somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৎ মা

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



জুবায়ের আহমেদ

জলিল মিয়া স্ত্রীকে হারিয়েছেন ১ বছর হলো। দুই ছেলে নিজ নিজ পরিবার নিয়ে আলাদা বসবাস করছে। দুই মেয়েও স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে আছে। ৫৫ উর্ধ্ব জলিল মিয়া নাতি নাতনিদের নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাইলেও খুব নিকটে কেউ না থাকায় একাকিত্বের শুণ্যতা তাকে ঘিরে ধরেছে। ছেলেরা কাজে ব্যস্ত, বউয়েরা খাবারের সময় ডাকে। বাকি সময়টা নিজের খেয়াল খুশি মতো কাটাতে হয়।
মনের সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে আবারো বিয়ে করার কথা ছেলের কাছে বলে জলিল। বড় ছেলে করিম আপত্তি জানালেও ছোট ছেলে নাসির রাজী হয়। অনিচ্ছা স্বত্বেও করিম বাবার দ্বিতীয় বিয়েতে রাজী হয়। পাশের গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা ৪০ উর্ধ্ব হালিমা বেগমকে বিয়ে করে ঘরে আনে জলিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই হালিমা বেগম এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

সৎ মা সন্তান জন্ম দেয়ায় খুশি হয় না করিম। নাসিরও ভাবতে থাকে, তাদের ঘাড়ে নতুন এক ঝামেলা এসে বুঝি পড়লো। করিমের বউ রেহেনা বলে, ভালো হয়েছে ছেলে হয় নাই, ছেলে হলে সম্পত্তির ভাগ দিতে হতো। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিলে স্বামীর ঘরে চলে যাবে। নাসিরের বউও ঝা'র সাথে সুর মেলায়।

জলিল মিয়া মেয়ের নাম রাখে ফাতেমা। নাতি নাতনির পাশাপাশি শিশু সন্তানও এখন তার অবসরের সঙ্গী।

ফাতেমাকে নিয়ে ছেলে, বউদের আলাপ আলোচনা শুনে জলিল মিয়া। তিনি বুঝেন, এ নিয়ে সন্তানদের কিছুই বলার নেই তাঁর।
আমাদের সমাজে বাবারা দ্বিতীয় বিয়ে করলে সন্তানেরা মেনে নেয় না। ধর্মে বাঁধা না থাকলেও এই বিষয়ে ধর্মের ধার ধারে না সন্তানেরা। সম্পদের অংশ কমে যাওয়ার চিন্তায় বিভোর হয়ে যায় সকলে।

হালিমা বেগম প্রথম পক্ষের সন্তান, বউ ও নাতিদের সাথে ভালো ভাবেই তাল মিলিয়ে চলেন। তাদের মন জুগিয়ে চলার চেষ্টা করেন। সন্তানেরাও আপন জনের মতোই আচরণ করেন হালিমা বেগমের সাথে।

দেখতে দেখতে ফাতেমার ৭ বছরে পা দিয়েছে। প্রথম স্ত্রী হারানোর শোক কাটিয়ে হালিমা বেগমকে নিয়ে ভালোই সময় কাটায় জলিল মিয়া।

একদিন দুই মেয়েকে বাড়ীতে আসতে বলেন জলিল মিয়া। ছেলেদেরও থাকতে বলেন। দুই মেয়ে আসার পর রাতে খাবার শেষে সবাইকে নিয়ে বৈঠকে বসেন জলিল মিয়া।

প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে আবেগঘন কথাবার্তা শেষে মূল কথায় আসেন জলিল মিয়া। স্পষ্টই বলতে শুরু করেন, আমার মরণের পর তোমরাই আমার সম্পত্তির ওয়ারিশ হইবা। তবে তোমরার মইধ্যে যেনো সম্পত্তির ভাগ নিয়া কোন ঝামেলা না অয়, তাই আমি আমার সব সম্পত্তি ভাগ কইরা রেজিষ্ট্রি দলিল কইরা দিয়া যামু। আমি আশা করি তোমরার এতে আপত্তি থাকবো না।

বাবার মুখে এমন কথা শোনার পর চিন্তায় পড়ে যায় করিম, নাসির ও তাদের বউয়েরা। অপরদিকে দুই মেয়ে খুশি হয়। এসবে তেমন আগ্রহ নেই হালিমা বেগমের। শিশু ফাতেমা তার সৎ ভাই বোনের বাচ্চাদের সাথেই খেলাধূলায় মেতে আছে।

জলিল মিয়া বলতে থাকেন, তোমরার মা নাই, থাহলে তাঁরে যেমনি আমি ধর্মমতে সম্পত্তি দিতাম, তেমনি ফাতেমার মারেও আমি সেইভাবে দিবার চাই। আর মেয়ে হিসাবে ফাতেমা তার বড় দুই বোনের মতোই পাইব। তোমরা দুই ভাইও তোমাদের প্রাপ্য ঠিকভাবেই পাইবা।

ফাতেমা ও হালিমা বেগমকে সম্পত্তি দেয়ার কথা শোনে মাথায় আগুণ ধরে যায় করিম ও নাসিরের। দুই বউও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শ্বশুরের উপর। কিন্তু কেউই মুখ খোলে কিছু বলার সাহস পায় না।

যেই কথা সেই কাজ। দুই পুত্র, তিন কন্যা ও স্ত্রীর সম্পত্তি চৌহদ্দি সহ বন্টন করে রেজিষ্ট্রি দলিল করে ফেলে জলিল মিয়া এবং জানিয়ে দেয়, তাঁর মৃত্যুর পর থেকে সম্পত্তির দখল পাবে সকলে। শিশু কন্যা ফাতেমার সম্পত্তির দায়িত্ব দেয় হালিমা বেগমের কাছে।
বাবার বন্টনে দুই মেয়ে কোন আপত্তি না করলেও করিম ও নাসির বউদের সাথে মিলে বাবা কিভাবে এমন কাজ করলো, এ নিয়ে সমালোচনায় মেতে উঠে। তাদের আলোচনা পাড়ার মানুষ শুনে, জলিল মিয়া ও হালিমা বেগমের কানেও পৌছায় পুত্রদের আলোচনা সমালোচনার কথা।

হালিমা বেগম জলিল মিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে, আপনে ফাতেমারে জায়গা দিলেও আমারে দিলেন ক্যান, আমি জায়গা দিয়া কি করমু।
তুমি জায়গা দিয়া যাই করো না করো, এইডা তোমার অধিকার হালিমা। আমি তোমারে বঞ্চিত করতে পারি না কিছুতেই।

মানব জীবনে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। নির্দিষ্ট হায়াত ফুরালে সকলেরই ফিরতে হবে রবের নিকটে। স্রষ্ঠার ডাকে সাড়া দিয়ে ইহ জগত থেকে বিদায় নেয় জলিল মিয়া। মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করে ঘরে ফেরার পর শরীরে হঠাৎ ক্লান্তি ভর করলে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

জলিল মিয়ার বাড়ীতে কান্না শব্দে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে, দুই মেয়ে সহ সকল নিকটাত্মীয় আসার পর বিকেলে দাফন করা হয় জলিল মিয়াকে।

৩ দিনের আয়োজন শেষেই কানাঘুষা শুরু হয় হালিমা বেগমকে নিয়ে। দুষ্ট পাড়াপ্রতিবেশিরা বলতে থাকে, বুড়া জামাই মইরা গেছে, এখন জায়গা জমি বেইচা মাইয়ারে নিয়া একদিন উড়াল দিব হালিমা।

জলিল নিয়া ছোট মেয়ে ফাতেমার জন্ম ব্যাংকে ২ লাখ টাকা রেখে গেছে। করিম, আনিস ও তাদের বউয়েরাও মানুষের কানকথা ও ফাতেমার জন্য রেখে যাওয়া টাকার কথা শুনে সৎ মা বোনের সাথে মন্দ আচরণ শুরু করে দেয়।

মানুষের কথা হালিমা বেগমের কানেও যায়। তিনি কি করবেন, কি করা উচিত বুঝতে পারছেন না।

করিম হালিমা বেগমকে জানিয়ে দেয়, আব্বা আপনাকে ও ফাতেমাকে জায়গা দিয়ে গেছে, আপনি ফাতেমাকে নিয়ে আলাদা রান্না করে খাবেন। সম্পত্তি যেহেতু পেয়েছেন, সম্পত্তির আয় দিয়েই চলতে পারবেন। তাছাড়া ২ লাখ টাকাও আছে আপনাদের। চলতে অসুবিধা হবে না।

জলিল মিয়া থাকতে প্রথম পক্ষের সন্তানদের সাথে জায়গা সম্পত্তি, টাকা পয়সা কিংবা খাওয়া দাওয়া নিয়ে কথা বলতে হয়নি কিন্তু আজ জলিল মিয়া নেই। তাই বাধ্য হয়ে করিম মিয়ার কথার উত্তর দেয় হালিমা বেগম।

তোমার বাবা যে সম্পত্তি দিয়া গেছে, তার থাইকা তো কোন আয় নাই বাবা, ব্যাংকের ২ লাখ টাকা ভাইঙ্গা খাইলেও বেশিদিন যাইবো না। আমি না হয় পরের মাইয়া, ফাতেমা তো তোমরার বোন। আমাদের আলাদা কইরা দিলে আমরা অনেক কষ্টে পইড়া যাবো বাবা।
আপনারা যা বুঝেন করেন, আমাদের কি করার আছে।

করিম, নাসির ও বউদের মুখে এখন একই আলাপ, হালিমা বেগম জায়গা বিক্রি করে চলে যাবে, না হয় মেয়ের নামে সব লিখে দেবে। আমাদের কাছে বিক্রি করতে চাইলেও আমরা কেন বাবার সম্পত্তি কিনে রাখবো। করিমের বউ বলেই ফেলে, আব্বা ঝামেলা দিয়া গেল। ওনি এমন না করলেও পারতো। নাসিরেরও বউও তাল মেলায়। চুপচাপ শুনে দুই ভাই।

ছেলে, বউদের আলাপ শুনে হালিমা বেগম। ফাতেমাকে জড়িয়ে কান্না করেন তিনি। মনে মনে হালিমা বেগম ভাবেন, এই সমস্যার একটা বিহীত করা দরকার।

এরই মাঝে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে, বাবার বাড়ীর কোন লোকের কাছে জায়গা বিক্রি করে ফাতেমাকে নিয়ে বাবার বাড়ী চলে যাবেন হালিমা বেগম। মুহুর্তেই এই কথা করিম, নাসিরের কানে আসে। দুই ভাই উত্তেজিত হয়ে হালিমা বেগমের ঘরে যায়। জায়গা বিক্রির বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন করিম। হালিমা বেগম হাসেন,

তোমরা কই থাইকা শোনলা, আমি জায়গা বেচাম, আমিই তো জানি না এই কথা। তোমরা জানলা কেমনে।

আপনি, আমাদের কাছে কিছু লুকাবেন না, আমাদের গোপনে রেখে আপনি জায়গা বেঁচে চলে যাওয়ার চিন্তা করছেন, আমরা তা কিছুতেই হতে দেব না।

এই প্রথম ছেলেদেরকে ধমক দেয় হালিমা বেগম। থাম তোমরা, তোমাদের বোনদের আসতে কও। আমি আগামীকাইল তাদের সাথে নিয়া জায়গা জমির ফয়সালা করাম। আমরার জমি আমরা যা ইচ্ছা কইরাম, সেটা আগামীকাইলই দেখবা।

করিম দুই বোনকে খবর দেয়, তারা বাড়ীতে আসে। হালিমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলতে শুরু করেন,
আমি তোমরার সৎ মা হইলেও এতো বছরে কহনোই তোমরার সাথে বিমাতাসূলভ কোন আচরণ করি নাই। তোমরার বাবা যেভাবে সম্পত্তি দিয়া গেছে, সেইটা ওনার ইচ্ছা এবং ধর্মের বিধান পালন কইরা গেছেন তিনি। কিন্তু তোমরার আচার আচরণ হিংস্র হইয়া যাইতাছে দিন দিন। তোমরা ভুইলা যাইতাছ তোমরার বাবা জীবনের শেষ দিনগুলাতে আমার কাছেই ভালা আছিল, শান্তিতে আছিল। আর ফাতেমা তো তোমরারই রক্ত। তাঁর প্রতি কহনো বইনের দায়িত্ব পালন না কইরা সম্পত্তির নেশায় তোমরা পাগল হইয়া গেছো। আমি কি ভাবতাছি, আমি কি কইরাম, তা কহনোই তোমরা জানতে চাও নাই।

চুপ করে শোনে করিম ও নাসির। বউয়েরাও চুপ করে থাকে।

হালিমা বেগম আবারো বলতে থাকে, তোমরা মানুষের কথায় এবং নিজেরা আশংকা কইরা যা ইচ্ছা তাই করছো এতোদিন কিন্তু আমি এডার একটা শেষ চাই আইজকা। তোমরার বাবা আমার নামে যে সম্পদ দিয়া গেছে আমি তা তোমরা দুই ভাইরে দিয়া দিতে চাই। ফাতেমার নামের সম্পত্তিও তোমরা পাইবা, তবে ফাতেমা উপযুক্ত হইলে বিয়া দেয়ার পরই ফাতেমাকে আমি বুঝাইয়া রেজিস্ট্রি কইরা দিমু।

হালিমা বেগমের কথায় অবাক হয় করিম ও আনিস। বউয়েরা প্রচন্ড খুশি হয়। করিম ভাবতে থাকে, সম্পদের নেশায় পড়ে আমরা কত কি ভাবছি, আর তিনি মায়ের মতোই কাজ করলেন আজ।

করিম হাত জোড় করে ক্ষমা চায় হালিমা বেগমের কাছে। আনিসও ক্ষমা চায়।

করিম বলতে থাকে, আমাদের জমির প্রয়োজন নেই। ফাতেমার সম্পত্তিও তারই থাকবে। আমরা সম্পদের নেশায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আপনার প্রতি কত অবিচার করেছি, তাও আপনি আজকে আমাদের প্রতি অভিযোগ অনুযোগ না রেখে সম্পত্তি দিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন।

করিমের দুই বোন, আসমা ও তাহমিনা এবার বলতে শুরু করে, আমরা দুই বোন আমাদের জায়গা নিতে চাই না। তোমরা রেজিষ্ট্রির ব্যবস্থা কর। হালিমা বেগমও একমত হয়।

পরদিন হালিমা বেগম, আসমা ও তাহমিনার সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করে দেয় করিম ও নাসিরকে। রেজিষ্ট্রি শেষে বাড়ীতে এসে ফাতেমাকে নিয়ে একেবারে বাপের বাড়ীতে চলে যাওয়ার কথা বলে হালিমা বেগম।

করিম, নাসির ও বউয়েরা হালিমা বেগমের পায়ে লুটিয়ে পড়ে। আমাদের ক্ষমা করে দিন আপনি। আমরা মা, বোন হারাতে চাই না।
করিম, নাসিরের কান্না দেখে হালিমা বেগমও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। আমি আর বাঁইচাম কয়দিন, ফাতেমারে তোমরা দেইখা রাইখ। তাহমিনা, আসমার মতোই ফাতেমারে স্নেহ মায়া মমতায় রাইখো সারা জীবন। তোমরার কাছে আমার এইটুকুই চাওয়া।

আপনি আমাদের মা হয়ে থাকবেন। ফাতেমাও আমাদের বোন, তার সব দায়িত্ব আমাদের। আমরা সম্পত্তির নেশায় মত্ত হয়ে এতোদিন যে ভুল করে এসেছি, আমরা আপনাদের অনেক ভালো রেখে তার প্রায়শ্চিত করতে চাই।

সমাপ্ত
ছবি সংগৃহীত (অনন্যা পোদ্দার)

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×