somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শ্বশুড়ের পরিবার সমাচার কিঞ্চিত ১৮+,তবে সবার জন্য উন্মুক্ত

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত বছরের কোরবাণীর ঈদ ৷ বউ ফোন দিয়া কইলো বাড়িতে আসমু কবে ৷ আমি কইলাম,এইতো প্রায় রওণা দিমু দিমু ভাব ৷ কইলাম ঠিকই রওণা দিমু মাগার রওণা আর দেওয়া হয় না ৷ অবশেষে একদিন রওণা দেওয়ার দিন আইসা পরলো ৷ সবার জন্য অতি কম খরচে অনেকগুলা মার্কেট কইরা বাড়ির উদ্দেশ্যে দৌড় দিলাম ৷ কিন্তু জ্যামের যে অবস্থা তাতে আর দৌড় দেওয়া সম্ভব হইলো না ৷ কি আর করার,বইসা রইলাম বাসের মধ্যে ৷ একসময় এলাকার বাসষ্ট্যান্ডে আইলাম ৷ সন্ধ্যা হইছে ৷ গ্রাম তাই গাড়িঘোড়াও পাইতাছি না ৷ কয়েকখান ভাড়ার মোটরসাইকেল দেখলাম ৷ ভাড়া জানতে গিয়া অবাক হওয়ার বদলে যথেস্ট লজ্জা পাইলাম ৷ রওণা দিলাম হাঁইটা ৷ একসময় বাড়িতেও পৌছাইলাম ৷ বাড়ির বাহির থাইকা জোরে হুংকার ছাইড়া কইলাম বাড়িতে কেউ আছে নাকি ৷ খটাশ কইরা দরজা খুইলা গেল ৷ মা দরজায় দাঁইড়া আছে ৷ ভিতরে গেলাম কিন্তু বউয়ের কোন উপস্থিতি টের পাইতাছি না ৷ মা-আব্বার খবর লইয়া নিজের ঘরের দিকে পা বাড়াইলাম ৷ যাইতেই দেখি বউ দরজা দখল কইরা দাঁড়াইয়া আছে ৷ কাছে যাইতেই ঘরের ভিতরে ঢুইকা গেল ৷ আমি কিছু কইলাম না ৷ হেতেও কিছু কইলো না ৷ ভাবখানা এমন যে কেউ কাওরে চিনিনা ৷ আমি ড্রেস চেন্জ কইরা ফ্রেশ হইয়া ভিতরে আইলাম ৷ বউ আমার ভাত নিয়া রেডী ৷ এখনও কিছু কইতেছে না ৷ আমিও কিছু কইতাছি না ৷ এই সময় মা'র আগমন ৷ আইসা আমাগো চেহারা দেইখা তিনি বুঝবার পারলেন ঘটনা কি ৷ তিনি আইসা আমার পাশে বইলেন ৷ তারপর আমারে অনুরোধ করলেন শ্বশুড়ের উপর থাইকা যেন রাগটা কমাই ৷ বেচারা খুব কষ্টে আছে ৷ আমিও মাথা নাচাইয়া স্বীকার খাইলাম ৷ মা চইলা গেল ৷ আমি মাথা নীচু কইরা খাইতাছি ৷ হঠাৎ কইরা ফোঁস ফোঁস শব্দ ৷ আমি লাফ দিয়া উইঠা একখান লাঠি লইয়া খাটের নীচে সাপ খুজতে লাগলাম ৷ কিন্তু কোনখানেই সাপ নাই ৷ পরে খেয়াল করি সাপ না,আসলে আমার বউ ফোঁপাইতে ফোঁপাতে কান্তেছে ৷ মনডা নরম হইয়া গেল ৷ কাছে টাইনা নিয়া একখান চুম্মা দিলাম ৷ ( সাকিবের মতো ছবি চাইয়েন না) ৷ হেতে এইবার মুখ খুললো,
-তুমি আমারে একদম ভাসবাসো না
-কইলো কেডা? X(
-ভালই যদি বাসো তাইলে এতদিন পর বাড়ি আসলা কেন? :(
-আসলে হইছে কি জান,এই কয়েকদিন তোমার লাইগা ভালবাসা জমাইতেছিলাম ৷ এখন শুধু বিগ ব্যাং এর মতো বিস্ফোড়ন হইব ৷
-তোমার বিস্ফোড়নরে আমি গুল্লি মারি
-তাইলেতো বিস্ফোড়ন বিগ ব্যাংরেও ছাইড়া যাইব ৷ ;)

একপর্যায়ে শুইতে গেলাম ৷

ঘটনা কী? আপনারা এখনও চাইয়া আছেন ক্যান? বিবাহিত দম্পতীর রাইতের ঘটনা শুনতে নাই ৷ পরের দিনের ঘটনা কইতাছি হেইডা হুনেন ৷

পরের দিন বউরে লইয়া প্রায় একবছর পর শ্বশুড় বাড়ি যাইতেছি ৷ উদ্দেশ্য দুইটা ৷ এক,তাগো ঈদের দাওয়াত দিমু আর দুই,ঈদে আমারে যে মার্কেট কইরা দিব হেইডা নিয়া আসমু ৷ ( সত্যি কইতে মার্কেটের লোভে শ্বশুড়ের উপর থাইকা সব রাগ ফালাইয়া দিছি ৷) রাস্তায় বউ কইলো মিষ্টি নিবানা?আমি কইলাম ,নিমুনি ৷ রাস্তার পাশের এক দোকান থাইকা হাফ কেজি বাতাসা নিলাম ৷ বউ এর কারণ জিগাইলো ৷ আমি কইলাম,মিষ্টিও চিনি দিয়া বানায়,বাতাসাও চিনি দিয়া বানায় ৷ খাইতে দুইটাই মিষ্টি লাগে ৷ তাইলে হুদাই ক্যান বেশী টাকা দিয়া মিষ্টি কিনমু ৷ বউ কিছু কইলো না ৷ বুঝলাম হেতে চরম লেভেলের ক্ষেপছে ৷ আমিও আর কিছু কইলাম না ৷ হেতে একবার বাতাসার দিকে তাকায় একবার আমার দিকে তাকায় ৷ এইরকম করতে করতে বাতাসার প্যাকেট দিল ফালাইয়া ৷ কিছু কইতে গিয়াও কইলাম না ৷ একপর্যায়ে শ্বশুড় বাড়ি গেলাম ৷ অনেকদিন পর আসছি তাই সবাই খুব খুশি ৷ আদর যত্ন খুব করতেছে ৷ আমিতো পুরাই ফিলিংসে আছি ৷ ১ম দিন ফিলিংসেই কাটলো ৷ পরের দিন ঘুম থেকে উঠে বাহির গিয়া দেখি বউ উঠানে চুলায় রান্না করতেছে ৷ আমি একখান চেয়ার লইয়া বইলাম ৷ ইতিমধ্যে শালীর আগমন ৷ সামনে আইসা কাচুমাচু করতেছে ৷ জিগাইলাম কিছু কইবি?হেতে কইলো, হ কইতাম ৷ বুঝলাম ভাব খারাপ ৷ সামনে ঈদ ৷ নিশ্চিত কিছু দাবী করবো ৷ আমি কইলাম,যেইটা কইবি পরে ক ৷ আগে আমার মাথা টিপা দে ৷ লক্ষ্মী মেয়ের মতো হেতে কামে লাইগা গেল ৷ দুইমিনিট পর শালার আগমন ৷ পিচ্চি আইসাই দাবী জানাইলো তার মেশিনওয়ালা সাইকেল কবে কিনা দিমু ৷ আমি কইলাম, দিমুতো,তার আগে আমার আঙুল টাইনা দে ৷ হেতেও কামে লাইগা গেল ৷ দুইজনের সেবায় আমার তন্দ্রা আইসা গেল ৷ স্বপ্নও দেখা শুরু করলাম ৷ দেখি যে,কোরবাণীর ঈদ হইতাছে ৷ সবাই কোরবাণী দিতেছে ৷ কিন্তু আমার গলায় দড়ি ৷ হেইডা আবার শালা ধইরা আছে ৷ পাশেই শালী খাড়া ৷ বউরে দেখলাম এক বাড়ির ভিতর থাইকা ইয়া বড় একখান রামদা নিয়া আইতাছে ৷ আইসাই হেতে ইশারা করলো ৷ সাথে সাথে শালা আর শালী মিলা আমারে পশুর মতো শোয়াইয়া উপরে উইঠা চাইপা বসলো ৷ বউ এখন গলায় ছুড়ি চালাইব ৷ এইসময় সেইরকম বৃষ্টি ৷ আমারে রাইখা তারা দিল দৌড় ৷ আমি বৃষ্টিতে পুরাই ভিজা গেলাম ৷ এমন সময় তন্দ্রা কাইটা গেল ৷ হায়! হায়! স্বপ্নে দেখলাম বৃষ্টিতে ভিজা গেছি ,বাস্তবেও দেখি ভিজা গেছি ৷ তাকাইয়া দেখি বউ সামনে ৷ এক হাত তার কোমড়ে আরেক হাতে বালতি ৷ পাশেই শালা আর শালী হাঁসতেছে ৷ কাহীনি বুইঝা ফালাইলাম ৷ উইঠা গেলাম গোসল করতে ৷ গোসল কইরা আইসা দেখি মামা শ্বশুড় তার পরিবার লইয়া আইছে ৷ কিছুক্ষণ পর দুপুরের খাওয়ার সময় ৷ সবাই একলগে খাইলেও আমি অন্য রুমে খাইতে বসলাম ৷ লোকজনের সাথে খাইতে আমার শরম লাগে ৷ এই জন্য নিজের বিয়াতেও কাওরে দাওয়াত দেই নাই ৷ যদি আমার খাইতে সমস্যা হয় ৷ B-) আরও দুইদিন থাকার পর বউরে নিয়া বাড়ি চইলা আসলাম ৷ ঘটনা আরও আছে ৷ আরেকদিন কমু ৷ বউ ডাকতাছে ৷ আমি গেলাম ৷
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×