কাউয়াদের উৎপাত থেকে বাচতে আসুন জেনে নিই কাউয়াদের আসল স্বরূপ। (পর্ব-১ এ আলোচনা হয়েছে: ব্লগে কাউয়া চেনার সেরা দশ রেসিপি, পর্ব-২ এ আলোচনা হয়েছে ‘ক্যাম্পাসে কাউয়াদের চনার উপায়’ আর আজকে পড়ুন - সমাজে ‘কাউয়া’ চেনার উপায়
সমাজে ‘কাউয়া’ চেনার উপায়:
১.আপনার মহল্লায় যারা ডাইল( ফেন্সিডিল),হেরোইন সেবন ও ব্যবসা করে। প্র্য়াই টালমাটাল হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
২.ইভটিজিং যাদের মজ্জাগত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। স্কুল,কলেজ ও মাকের্টের প্রবেশগেট অথবা রাস্তায় মোড়ে মোড়ে একা বা গ্রুপভিত্তিক এই কার্য সম্পাদন কওে থাকে।
৩.যারা পুলশের সাথে আতাত করে নানা রকম অসামাজিক কার্যকলাপ যেমন চাদাবাজি,টেন্ডারবাজি,ধর্ষণ জমি দখল ইত্যাদি চালিয়ে যায়।
৪.রাতের আধারে অন্ধকার গলিতে আড্ডা দিতে বেশী স্বচ্ছন্দ বোধ করে।
৫.যাদের চুল,দাড়ি,গোফ ও জামার স্টাইল এমন অ™ভুত যে একবার দেখে আপনি বুঝতেই পারবেননা এরা পুরুষ না মহিলা।
৬.দেশী-বিদেশী কোন ব্যক্তির ছবি অথবা কোন প্রতীকের ছবি সংযুক্ত ‘টি শার্ট’ পরিধান করে চলাফেরা করে।
৭.কিছু প্রজাতির কাউয়া আছে যারা লোকের অভাবে মিছিল করতে লজ্জা পায়। মানব বন্ধন,গোলটেবিল বৈঠকে ও ব্যানার বা স্টেজ পূর্ণ করার লোক থাকেনা।
৮.যাদের বেশীর ভাগের পতাকার রং লাল। আর প্রতীক হিসেবে গলাকাটা অথবা মাথা ফাটানোর যন্ত্র (যেমন-কাস্তে.হাতুড়ি) ককহার করে।
৯.মুক্তিযোদ্ধের নকল সার্টিফিকেট বানিয়ে নিজের ও পরিবারের অনেকের চাকুরি ভাগিয়ে নেয় এবং মাঝে মাঝে সার্টিফিকেট বানিজ্য ও করে।
১০.নিজেরা মুক্তিযোদ্ধের ধারক বাহক বলে বেড়ায় আবার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পদ আত্মসাৎ করে।
১১.সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের সম্পদ ও ইজ্জত যারা দখল করে অন্যের গাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়।
১২.পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে সর্বদা ইসলাম,ইসলামী দল ও ব্যক্তি বিশেষের ব্যাপারে কুৎসা রটনা ও মিথ্যা প্রচারনা না করলে যাদেও পেটের ভাত হজম হয়না।
১৩.বন্ধুত্বের কথা বলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে দেহ-মন সব উজাড় করে দিতে জানে কিন্তু জনগনের সম্পদ ও স্বার্থ রক্ষায় তাদের থেকে কিছুই নিতে জানেনা।
১৪.সীমান্তে প্রতিদিন পাখির মত বাংলাদেশীদের হত্যা করা হয়, ফেলানীর লাশ ঝুলে থাকে সীমান্তের কাটাতারের বেড়ায় কিন্তু যারা প্রতিবাদ করার সাহসটুকু ও পায়না।
১৫.যারা সর্বদা একটি পরিবারের দূর্নীতির কথা বলে বেড়ায় অথচ প্রতিনিয়ত দূর্নীতিই তাদের নেশা ও পেশা। ইত্যাদি।
সম্মানিত ব্লগার ! একটা চির সত্য কথা হচ্ছে যে, কোন খারাপ বিষয় থেকে যদি আপনি বাচতে চান, নিজের আত্মা ও মননকে পবিত্র রাখতে চান তাহলে সবার আগে তার পরিচয় আপনাকে ভাল করে জানতে হবে। না হলে সাময়িক ভাবে তাদের খপ্পর থেকে বাচতে পারলেও স্থায়ীভাবে সম্ভব নয়। তাই আসুন এই ‘ কাউয়া’দের নিদর্শন সম্পর্কে অবগত হই, এদের থেকে সাবধান থাকি, সমাজ জীবনকে পবিত্র ও কলুষমুক্ত রাখার চেষ্টা করি। অসমাপ্ত

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




