একটি জাতীয় দৈনিকে (বুধবার) প্রকাশিত খবরের শিরোনাম @চিকিৎসা কেন্দ্রে বিয়ে@
পড়ে বেশ মজা পাইলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রেলওয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রটি রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসা সেবা না দিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে পরিণত হয়েছে। দোষের কিছুই নেই> সেখানে নিয়োজিত ডাক্তার সাহেব সপ্তাহে মাত্র একদিন আসেন ঢাকা থেকে। বাকি ছয়দিন চিকিৎসার দায়িত্বে থাকে কম্পাউন্ডার সাহেব। বিশাল বড় এ হাসপাতাল জনগনের কোন কাজে না আসায় মরিচা পড়ে যাওয়ার পথে। তাই শ্রমীক লীগ নেতা কমিউনিটি সেন্টার বানালেন। মেয়ের বিয়ের কাজটা সেরে নিলেন। খবরটি সংগ্রহের জন্য একজন সাংবাদিক সেখানে গেলেন বেচারা কম্পাউন্ডার বোধহয় তেমন বুঝে উঠতে পারলেন না। বললেন হাসপাতালে রোগী আসেনা, একা একা বসে থাকি, বিয়ের কাজটা এখানে হলে অনেকে আসবে, খাওয়া হবে গল্প করা হবে বেশ মজা করতে পারব এই আর কি। খবর প্রকাশের পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দিলেন এবং এ ধরনের কাজ আর হবে না বলেও জানালেন।
যারা ভাবছে হাসপাতালে রোগী আসেনা তারা ভাল ভাবেই জানে সপ্তাহে মাত্র একদিন ডাক্তার আসে। বাকি ছয়দিন অপেক্ষায় থেকে রোগীর কি অবস্থা হবে তা সবাই জানে। যেখানে ডাক্তার আসে না সেখানে রোগী কেন আসবে।
ঢাকা শহর থেকে টাকা কামানোর ধান্ধায় থাকা ডাক্তারটাকে যদি একদিনের জন্য মর্গে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা যেত তবে বোধ করি তার সু-বুদ্ধির আবির্ভাব ঘটবে।
তাহলেই রেলওয়ের অসহায় কর্মচারীরা কিছুটা হলেও চিকিৎসা সেবা পেত।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





