আজ সকালে আমার ভাই বিদেশ গেল। তাই তার সাথে এয়ারপোর্টে গিয়েছিলাম। ফার্মগেইট থেকে একটা সিএনজি করলাম। দেড়শ টাকা।
প্রশ্ন ১: সিএনজি নিয়া অনেক সমস্যায় পড়তে হয়, তারা কোথাও যেতে চান না, আর যদি চান যে ভাড়া চান- তা মাথা খারাপ করার মত। আর সিএনজি পাওয়ার জন্য অনেক অপেক্ষা করতে হয়- সমাধান কী?
প্রশ্ন ২: পাবলিক পরিবহন বাস। বাসে ওঠার জন্য কী যে যুদ্ধ করতে হয়, বাপ রে! ঘন্টার পার হয়ে যায়, বাসে ওঠা যায় না। অফিস লেট, ক্লাশ লেট- সমাধান চাই?
সকাল ৭:৩০। সিএনজি চলছে। বনানী পর্যন্ত আসতে বেশ সিগন্যালে, য্যাম। তারপর একটানে এয়ারপোর্ট। যাক ভাল। আসার সময় একা। একটি বাসে ওঠলাম। তখন ১০টা। ফার্মগেইট আসবো। বাস দুই কদম সামনে যায়, একটু জিরায়। একটু যায়, দুই কদম বিশ্রাম নেয়। আমার তখন কচ্ছপের গল্পটার কথা মনে পড়ছিল। অনেক সহ্য করে পরে কাকলীর আগেই নেমে গেলাম। হেটে হেটে বনানী পর্যন্ত গেলাম।
প্রশ্ন ৩: কেন, কেন আমাকে বাস রেখে হাটতে হবে। শুধু আমি নই, অনেকেই। একটা রাজধানীর চিত্র তো এমন হওয়ার কথা নয়। প্রতিদিন কত হাজার ঘন্টা লস হচ্ছে ভাবার বিষয়, এর জবাব কী?
প্রশ্ন ৪: এই রোডে এত সিগনাল কমবে কবে?
প্রশ্ন ৫: কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বাসে বসে বসে ক্লাশ মিস করছে, দেরি হচ্ছে অফিসে, রোগী প্রাণ হারাচ্ছে রাস্তায়- সমাধান চাই।
তারপর চরম বির্মষ মন নিয়ে যখন ঘরে ফিরি, দেখি কারেন্ট নাই।
প্রশ্ন ৬: কী করবো আমরা সাধারণ মানুষরা? এই যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে এর মূল্য কে দেবে?
একটি দেশের রাজধানীর এই বেহাল অবস্থা কারোই ভাল লাগে না। এই ব্যর্থতার ইতিহাস আমরা লিখতে চাই না, আমরা চাই রাজধানী হবে রাজধানীর মত। এত অভিজ্ঞ মন্ত্রী পরিষদের কাছে এ চাওয়া বেশি নয়।
কাজ করে প্রমাণ করুন। জনগণকে দেওয়া ওয়াদা পূরণ করুন। কাজের মধ্য দিয়েই ইতিহাসে নাম রেখে যান।
সেই ইতিহাস আমরাই লিখতে চাই।
প্রশ্ন ৭: এখানেই থেমে যাবে না তো? কাজ হবে তো?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




