আমরা কেবলি বাঁচবার আশায় আবিরল পাখাঅলা সিঁড়ি কল্পনা করি। আমরা ভুলে যাই অন্ধের মুদ্রায় জমে থাকা সূর্যের অনুনয়। অথচ এক মাত্র অন্ধরাই ঠাহর করেত পারে পাতার কাঁপেন জমে থাকা অভিপ্রায়ের আলো। আমাদের প্রবৃত্তির পাশ ঘেঁষে তারা প্রতিদিন গান গায়- আর আত্মাকে আগুনের জিজ্ঞাসায় তুলে দিয়ে মনোযোগী হয় বহু ব্যবহৃত রাস্তার প্রতি।
আমরা যে সব মুদ্রা দিয়ে আমাদের আয়ু সাজাই তা কোন অন্ধ ভিখিরির প্রথম সষ্ণয়। যার গানের সূর্যে খুলে যায় দৃশ্যের স্বভাব আর পরস্পর স্বেদ। অথচ অকৎস্মাৎ আমাদের ভিতর ঢুকে যায় অজস্র কবরের সর্পিল স্বর আর আলোর ব্যবধানে মরে যায় লাল ঘোড়ার কুশল্। এ সমস্তই মুদ্রার সঙ্গে আগুনের আছড়ে পড়ার শব্দ। যা অন্ধের অনুজ্জ্বল পোষাক হতে উৎসারিত।
অন্ধের মুখের ছাঁচে ডুকরে উঠে যে স্বচ্ছল ডানার আলো তার বিশ্বাসে যে স্মৃতি সুপ্রসন্ন হয় তা কোন অন্ধেরই পেলে যাওয়া হাসি। আমরা ভুলে যাই দেয়ালের ছায়ায় বিঁধে থাকা সিঁড়ির আত্মহত্যা। তবু মৃত্যুর মিহি উদ্ভাসনে জানালার কথাই বলতে হয়। কেননা সমস্ত দৃশ্যই জানালার কাছে এসে কুন্তল খুলে দেয়। সূযাস্তের অর্থ দ্বিধা তবু অন্ধের সম্মোহনে যতটুকু জলের বোধ থাকে তাই মূলত পৃথিবীর বয়স।পৃথিবী প্রসবরে গান- ০২ (কবিতা)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




