জাপানি আর চাইনজিদের দেখে অনেক ঈর্ষাণ্বিত হই প্রায়ই।হয়তো তাদের উচ্চ দালান,দেশের সামগ্রিক অবস্থা ঈর্ষাণ্বিত করার মতই।কিন্তু তাদের অণুকরণের অন্যতম কারণ তাদের মাতৃভাষাপ্রীতি।হয়তো প্রীতি বললে ভুল হবে এটা তাদের কর্তব্যবোধ। বাংলাদেশে বা বিভিন্ন দেশে জাপান বা চীনের কোন প্রতিনিধি কোন বৈঠকে বসলে দোভাষী দিয়ে কথা বলেন।আমরা অনেকে হাসাহাসি করলেও এটা মনে করলে ভুল হবে তারা শিক্ষিত নয় বরং বিভিন্ন বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী তাদের দখলে আছে।মুক্তবিশ্বে মনের ভাব শুধু ইংরেজিতে না করলে আর হবেনা এমনটা তারা মনে করেননি বলেই তারা নিজ ভাষায় সব জায়গায় কথা বলে।এতে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কিছু তো হ্রাস পায়নি বরং তৃতীয় বিশ্ব্রের স্বল্পউন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ বাজার তাদেরই দখলে।এবার ফিরে আসি আমাদের দেশে।জানি আমাদের অনেক কিছু নেই কিন্তু আমাদের ৭১ আর ৫২ আছে।৫২ র মত একটি ঘটনা বিশ্বে আর কোথাও আছে কিনা জানা নেই।কিন্তু এই সত্যটা মাননীয় তথ্য মন্ত্রী আর ইউল্যাবের শিক্ষার্থীরা কি ভুলে গিয়েছে কিনা জানিনা।বিভিন্ন ভাষাপ্রীতি বা ভাষাদক্ষতা অন্যায় নয় কিন্তু যেখানে আমরা আমাদের গৌরবোজ্জ্বল বাংলাকে উপস্থাপন করতে সেখানে হিন্দি কেন?প্রতিবেশি দেশের প্রতি বন্ধুত্ব মানে কি এই যে নিজের ভাষাকে অবহেলা?আমার প্রতিবেশি হিন্দিভাষী কাউকে তো বাংলা প্রীতি দেখাতে দেখেনি যেখানে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত। কতিপয় মেট্রোরেল আর ফ্লাইওভার দিয়ে শহরের সৌন্দর্য হয়তো বাড়ে কিন্তু জাপানি বা চাইনিজদের মাতৃভাষা দরদের মত ভাষা দরদ অর্জন করা যায়না।অষ্টম সুখী দেশ হওয়ার সংবাদের দিনে ইউল্যাবের কতিপয়।হিন্দিভক্ত তাদের হিন্দিপ্রীতি জানিয়ে তাতে দুঃখের কোন সীমায় আমরা পৌঁছুব তা হয়তো প্রকাশ করা যাবেনা।সালাম,বরকত,রফিক,জব্বার,শফিউর তোমাদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩