কয়েকদিন আগের কথা। আমি আমার এক সাংবাদিক বড় ভাইকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলাম মিরপুরে। হঠাৎ আমাদের নজর পড়লো একটি সিএনজি অটোরিক্সার পেছণের লেখা দেখে। সেখানে লেখা ছিলো- "অবৈদ্য কানো বস্তু বহনের জন্য চালক দাই থাকবে না"। আমরা সেই চালককে থামিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম লেখা প্রসঙ্গে। তিনি আমাদের পাল্টা প্রশ্ন করলেন এটা কি কোনো অন্যায়? আমাদের বলার ভাষা হারিয়ে গেলো। আমরা তাদের কাছে ঠিকানা নিয়ে গেলাম সেই দোকানে যেখানে লেখা হয়েছিলা এই লেখাখানি। তারা আমাদের বললো- ভাই যাদেরকে লিখে তিলাম তাদের কোনো সমস্যা হলো না আপনার কেন এতো চুলকানি। আমরা আমাদের পরিচয় দিলাম। তখন লেখক একটু ভরকে গেলেন বললেন ভাই ভুল হয়ে গেছে। সামনে থেকে বানানের দিকে লক্ষ রাখবো। তার কাছে জানতে চাইলাম তার পড়ালেখা কতোদূর। সে জানালো ক্লাস ত্রি পর্যন্থ্। আমাদের একটু তাড়া ছিলো তাই কথা না বাড়িয়ে চলে এলাম।
দুঃখ হয় আমরা আমাদের ভাষা নিয়ে এতো গর্ব করি। আর সেই ভাষার এতো ভুল তাও মেনে নেই। বলার যেনো কেউ নেই। হয়তো বলার কেউ থাকলেও তারা নিশ্চুপ। কেন তারা নিশ্চুপ তাও আমাদের জানা নেই।
আমরা সেখান থেকে ফিরে একজন ভাষা সৈনিকের সাথে কথা বলি মোবাইলে। তিনি আমাদের কথা শুনে একটু বিরক্ত হলেন হয়তো। বললেন ভাষার দাবি ছিলো মানুষ তা পেয়েছে। এখন কি তা তো কেউ কেড়ে নিচ্ছে না। তবে আমরা সংগ্রাম করেছি এটাই গর্ব। আগামী প্রজন্মের উচিৎ আমাদের সেই সংগ্রামের মূল্য দেয়া। কিন্তু বাস্তব আমাদের মূল্য দেয়া হয় ফ্রেবুয়ারি মাসের ২১ তারিখেই। আমাদের ভাষা যেনো ঐ দিনেই আটকে আছে। শুথু ভাষার জন্যই আন্দোলন হয়েছিলো। এখন আন্দোলন প্রয়োজন ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগের।
আমার জানা, দেশের শ্রেষ্ট সন্তানদের একজন সেই ভাষা সৈনিকের এই কথা কাজে প্রয়োগ হবে কিনা। তিনি দেখে যেতে পারবেন কিনা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ। আমি তা বলতে পারবো না। আমা নেই জানা। তারপরেও একটাই অনুরোধ আসুন একটা ভূল শব্দ হলেও সঠিক করি- আমাদের জন্য না হলেও আমাদের সন্তান, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মে স্বার্থে। আর এটাই হোক আমাদের ভাষার আরেক সংগ্রাম.....
বি.দ্র> আমার কোনো ভূল হলে তাও না হয় ঠিক করে শুরু করুন এই সংগ্রাম.....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




