পৃথিবীতে মানবতার বিপর্যয় যে গতিতে ঘটে তার সূত্রপাত বোধই বাংলাদেশ থেকে শুরু হয়। বাংলাদেশের বাড়িতে, রাস্তায়, অফিসে, ভীড়ে, ট্রান্সপোর্টৈ নারী দের উত্তক্ত করার যে অভিনব পদ্ধতি নিত্য শুনা যায় তা তে মনে হয় শুধু এই কাজ করার জন্য অকর্মার ঢেকি গুলো যে পরিশ্রম করে তার এক অংশ পরিশ্রম যদি রাস্তার নোংরা আবর্জনা তুলে ডাস্টবিনে ফেলতে ব্যয় করতো ঢাকা শহর কত ঝকমক করতো।
সন্ধ্যা কালীন চা খেয়ে একা একা ফিরছিলাম আমার বাসার গলি ধরে। সামনে হেটে যাওয়া এক আপুর পেছনে চোখ যায়। প্রথমে অন্ধকারে বুঝতে পারছিলাম না আসলে এটা ডিজাইন নাকি ইদানিং বের হওয়া কিছু মানসিক প্রতিবন্ধীর কীর্তি যারা ব্লেড দিয়ে বাসে মহিলাদের ড্রেস কেটে নিজের অসুস্থতা জাহির করে। কামিজের রং টাও কালো। হাঁটার গতি বাড়িয়ে আপু কে বললাম, আপনি কি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট দিয়ে কোথাও থেকে আসছেন। তিনি অবাক হয়ে সায় দিলেন। আমি বললাম, আপু কিছু মনে করবেন না আপনার কামিজের পেছনে কি কাটা কোন ডিজাইন আছে? তিনি পেছনে হাত দিতে ঘটনা বুঝে রাস্তার সাইডে চলে গেলেন। নীচে সেমিজ টি অক্ষত থাকায় তিনি কিছু টের পান নি। এরপর তিনিও বাকশূন্য আমিও বাকশূন্য। তিনি ওড়নাটা কোন মতে জড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন, দেখেন তো এখন বোঝা যায়? এই বার কাছে দেখার সুযোগ পেলাম। প্রায় এক হাত মত 3টি সমান্তরাল দাগ কাটা। ওড়নাটা ঠিক করে দিতে দিতে আবার জিজ্ঞেস করলাম সিটে বসে এসেছেন কিনা? না তিনি আগারগা থেকে দাড়িয়ে এসেছেন। এ জন্য পিঠ বরাবর কাটা গেছে। তিনি দ্রুত ব়ওনা দিলেন বাসার দিকে। আর আমি চিন্তা করতে করতে ফিরলাম, যে বা যারা এই আকাম টা করছে এটা করে তারা কতটুকু মানসিক শান্তি পায়?
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭