২০১৫। নভেম্বরের ২১ তারিখ।
রাত আটটা। শাপলা চত্বরের পেরিমিটার থেকে গুলশান, বনানী, বসুন্ধরা সহ আবাসিক ও রাজপথ যৌথবাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে দেয়া হয়েছে। দেশজুড়ে নাশকতার আশংকায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গুলশানের কূটনীতিক পাড়ায় হুট করে একটা অদ্ভুত কান্ড ঘটে বসলো। একজন বিশালদেহের মানুষ উড়ে এসে ভারতীয় হাইকমিশনের ভেতর ঢুকে পড়লো। সিকিউরিটি লেভেল থেকে গুলিবর্ষণ হলো।
ঠাং! ঠাং! ঠাং!
কিছুই হলো না। ত্রিশ সেকেন্ড অদ্ভুতভাবে দাঁড়িয়ে রইলো। এরপর একটা অবিস্বাস্য ঘটনা ঘটতে শুরু করলো। মুখ দিয়ে টেনে নেওয়ার মতো একটা অদ্ভুত ভঙ্গিমায় তাকালো গার্ডদের দিকে।
উউউউ!
সিকিউরিটি লেভেলের সবাই বুঝতে পারলো এই বিপজ্জনক লোকটি তাদের জীবনীশক্তি টেনে নিচ্ছে। অবশ্য এই ঘটনা যখন ঘটছে ততোক্ষণে মিলিটারি পুলিশ চলে এসেছে। কমান্ডার এহসান দীর্ঘদিন ধরে অভিজ্ঞ মেটা ইনহিউম্যান হান্টে। হাতের রেমিংটন তাক করে ভেতরে ঢুকলেন বিল্ডিংটার ভেতরে। পেছনে তার অনুসারীরা। সাক্ষাৎ জান্তব যেনো একটা। ঢুকে গেছে রিলেশনশীপ ডেস্কের ভেতর। হাত দিয়ে একটা ঘুরানোর মতো অঙ্গভঙ্গি করলো। হাত ঘুরানোর সাথে সাথে একটা সবুজ আলো চারপাশ আলোকিত করে গেলো। ভেতরে যা কিছু ছিলো সব মুহুর্তে উল্টে গেলো। লাশের পর লাশ। রক্তের সাগর।
-হ্যান্ডস আপ! এক অফিসার সাহস করে হাতের রাইফেল তাক করে ধরলো তার দিকে জানে যে এর কাছে কিছুই না সে। কমান্ডার এহসানও তাক করে রেখেছেন।
-হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে অনুরোধ করছি! কে তুমি?
-আমি... বাকা হাসি দিয়ে বললো লোকটি, "আমি শোষক"
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫