আমাদের সমাজের সর্বত্র অসংখ্য মানবরূপী ‘কাউয়া’র উপদ্রব হয়েছে। যারা কখনোই আপনার ভাল কাজগুলোকে সহ্য করতে পারেনা। কা কা বা কাউ কাউ করে আপনার কান জ্বালা পালা করে দিবে। কখনো একা আবার কখনো সদলবলে আক্রমণ করে আপনার সাজানো সবকিছু নষ্ট করে দিবে। ব্লগে, ক্যাম্পাসে বা সমাজে যেখানেই এদের অস্তিত্ব সেখানেই অশুরের বাণী শোনা যায়। তাই এদের উৎপাত থেকে বাচতে আসুন জেনে নিই কাউয়াদের আসল স্বরূপ। (পর্ব-১ এ আলোচনা হয়েছে: ব্লগে কাউয়া চেনার সেরা দশ রেসিপি)
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কাউয়া’ চেনার উপায়:
১.যারা ছাত্রীদের ইজ্জত লুন্ঠন করে মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে সেঞ্চুরী উদযাপন করে।
২.যারা নেশায় উন্মত্ত হয়ে বাধনের (টিএসসিতে) কাপড় নিয়ে টানাটানি করে।
৩.যাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে ছেলে-মেয়েদের ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে মা-বাবারা সদা উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকেন।
৪.যাদের হিংস্র আক্রমণ থেকে নিজেদের ইজ্জত সম্মান রক্ষার ভয়ে ছাত্রীরা আতংকগ্রস্থ থাকে।
৫.যারা প্রায়ই নিজেদের মধ্যে কুকুর কামড়াকামড়ি করে আপনার প্রিয় ক্যাম্পসকে রক্ত সাগরে ভাসিয়ে দেয়।
৬.যাদের হিংস্রতা আর উস্মত্ততায় বলি হতে হয় নিরীহ মেধাবী ছাত্রদের।
৭.যারা প্রায়ই লাটিসোটা,রড, লোহার পাইপ,হকিস্টিক,কাটারাইফেল,এ কে ৪৭ ইত্যাদি নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়।
৮.যারা হল এবং রুম গুলোকে মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করেছে।
৯.যাদের আক্রমণ থেকে শিক্ষক এবং সাংবাদিকরা ও রেহাই পান না।
১০.যারা প্রায়ই আপনার লেপটপ,মোবাইল,মানিব্যাগ ইত্যাদি মূল্যবান দ্রব্যাদি নিজের মনে করে চুরি করে নিয়ে যায়।
১১.নিত্য নতুন কৌশলে চাদাবাজি,টেন্ডারবাজি আর ক্যান্টিন কিংবা দোকানে ‘ফাও’ খাওয়া যাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
১২.ভর্তির সময় যাদের চাদাবাজিতে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের নাজেহাল হতে হয়। মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হওয়া আজ প্রায় অসম্ভব।
১৩.ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে,পরীক্ষা ও নিয়মিত দেয়না ; তবুও তারা ফার্স্টক্লাস পায়।
১৪.দাড়ি,টুপি আর পান্জাবী যাদের চক্ষুশুল। ক্যাম্পাসে এ ধরনের কাউকে পেলে মধ্যযুগীয় বর্বরীয় কায়দায় তাকে নির্যাতন করা হয়।
১৫.কোন ব্যক্তি বিশেষের জয় গান দিয়ে অথবা ‘দুনিয়ার মজলুম এক হও' শ্লোগান দিয়ে যারা মিছিল শুরু করে।
সম্মানিত ব্লগার ! একটা চির সত্য কথা হচ্ছে যে, কোন খারাপ বিষয় থেকে যদি আপনি বাচতে চান, নিজের আত্মা ও মননকে পবিত্র রাখতে চান তাহলে সবার আগে তার পরিচয় আপনাকে ভাল করে জানতে হবে। না হলে সাময়িক ভাবে তাদের খপ্পর থেকে বাচতে পারলেও স্থায়ীভাবে সম্ভব নয়। তাই আসুন এই ‘ কাউয়া’দের নিদর্শন সম্পর্কে অবগত হই, এদের থেকে সাবধান থাকি, সমাজ জীবনকে পবিত্র ও কলুষমুক্ত রাখার চেষ্টা করি। অসমাপ্ত।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




