somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেষের আগে ....

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি পথ খুঁজি নাকো পথ মোরে খোঁজে
মন যা বোঝে না বুঝে, না বুঝে তা বোঝে।।
আমার চতুর পাশে সব কিছু যায় আসে
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা।
আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা
আর কত কাল আমি রব দিশাহারা.....
আগস্ট মাসটা ঠিক সমুদ্র ভ্রমণের জন্যে না, তবুও এত কাছটায় যখন চলে আসা হয়েছে, সমুদ্রটা না দেখে যাওয়া সমীচীন হতো না। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় রিসোর্টের বারান্দায় চা খেতে খেতে ভাবতে থাকে মনসুর । একটু দূরেই আগুন জ্বালিয়ে গান করছে সাথে আসা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো । সাথে আছে বন্ধু প্রীতম আর বন্ধুপত্নী পরমা । গিয়াস ছেলেটা ভালই বাজায় গীটারটা , সাথে গায়িকারও গলা ভালো। কিন্তু চর্চার যে যথেষ্ট অভাব আছে মাঝে মাঝে কেঁপে যাওয়া গলাটা তার প্রমাণ । এই মেয়েটা খুব সম্ভবত জীবনে কোন ব্যাপারই সিরিয়াসলি নেয় নি। অথবা সব ব্যাপারই সিরিয়াসলি নিতে গিয়ে একটা তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। তবে যাই হোক সবার মধ্যে পজিটিভ ভাইব ছড়িয়ে দেবার একটা আশ্চর্য ক্ষমতা আছে। অবশ্য এটা খালি প্রকৃতির কাছে আসলেই হয় কিনা জানি না। ক্যাম্পাসে দু একবার দেখা হয়েছিল টি এস সি এর আড্ডায় , খুব একটা কথা বলতে দেখে নি কখনো মনসুর। মাথায় বড় একটা ওড়না বাঁধে , ঢিলেঢালা জামা পরে , ছেলে বন্ধুদের থেকেও এক হাত দুরে দাঁড়িয়ে গল্প করা এই মেয়েকে দেখে একটা নরম শরম গোবেচারা মানুষ মনে হয়েছিল। কালকের আগে কখনো বুঝতেই পারে নি মনসুর এই মেয়ের কথায় এতটা ধার থাকতে পারে। পুরো পা থেকে মাথা পর্যন্ত এক বিভ্রান্তির নাম। কখনো আবৃত্তি করে গান করে সবাইকে মাতিয়ে বেড়াচ্ছে আবার যেকোন জায়গায় যাওয়ার আগে ধরে ধরে সবকটাকে দোয়া দরুদ পড়িয়ে নিচ্ছে, পুরো মানুষটা জুড়ে এক বিভ্রান্তির খেলা।

“There will be time, there will be time

To prepare a face to meet the faces that you meet;

There will be time to murder and create,
And time for all the works and days of hands
That lift and drop a question on your plate;
Time for you and time for me,

And time yet for a hundred indecisions',
And for a hundred visions and revisions,
Before the taking of a toast and tea.”
-ওই এই কবিতা তুই লিখসিশ ?
চেহারার মধ্যে ১০০ ওয়াট বাল্ব জ্বালিয়ে রথী জিজ্ঞেস করলো।
-নাহ! আপু, পি এস এলিয়টের কবিতা
- অও, তুই না বললেও বুঝছি যে এইটা তোর লেখা হতেই পারে না, তুই যা আগডুম বাগডুম লিখিস !!
- তুমি কোনদিন যদি আমার একটু সুনাম করতে, দুঃখ সারাজীবনের ।
- তুই ভাল লিখিস না, তাও ভাল বলতে হবে?
- নাহ! শুধু লেখা না , সবকিছু নিয়ে। আমার চেহারা নিয়ে , আমার কথাবার্তা নিয়ে ।
- তোর চেহারা খারাপ তো বলি নাই , বোকা বোকা তোর চেহারা এতা তো তোর দোষ না, আল্লাহ তা'য়ালা তোকে এভাবে দেখতে চেয়েছেন আর আসলে তুই যে গাধা টাইপ এক্সপ্রেশন দিয়ে ঘুরে বেড়াস এটাও মে বি তোর চেহারার কারণে । তার চেয়ে বড় ভুল তোর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মাত্রায় পজিটিভ স্বভাব।
- এটার মধ্যে ভুল কি আছে?
- অবশ্যই ভুল আছে, তুই যদি প্র্যত্যেকটা মানুষের মধ্যে ভালটা ধরে বসে থাক , তাহলে তো তুই এই সমাজটা বদলাতে পারবি না। দুনিয়ার কেউ বদলাবে না। ক্যারেক্টারিস্টিক ডেভেলপ হবে না কারও ।
- মানুষ বদলাবে আমার নেগেতিভিটিতে, তা আপনাকে কে বলল ?
- না হোক তাই বলে তুই ট্রাই করবি না??
- এইখানে কেউ কাউকে বুঝে না রে আপু, আপনি একজনের জন্যে বালতি ভরা অভিযোগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। থিক ঠিক সমপরিমাণ অভিযোগ নিয়ে হয়তো সেও আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে অন্যে কোন কেদারায়।
- হাহাহাহা হোয়েন ফিলোসফার স্ট্রাইক্স .।।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×