খুব একটা বড় দেশ নয়।সিংগাপুর সিটি ই বলতে যা বুঝায় তাই সিংগাপুর। বিভিন্ন জাতি আর সংস্কৃতির সম্মিলনে গড়া একটি দেশ।রয়েছে চাইনিজ,মালয়েশিয়ান,তামিল,পাকিস্তানি এসব জাতির নানাবিধ লোক আর সংস্ক্ৃতি বহন করে চলেছে সিংগাপুর।এত কিছু ছাপিয়ে এটাই বড় পরিচয় অর্থনৈতিক শক্তি বলতে এশিয়ার যত দেশ রয়েছে তাদের একটি সিংগাপুর।এই দেশটিতে মন্ত্রী,এমপি রা নিজ দায়িত্বে জবাবদিহিতা করে,জনগণের খোজ নেয়।রাজনৈতিক কোন সহিংসতা,সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সেখানে নেই।হিন্দুদের দিওয়ালী যেমন হচ্ছে তেমনি ঈদ হচ্ছে,হচ্ছে বড়দিন কিংবা বৌদ্ধ পূর্ণিমা। সেখানে একচেটিয়া তামিল রয়েছে যারা সিংগাপুরকে অর্থনৈতিক আর সামাজিক অগ্রসরতায় অনেকটাই এগিয়ে নিচ্ছে।আবার এই তামিল রাই কিন্তু ভারতে বিনিয়োগ করছে।সরকারী সম্মান ও পাচ্ছে।সিংগাপুরে বেকারত্ব নেই।যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরীর সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার।দূর্নীতির সুযোগ সেখানে নেই।
সিংগাপুরের নজড়কাড়া বিষয় হল এর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।অন্তত এখন পর্যন্ত মাউণ্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে এশিয়া,ইউরোপের অনেকেই চিকিৎসা নিতে আসে।এছাড়া ১৮ বছর বয়সের মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক।
সম্প্রতি সিংগাপুর চালু করেছে চালক বিহীন ট্রেন।শহরের দূর দূরান্তে যাওয়া নিয়ে নেই কোন ভাবনা।প্রযুক্তি সেখানে ব্যবহৃত হচ্ছে মানুষের সুবিধায়।
ফিরে আসি বাস্তবে।আমাদের বাংলাদেশে।আ
আমাদের ঝুকি কম বলতে যাতায়াত মাধ্যম বলতে বুঝি বাংলাদেশ রেলওয়ে।ঈদের সময় বুঝা যায় তাদের সেবার পরিধি।শিডিওল বিপর্যয়, চুরি,টিকেটের মূল্য বেশি রাখা,লাইনচ্যূত হওয়া এগুলো অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।মেট্রোরেলের চাপাবাজি দেখছি ফাটাকাষ্টের কাছে। কিন্তু কয়েকটি ফ্লাইওভার যা কিনা টোল আদায়ের বড় মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে সেটা দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে ফাটাকেষ্টর দল।
কাগজে কলমে মধ্যমসারির দেশ হয়তো হওয়া যায় কিন্তু উন্নত হওয়া যায়না।