১৬ অগাস্ট, ১৯৭৫।
দেশজুড়ে শোকের মাতম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে আগের দিন। বিদ্রোহী সেনারা এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছে।
যত সায়েন্স এক্সপিডিশন আছে দেশে, সব বন্ধ ঘোষণা করা হলো। এরই ভেতরে একজন বিজ্ঞানী, ড. কমল গোপনে এক ল্যাবের ভেতরে তার দৈনন্দিন কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। চুপচাপ কাজ করছেন কসমিক এনার্জির উপর। সৃ্ষ্টির শুরুতেই অনেক বড় বিস্ফোরণে কসমিক শক্তির উদ্ভব হয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেছিলেন এই শক্তির কিছুটা যদি পৃথিবীতে নিয়ে আসা যেতো তাহলে ভালো হতো।
-রেডি?
-জ্বি স্যার।
একটা আট ফিট লম্বা ম্যাগনিফায়ার। যার চৌম্বকীয় আকর্ষণে কসমিক এনার্জি শোষিত হবে। আর এ ট্রান্সফরমড এনার্জি দিয়ে চলবে গোটা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ।
কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহল বসে থাকেনি। হুট করে তাকে কাউন্টার দেয়ার ঘোষণা এলো। এক ট্রুপ সৈন্য এসে ল্যাবের বাড়িটাকে ঘিরে দাঁড়ালো।
-অল ক্লিয়ার উই আর ইন।
চিইইইই করে একটা অত্যুজ্জ্বল আলো জ্বলে উঠেছে ম্যাগনিফায়ারের মুখে। বিজ্ঞানী কমলের চোখে মুখে বিজয়ের দীপ্তি। হেসেই চলেছেন। সাথে তার সহযোগী স্ত্রী রোশনি। এমন সময় ধ্রাম করে ল্যাবের প্রধান দরজা ভেঙ্গে পড়লো।
-রোশনি নলের অন্য মুখটা দরজার দিকে ঘুরিয়ে দাও। হ্যা...হ্যা। না না। আমার দিকে না! রোশানি।
মাথা ঘুরে পড়ে গেলো রোশনি। বেগণি রংয়ের রশ্মি ঢুকে গেছে নলের প্রান্ত থেক্ব বিজ্ঞানী কমলের শরীরে। বুম করে ব্লাস্ট হলো ম্যাগনিফায়ারটা।
-মেজর উই হ্যাভ ওয়াচড সিরিয়াস ব্লাস্ট ইন আওয়ার পেরিমিটার।
-গো এহেড।
ঝিইইইইত!
-ফায়ার!
গুলি করতে গিয়ে এক সৈনিক চিৎকার করে উঠলো। কি যেন তার জীবনীশক্তি টেনে নিচ্ছে।
-টার্ন অন দ্যা সার্চ লাইট।
ঝিইইত!
অত্যুজ্জ্বল বেগণি রশ্মি জ্বলে উঠেছে এক মানবের গায়ে।
-তোমাদের ধারণারও বাইরে আমি কে। আমি কি করতে পারি এখন তোমরা বুঝতেও পারবেনা। দশবার সরকার বদলালেও কারো কিছু করার নাই। আমি এখন আমি। তোমাদের জীবন শুষে নেবো।
-কে...কে তুমি?
-আমি কমল... সৌরকমল।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮