আগামী ২৭ শে জুন বিএনপির ডাকা সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা হরতাল। বিএনপি চেযারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে ৫ম ঢাকা বিভাগীয় মহাসম্মেলনে এই হরতালের ডাক দেন ১৯ শে মে।
বিএনপি চেয়াপার্সনের এই হরতালের আহ্বান তিনি কোনো দিন করেননি তার ক্ষমতায় থাকা কালে। তখন হরতাল করার কথাও না। কারণ তাদের আমলে এদেশের মানুষকে ভালো না থাকলেও তারা বারবার বড়াই করে বলেছিল দেশের মানুষ ভালো আছে।
তাদের আমলে তাদের অর্থমন্ত্রী মতোদয় বলেছিলেন একদিনের হরতালের কারণে দেশের অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থের কথা। তার কথা এবার যদি বর্তমান সরকার ফিরিয়ে দেয় তবে তার জবার কি হবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের।
তিনি হরতালের দায় চাপালেন জনতার উপর। নির্বাচনের পরাজয়ের পর তিনি বারবার বলেছিলেন কতশতাংম ভোটার তাদের ভোট দিয়েছিল। সে হিসেব তিনি বারবার বলেছিলেন। কিন্তু এবার জনতার কাধে হরতালের দায় চাপালেও তিনি একবারও বলেননি কত শতাংশ লোক হরতালের পক্ষে। যতি হরতালের পক্ষে লোকসংখ্যা যদি বিপক্ষের চেয়ে বেশী হয তবে তিনি হরতাল আহ্বান করতে পারেন।
বারবার গণতন্ত্রের কথা বলেন কিন্তু তিনি হযতো জানেন না গনতন্ত্রের পন্থা। তিনি ভুলে গেছেন জনতাই গণতন্ত্রের মূল কথা। এই হরতাল আহ্বান করার আগে বিএনপির উচিৎ ছিলো সারাদেশে একটি পরিসংখ্যান করা আর সেই পরিসংখ্যান সরাসরি উপস্থাপন করে হরতাল আহ্বান করা। তবেই বোঝা যেতো দেশের মানুষ হরতাল চায়। তিনি তার দলের সিনিয়র দু চারজন নেতাকে নিয়ে বসলেন আর বলে দিলেন হরতাল তা হয় না। এটা কোনো গণতান্ত্রিক পন্থা না।
তার হরতালের সময় নিয়ে একটু প্রশ্ন আছে- তার হরতাল তিনি ডেকেছে রোববার। তার আগের দুই দিন অর্থাৎ শুক্র আর শনিবার সরকারি ছুটি। বৃহস্পতিবার বৌদ্ধ পূর্ণিমা। আর হরতাল মিলিয়ে দেশের উৎপাদন বন্ধ থাকবে মোট চারদিন। কেউ খোলা রাখতে চাইলেও, বন্ধ রাখবেন তার প্রতিষ্ঠান। শুধূ মাত্র তার প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য। আর বন্ধ থাকবে যান চলাচল। সব মিলিযে ক্ষত আর ক্ষতি দেশের সাধারণ ব্যবসায়ীদের।
গণতন্ত্রের কথা বলেন তিনি বারবার, অথচ তার হরতালের আহ্বান কোনো অবস্থাতেই গণতান্ত্রিক দাবি আদায়ের পন্থা হলো না। এই হরতাল আমার মতো তার দলের ভেতরের কাউকো খুশি করা ছাড়া আর কিছুই না।
এবারের হরতাল তিনি ডেকেছেন তাকে বলবো না জাতির কাছে ক্ষমা চান। অনুরোধ করবো পরে যদি হরতাল আহ্বান করেন তবে একবার যাচাই করবেন দেশের কতশতাংশ মানুষ হরতাল চায়। আর তার পরিসংখ্যান জাতির সামনে প্রকাশ করবেন। তবেই দেশের মানুষ আপনাকে বলবে না যে আপনি আপনার দলকে খুশি করার জন্য হরতাল ডেকেছেন।
আর একটাই অনুরোধ সরকারি আর বিরোধী সব দলের কাছেই...............হরতালের বিকল্প কিছু ভাবুন। তবেই দেশের মঙ্গল। বাচবে দেশ বাচবে দেশের মানুষ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




