এবারের পোস্টটাও একজন চিত্র শিল্পী সংক্রান্ত। ইমপ্রেশনিস্ট ধারার শিল্পীদের নিয়ে একধরনের ইমোশন কাজ করে সবার মধ্যে (অন্তত আমার যে করে তা বলতে পারি)। এদের মধ্যে ক্লদ মনেট, মানে, দেগা, এবং কামিল পিসারো উল্লেখ যোগ্য। এই পোস্টে কামিল পিসারো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বলার চেষ্টা করবো।
![]()
পিসারো হচ্ছেন প্রথম দিককার ইমপ্রেশনিস্ট শিল্পী। ইমপ্রেশনিসম এর শুরু েথকে পোস্ট ইমপ্রেশনের শুরুর ধাপে-ও পিসারো কাজ করেছেন। তিনি একাধারে প্যারিস এবং লন্ডনে ঘুরে ঘুরে ছবি এঁকেছে। তিনি ১০ জুলাই ১৮৩০ সালে ভার্জিন দ্বিপ পূঞ্জে জন্ম গ্রহন করেন।
১২ বৎসর বয়স পর্যন্ত পিসারো তার বাবা মার সাথে সেইন্ট থমাস-এ বসবাস করেন। এরপরে তাকে প্যারিসে েবার্ডিং স্কুলে পাঠানো হয় (আমি হইলে জীবনেও যাইতাম না)।
১৮৪৯ সালে ফ্রিৎস ম্যালবেই নামক একজন ডাচ চিত্র শিল্পীর সাথে তার পরিচয় হয়। ম্যালবেই-ই প্রথম পিসারোকে পেশাদার চিত্রশিলাপী হবার জন্য উৎসাহ দেন। ম্যালবেই ছিলেন একাধারে পিসারোর ঘনিষ্ট বন্ধু এবং শিক্ষক। ১৮৫২ থেকে ১৮৫৫ পর্যন্ত দুইজন একসাথে ভেনিজুয়েলাতে অবস্থান করেন। ১৮৫৫ সালে পিসারো সেইন্ট থমাস ফিরে আসেন এবং এই বছর-ই তিনি প্যারিস গমণ করেন।
প্যারিসে তিনি ভিন্ন ভিন্ন আকাদেমীতে সফলতার সাথে প্রশিক্ষন নেন। সে সময়- "য্যিন ব্যাপটিস্ট ক্যামিল করট", "গুস্তাব ক্যুরবে", "প্রাঞ্চস দ্যুবিগনি" - দের মতন শিল্পীদের কাছে তিনি শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ করেন।
স্যালন্স চিত্র প্রদশনীর মাধ্যমে ১৮৬৪-১৮৬৫ সাল নাগাদ পিসারো নিজেকে ক্যামিল করট এর শিষ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন।
পারিবারিক জীবনে পিসারো তার মাতুতালয়ের গৃহ কর্মী জুলিয়া ভ্যালী কে বিয়ে করেন, এবং তার ঔরসে জুলিয়ার গর্ভে ৮জন সন্তান জন্মগ্রহনকরে (মাশ্শাল্লাহ)
১৮৭০-১৮৭১-এর ফ্রেঙ্কো-প্রুশিয়ান যুদ্ধের দরুন তার প্রাথমিক জীবনের অনেক চিত্রকর্ম ধ্বংস হয়ে যায় (
এসময় উত্তর নরউডের বিক্ষাত ইমপ্রেশনিস্ট শিল্প সংগ্রহক পল দ্যুরান্দ-রাউল এর সাথে তার পরিচয় হয়। রাউল পিসারোর দুইটি চিত্র কর্ম সংগ্রহ করেন।
পিসারো কিছুদিনের জন্য ফ্রান্সে ফেরত আসেন, (সঠিক সময়টা কোথাও পেলাম না) কিন্তু ১৮৯০ সালে তিনি আবার ইংলেন্ড যান। পুনরায় ১৮৯২ সালে ফ্রান্স এবং ১৮৯৭ সালে ইংলেন্ড আসেন (এতো পরিমান আসা যাওয়া ট্রেস করুম কেমনে বুঝতাসি না
এর মদ্ধে ১৮০৩ সালে ফ্রন্সের রাউল শিল্প শালায় পিসারোর ৪৬ টি শিল্প কর্ম নিয়ে তার জীবনের সবচাইতে বড় চিত্র প্রদর্শনীটি হয়।
এই মহান শিল্পী ১৩ নভেম্বর ১৯০৩ সালে ফ্রন্সের প্যারিসে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৩ বৎসর।
যদিও "মনের" মত পিসারো শুদ্ধ ইমপ্রেশনিস্ট ধারার শিল্পী ছিলেন তথাপী, এদগার দেগা কিংবা সিজানের মত একটু ভিন্ন মাত্রার শিল্পীদের সাথে তার ছিল উষ্ন বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্মানজনক সম্পর্ক, যা অন্যদের ক্ষেত্রে অনেকটাই অনুপস্থিত ছিল।

উওমেন চেটিং বাই দ্যা সি,
![]()
দ্যি ব্যলুভার্ড মন্টমার্ট্রী

হ্যাই হারভেস্ট
-----সমাপ্ত------
ভাই বেরাদার রা, চেশ্টা করছি লেখার, অখাদ্য লিখছি না কু খাদ্য লিখছি বুঝছিনা। ফ্রেঞ্চ বানান গুলোর বাংলা উচ্চারন বানাইতে খবর খারাপ হয়ে গেসে। দেখছেন তো কি পরিমান "য-ফলা"।
পরবর্তী টার্গেট একজন লেখক। নামটা এখন বলবো না। কারো জদি বিশেষ কোন বায়োগ্রাফি পড়তে ইচ্ছা করে হাত তুলতে পারেন। আমার কাছে থাকলে শেয়ার করবো।
দোয়া প্রার্থী যেন দ্রুতথেকে দ্রুত আমাকে জেনারেল (অন্তত পক্ষে) করা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





