somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সত্যটা আজকে বলবই ( ভালবাসার গল্প ) ৷"জীবন থেকে নেওয়া" [last part]

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

1st part

2nd part

তৃতীয় এবং শেষ পর্ব লেখার আগে আমি কিছু কথা বলতে চাই ৷ আসলে আমি লেখক হিসেবে যথেষ্ট বাজে ৷ লিখে ঠিকমতো মনের ভাব প্রকাশ করতে পারিনা ৷ আর লেখাটি সংক্ষেপে লিখতে গিয়ে অস্পষ্টতা একটু বেশী দেখা দিয়েছে ৷ পাঠকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে,দয়া করে লেখার ভাবার্থ কষ্ট করে বুঝে নিবেন ৷


একটু পরেই সকাল হলো ৷ সে এখনও শুয়ে আছে, তবে ঘুমায়নি ৷ আটটার দিকে ক্যাম্পাসে চলে আসলাম ৷ কিছুই যেন ভাল লাগছিলো না ৷ আবার বাসায় চলে আসলাম ৷ ভাবলাম,ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইব ৷ কিন্তু, সেই সাহসটাও হলো না ৷ ছাদে গিয়ে এক বিবাহিতা বান্ধবীকে ফোন দিলাম ৷ কেন জানি মনে হল তার কাছে থেকে কিছু পরামর্শ পাওয়া যাবে ৷ শুরু থেকে শেষে পর্যন্ত সব খুলে বললাম ৷ এগুলো শুনে সে আমাকে কিছুক্ষণ গালমন্দ করলো ৷ যেহেতু আমি সরাসরি ভুল স্বীকার করার সাহস পাচ্ছিলাম না তাই সে একটা বুদ্ধি দিল ৷ বুদ্ধিটা আমার মনে ধরলো ৷ রুমে চলে আসলাম ৷ বউকে দেখলাম ব্যালকনিতে বসে আছে ৷ পরিবেশ আগের মতোই নীরব ৷ বরাবরের মতই কেউ কারও সাথে কথা বলছিনা ৷ বউকে ডাক দিলাম ৷ ডাক শুনে সে ভিতরে আসলো ৷ চা আনতে বললাম ৷ চা বানাতে রান্না ঘরে গেল ৷ একটু পর চা নিয়ে আসলো ৷ কাপে এক চুমুক দিয়ে বললাম,চিনি কম হইছে,চেক করে দেখ ৷ আসলে আমি চাচ্ছিলাম ও নিজেই কাপে চুমুক দিয়ে পরীক্ষা করুক ৷ আমার উদ্দেশ্য ছিল এইটা বোঝা যে আমার প্রতি তার অনুভূতিটা কেমন ৷ কিন্তু সে কাপে চুমুক দিল না ৷ আরেক কাপ চা তৈরী করে দিল ৷ আমি বুঝে গেলাম আমার প্রতি তার কতটা বিরূপ মনোভাব ৷ আগের দিনগুলোর মতই ঐ দিনটাও চলে গেল ৷ পরের দিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বান্ধবীর বুদ্ধিমতো পড়ার টেবিলে বসলাম ৷ আমি আর্ট করতে না পারলেও যতটুকু সম্ভব সুন্দর ও বড় করে আই লাভ ইউ লেখলাম ৷ তারপর কাগজটা একটা বইয়ের ভাঁজে রাখলাম ৷ সময়মতো ক্যাম্পাসে চলে আসলাম ৷ একটা ক্লাশ শেষ করে বাড়িওয়ালার স্ত্রীর নাম্বারে ফোন দিলাম ৷ ধরলো তার পিচ্চি মেয়ে ৷ তাকে বললাম ফোনটা নিয়ে তোমার আন্টির কাছে যাও ৷ পিচ্চি ফোন নিয়ে গেল ৷ বউকে বইয়ের নাম উল্লেখ করে বললাম ,ঐ বইয়ের ভিতর একটা গুরুত্বপূর্ণ কাগজ আছে৷ ঐখানে কি লেখা আছে সেটা আমাকে জানাও ৷ এমনভাবে বললাম যেন ও মনে করে কাগজটা আমার পড়ালেখে সম্পর্কিত এবং সেটা জানা এখন আমার খুব জরুরী ৷ আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম ৷ লেখাটি দেখে সে হয়তো অবাক হয়ে যাবে ৷ আমার প্রতি তার সকল অভিমান দূর হয়ে যাবে ৷ এইরকম অনেক কিছুই ভাবছিলাম ৷কাগজটি খুজে পেলে জিজ্ঞেস করলাম কি লেখা আছে?সে নির্লিপ্তভাবে উত্তর দিল,আই লাভ ইউ ৷ তার এরকম আচরণে আশাহত হলাম ৷ রাগ করে বাসায় চলে আসলাম ৷ বাসার পরিবেশ আগের মতই নীরব ৷ কিছুই ভালো লাগছে না ৷ রাতে ঘুমাতে গেলাম ৷ ঘুমানোর সময় ওকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলাম ৷ এই প্রথম ওকে জড়িয়ে ধরলাম ৷ কিন্তু ওর কোন রেসপন্স নেই ৷ চলে গেল আরও কয়েকদিন ৷ আমার আর এরকম সহ্য হচ্ছিলো না ৷ একদিন রাতে খাওয়ার পর ব্যালকনিতে গেলাম ৷ ও যেখানে বসে থাকতো ঠিক সেখানেই বসলাম ৷ একটু পর ওকে ডাক দিলাম ৷ আসলে আমার পাশেই বসতে বললাম ৷ কিছু না বলেই দাঁড়িয়ে থাকলো ৷ আবার বসতে বললাম ৷ এবার বসলো ৷ আধাঘন্টা লেকচার দিলাম আমার ভুল স্বীকার করে এবং ক্ষমাও চাইলাম ৷ ওর দিকে তাকিয়ে দেখি অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ৷ ভাবলাম,কাজ বোধহয় হইছে ৷ কিন্তু ওর মুখে কোনও কথা নেই ৷ নীরবভাবেই চলে গেল আরও কিছুক্ষণ ৷ কিছু বলছে না দেখে আমি উঠে রুমে চলে গেলাম ৷ সিদ্ধান্ত নিলাম কয়েকদিন রুম থেকে বাহিরে যাব না ৷ সবসময় ওর পাশে থাকব ৷ শুরু করলাম আমার কার্যক্রম ৷ ও বসে থাকলে আমিও পাশে গিয়ে বসি ৷ শুয়ে পরলে পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ি ৷ সবসময় কথা বলার চেষ্টা করি ৷ কিন্তু ও আগের মতই এক কথায় উত্তর দেয় ৷ এভাবেই চলে গেল কয়েকদিন ৷ একদিন রাতে খেয়াল করলাম আমার জ্বর জ্বর লাগছে ৷ শেষ রাতের দিকে ঘুম ভেঙে গেল ৷ তখন কল্পণার অতীত একটা দৃশ্য দেখলাম ৷ সে আমার পাশে বসে মাথায় জলপট্টি দিচ্ছে ৷ এই দৃশ্য দেখে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারলাম না ৷ মনের ভিতর এতোটাই ভালো লাগা শুরু হলো যেটা আপনাদের লিখে বোঝাতে পারব না ৷ আমি মাথাটা তুলে তার কোলের ওপর রাখলাম ৷ তার সেইদিকে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই ৷ একমনে জলপট্টি করে যাচ্ছে ৷ আমার আর ঘুম হলো না ৷ মনের মাঝে এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছিলো ৷ও মাঝে মাঝে শরীরে হাত দিয়ে বোঝার চেষ্টা করছিলো জ্বর কমেছে কি না ৷ একপর্যায়ে ভোর হয়ে গেল এবং জ্বরও কিছু কমে আসলো ৷ সে ভেবেছিল আমি ঘুমে আছি ৷ তাই আস্তে আস্তে আমার মাথা তার কোল থেকে নামিয়ে বালিশে রেখে বিছানা থেকে উঠতে যাচ্ছিলো ৷ আমি হাত ধরে ফেললাম ৷ শোয়া অবস্থা থেকে উঠে বসে পরলাম ৷ অনেকটা অসহায়ের মতো জিজ্ঞেস করলাম সে আমাকে ক্ষমা করেছে কিনা ৷ কিন্তু বরাবরের মতই কিছু না বলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ৷ কিছুক্ষণ পর অনেকটা ধমকের সুরেই বললাম,কিছু বলছো না কেন?এবার কেঁদে ফেললো ৷ এতোদিন শব্দ ছাড়া কাঁদলেও সেদিনের কান্নায় শব্দ ছিল ৷ আমি স্যরি বলে জড়িয়ে ধরলাম ৷ কিন্তু সে আমাকে ধরলো না ৷ কান্না থামলে ছেড়ে দিলাম ৷ ও রান্না ঘরে চলে গেল ৷ আমি ওর মন মানসিকতা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না ৷ সে কি একটুও বুঝতে পারছে না আমি আমার কৃতকর্মে অনুতপ্ত?শুধু অনুতপ্ত নয়, রীতিমতো ভালবেসে ফেলেছি তাকে ৷ এসব ভাবতে ভাবতে সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে রাতে দেড়িতে বাসায় ফিরব ৷ রিএকশন কি হয় সেটা দেখতে হবে ৷ বিকেলবেলা বের হলাম আর ফিরলাম রাত দুইটার দিকে ৷ একবার কলিং বাজাতেই দরজা খুলে দিল ৷ বুঝতে পারলাম ঘুমায়নি ৷ কিন্তু তার মাঝে কোনও ভাবান্তর নেই ৷ আগের মতই চেহারা গম্ভীর করে আছে ৷ খুব রাগ হলো ৷ অনেকটা চিল্লাচিল্লি করেই বললাম,আমিতো মানুষ ৷ আর ভুল মানুষেরই হয় ৷ আমি আমার কাজের জন্য যথেস্ট অনুতপ্ত ৷ এখনও কি আমাকে ক্ষমা করা যায় না? এরকম আরও অনেক কিছুই বললাম ৷ কিন্তু তার কোনও পরিবর্তন নেই ৷ চুপচাপ বসে আছে আর আমার দিকে তাকিয়ে আছে ৷মেজাজটা খুব খারাপ হলো ৷ মনে হলো পৃথিবীর সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে নিজেও ধ্বংস হয়ে যাই ৷ এবার ওর কাছে গিয়ে ওকে ধরে কিছুটা ঝাঁকি দিয়ে বললাম, কিছু একটা বলো ৷ নাহ,এতেও কিছু বলল না ৷ কম্পিউটারের মনিটিরটা মেঝেতে আছাড় মেরে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালাম ৷ দুই মিনিট পর পিছনে একজনের উপস্থিতি অনুভব করলাম ৷ বুঝতে পারলাম বউ এসে পিছনে দাঁড়িয়েছে ৷ দশ মিনিট চলে গেল ৷ আমি পিছনে এখনও তাকাইনি ৷ হঠাৎ করেই সে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো ৷ দেড় বছরে এই প্রথম বউ আমাকে জড়িয়ে ধরলো ৷ পিছন ফিরে আমিও ধরলাম ৷ একটু পর কান্না থামিয়ে বউ প্রথম বলা শুরু করলো ৷ তবে তখন সে যেটা বলেছিল সেটা শুনে মন থেকে সকল কষ্ট নাই হয়ে গেল ৷ হো হো করে হেঁসে উঠলাম ৷ এবার সে লজ্জা পেয়ে আমাকে ছেড়ে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়াল ৷ সেও মিষ্টি মিষ্টি করে হাসছে ৷ সে আসলে বুঝতে পেরেছিল তার কথাটি পাগলামীতে ভরা ৷ তবে সেই হাসির দিকে হাজার বছর তাকিয়ে থাকতে আমার কোনও আপত্তি নেই ৷ আর যে কথাটি বলেছিল সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি না ৷ ধীরে ধীরে সে নিজেকে পরিবর্তন করা শুরু করলো ৷ নিজেকে পরিপূর্ণ স্ত্রী হিসেবে তৈরী করে ৷ আমার অজান্তেই সে একটা কাজ করেছিল ৷ তখন আমি ফাইনাল ইয়ারে ৷ দুই মাস পর ফাইনাল পরীক্ষা ৷ একদিন রাতে বউ আবদার করলো ছাদে যাওয়ার জন্য ৷ ছাদে গেলাম ৷ গল্প করলাম,খুনসুটি করলাম ৷ রুমে ফিরে আসব তখন সে বলল একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে ৷ কি কথা জিজ্ঞেস করলাম ৷ সে যেটা জানালো সেটা শোনার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না ৷ আসলে সে প্রেগন্যান্ট ৷ আর সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত আমাকে সে জানায়নি ৷ তবে যতটা আশ্চর্য হয়ে ছিলাম তার বেশী আনন্দিত হয়েছিলাম ৷ বউকে মাথায় রাখব নাকি বুকে রাখব বুঝতে পারছিলাম না ৷ খুশিতে প্রায় আত্মহারা আমি ৷ দেখতে দেখতে আমার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ ৷ বউ তখন সাত মাসের প্রেগন্যান্ট ৷ মা বলল বউকে নিয়ে বাড়িতে আসতে ৷ চলে গেলাম বাড়ি ৷ ১ সপ্তাহ পর এক বড় ভাই ফোন দিয়ে একটা সুখবর দিলো ৷ সুখবরটা ছিল চাকরীর ৷ আগেপিছে চিন্তা না করে একটি আইটি ফার্মে জয়েন দিলাম ৷ একদিন বউ ফোন দিয়ে বাড়িতে যেতে বলল ৷ কারণ আর বেশীদিন দেরী নেই ৷ পরের দিন ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে এলাম ৷ মাকে বললাম কোন ক্লিনিকে ভর্তি করাব কিনা ৷ মা জানালো তার দরকার হবে না ৷ কারণ সে ধরনের কোনও লক্ষণ নেই ৷ আসলে মার এধরনের অভিজ্ঞতা আছে ৷ তিনি স্বাস্থ্য সহকারীর চাকরী করতেন ৷ একদিন বউয়ের প্রসব ব্যাথা উঠলো ৷ আমি খুব টেনশনে ছিলাম ৷ আমার শ্বশুর,শাশুরী,শালা ,শালী সবাই আসছে ৷ একটু পর সুখবর আসলো ৷ মেয়ে হইছে ৷ খুশিতে আমি বাকরুদ্ধ ৷ ঘরের ভিতর গিয়ে নিজের মেয়েকে দেখলাম ৷ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ অসম্ভব ৷ বউয়ের চেহারায় ব্যাথার ছাপ স্পষ্ট ৷ তবে তার হাসি বলে দিচ্ছিল সে কতোটা আনন্দিত ৷ ১মাস পর বউ বাচ্চা নিয়ে কর্মস্থল ঢাকায় চলে আসলাম ৷ অফিস থেকে বাসায় ফিরে যখন মেয়ের কাছে যেতাম, তখন তার ফোকলা দাঁতের হাসি দুনিয়ার সকল অনুভূতিকে হার মানাতো ৷ বর্তমানে আমার মেয়ের বয়স দুই বছর ৷ আর তার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি আমি ৷ আর আমার বউয়ের মানসিক সমস্যাটা এখনও আছে ৷ এখনও মাঝে মাঝে পাগলামী করে ৷ ভালবাসার পাগলামী ৷ আমি তার চিকিৎসা করাইনি ৷ কারণ তার পাগলামীটাই আমার কাছ সবচেয়ে ভাল লাগে ৷ দোয়া করবেন আমাদের জন্য ৷ মৃত্যু পর্যন্ত যেন আমার পরিবারে এই ভালবাসার বন্ধন অটুট থাকে ৷ ধন্যবাদ সবাইকে আমার লেখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য ৷ সবার জীবনের সুখ কামনা করে আমার গল্পের ইতি ঘোষনা করছি ৷
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪১
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×