somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বন্ধুর ডেটিং রম্য! অতঃপর ছলনাময়ীর ছলনা/:):((:(( [হালকা ১৮+]:P

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সকাল ৭টা বাজে বাজে..এমন সময় মোবাইল বাইজা উঠলো! রিসিভ করতেই সোহেলের গলা, কিরে মামা কই তুই? সে কখন থেকে ফোন করতেছি,, রিসিভ করছ না কেন. একটু বিরক্ত হইয়া কইলাম এই সাত সকালে কই হমু? তা হঠাৎ এতো সকালে কি মনে কইরা! মামা আজকে ডেটিংয়ে যামু!!! কথাটা শুইনা যে ঘুম ছিল চোখে এক মিনিটে হাওয়া হয়ে গেল, কয়কি হালায় ডিটিংয়ে যাইবো, :-*কার লগে তোমার নানীর লগে? আরে দূর কি সব কইতাছত, আছে মামা গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করমু। :!>
একটু ভাব লইয়া কইলাম এই আজাইরা খবর হুনানের লাইগা এতো সকালে ফোন করছত? আরে না তুই আমার সাথে যাইবি. আমি তোর সাথে যামু মানে?:| আমার কোন ইন্টারেস্ট নাই তোর গার্লফ্রেন্ডের লগে টাঙ্কি মারার।
আরে তোরে টাঙ্কি মারতে কইতাছে কে? আমার আশেপাশে একটু থাকবি ভয় লাগে ফাস্ট টাইম বুঝছি তো...
তুই না পাতিলীগের নেতা ভয় কিয়ের? আরে নেতাগিরি কি সব জায়গায় চলে নাকি! এতো কাহিনী করিছ না যা কইছি তা হুন, ৪টা বাজে চায়ের দোকানের সামনে আইবি,
আমি আর কথা বাড়াইলাম না। কেন জানি মনে হইতাছে বিনোদন পামু তাই রাজি হয়ে গেলাম...;)

চায়ের দোকানে বইসা চা খাইতে ছিলাম সোহেল আইসা হাজির, সাধা প্যান্ট আর কালা সার্ট, পুরাই ফিল্মের হিরু! কইলাম মামা ঝাক্কাস লাগতাছে তোরে! দে এবার চায়ের বিলদে। রিক্সায় উইঠা যাত্রা শুরু করলাম..ওর হাতে খেয়াল করলাম একটা কাগজের প্যাকেট! বললাম ঐটায় কি? সোহেল একটু লাজুক হয়ে কাছুমাছু করিয়া কইলো প্যাকেটে আঙ্গুর, কমলা আর পেপে!! হুনিয়া তো পুরাই হা হা প গে.... :#) =p~ =p~ =p~
কইলাম হাসপাতালে রুগী দেখতে যাইতাছি নাকি? যে ফলমূল লইলি! তার যুক্তি হইলো খালি হাতে যাওয়াটা কেমন কেমন লাগে তাই এগুলা কিনে রাখছে। সব বুঝলাম তয় দুনিয়ায় এতো ফল থাকতে পেপে নিলি কোনটা বুইঝা? তার বদলে দেড় কেজী শসা আর এক কেজী বেগুন নিলেই পারতি! তার অন্য কামে আসতো....:P
কথাটা শুইনা বন্ধু আমার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো! চুপ কর বেদ্দপ! আর কিছু কইলে লাথি মাইরা রিক্সা থাইকা ফালাই দিমু তোরে, X(আমি চুপ হয়ে গেলাম. শত হইলেও উনি পাতিলীগের নেতা.../:)

ডেটিং প্লেস ধানমন্ডি লেক, রিক্সা কাছাকাছি চলে আসছে, সোহেল মোবাইলে ফোন দিল মেয়েটারে, কই তুমি জানু! কি পরে আসছো? আমি তোমার কথা মতো পরে আসছি,,:D
কি হলুদ সেলোয়ার কামিজ? আচ্ছা ঐখানেই দাঁড়াও আসতেছি...
লেকে নামিলাম আশেপাশে দেখিতে ছিলাম হলুদ জার্সি পরা কেউ দাঁড়াইয়া আছে নাকি! একটু আকটু এই দিক ঐদিক খুঁজা খুঁজি করিয়া অবশেষে হলুদ জার্সি পরা পেলেকে দেখিতে পাইলাম। :-B বন্ধুরে খোঁছা দিয়া কইলাম ঐল তোর ললনা খাড়াইয়া রইছে..
সে আমারে এই খানেই থাকতে কইলো! তারা দেখা করিয়া কথা কইতাছে, আমি বসিয়া বসিয়া তাহা দিককে পাহারা দিতাছি.. এক পর্যায়ে মাইয়া উইঠা খাঁড়াইলো পাশে একটা রিক্সায় উইঠা বইলো আমি উকি ঝুঁকি মারিতেই দেখি আমার বন্ধু তার সাথে আনা ফলমূল খাওয়াইতাছে ললনাকে আহা কি রোমান্টিক সিন....... :>

অলমোস্ট ৩০ মিনিট পর সোহেল আসিল, একটু বিষন্ন দেখাইতেছিল। রমনী বিদায় নিয়া প্রস্থান করিল, রিক্সায় উঠিয়াই জিজ্ঞেস করিলাম, কি মামা কিছু দিছত নাকি?;) আমি ভাবছিলাম সে কিছ দিছে এইটা বলিবে...উত্তরে যা বলিলো শুনিয়া পুরাই থ হয়ে গেলাম!!:| সে তার হাত ঘড়ি আর মিউজিক সিস্টেম মাইয়াটারে দিয়া আসছে, বললাম কোন খুশিতে দিলি? বলে ঘড়িটা নাকি তার অনেক পছন্দ হইছে ঐটা স্মৃতি হিসেবে রাখছে, মিউজিক সিস্টেমের গান গুলা নাকি তার কাছে ভাল লাগছে ঐগুলা তার মোবাইলে লোড কইরা পরে মিউজিক সিস্টেমটা ফেরত দিবো। :-&
ভালবাসায় মানুষরে বোকা হইতে শুনছি এইটা দেখি গর্দভ হয়ে গেল!! কইলাম ব্যাটা রাম ছাগল ঐ মাইয়া তোরে বাঁশ দিয়া ফুটছে!! ফোন দিয়া দেখ ধরে নাকি?? হে হে হাছাই ফোন বন্ধ।:|

অতঃপর বন্ধু আমার ভাঙ্গা হৃদয় নিয়া ফিরিয়া আসিলো। /:):((:((প্রতিজ্ঞা করিলো আর কোন মেয়ের মোহে পড়িবে না। ব্যাপারটা এমন না যে আমি তা আন্দাজ করতে পারি নাই! আসলে কেউ হোচট না খাইলে ঠিক মতো হাটতে শিখে না, তাই সব বুঝিয়াও চুপ করিয়া রইলাম।B-)
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×