারণায় লিপ্ত। মডারেটরের নিকট প্রশ্ন, এই দুই ওয়েবসাইটের প্রচার প্রচারণার দায়ভার কি আপনারা নেবেন?